লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ ঐশিক।তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা
উত্তরণ
রূপসা ব্যানার্জি (বড়ো)
চম্পার মনটা খুব খারাপ। কাকা ওর স্কুল ছাড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে এবার থেকে লোকের বাড়িতে কাজ করতে হবে তাকে।
কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সে চলে এসেছে গ্রামের সীমানার জঙ্গলে। হঠাৎ তার চোখে পড়ল একটা উজ্জ্বল নীল আলো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। সে আস্তে আস্তে এগিয়ে দেখতে পেল একটা স্পেসশিপ এসে নেমেছে সেইখানে। দুজন অদ্ভুত চেহারার লোক ঘুরে ঘুরে চারদিক দেখে বেড়াচ্ছে। সে বুঝল এদেরকেই এলিয়েন বলে। স্কুলের দিদিমণির কাছে এদের কথা সে শুনেছে।
ওকে দেখে একজন এলিয়েন স্পষ্ট বাংলায় বলে উঠল,“তোমায় আমরা নিতে এসেছি। আমরা ভবিষ্যৎ দেখতে পাই। তাই বলছি, তুমি একজন খুব বড় বিজ্ঞানী হবে। আমাদের গ্রহে তোমার সবরকম শিক্ষার ব্যবস্থা করব।”অনাথ চম্পা আর পিছন ফিরে তাকায়নি। সে পড়াশুনা করতে চায়। চোখের জল মুছে স্পেসসুটের দিকে হাত বাড়ালো সে।
মঙ্গলযান
সমৃদ্ধি ব্যানার্জী (আট বছর)
বিজ্ঞানীরা আজ মঙ্গলযান নামে একটা রকেট লঞ্চ করবেন। এতে চারজন অ্যাস্ট্রোনট মঙ্গলে যাবেন। কিন্তু রকেট ছাড়ার আগেই এক কান্ড হল। আকাশ থেকে বিরাট বড় বড় পাথর এসে পড়তে লাগল গবেষণাকেন্দ্রের ছাদে। কয়েকজন বিজ্ঞানী ছুটে গেলেন ব্যাপারটা দেখতে। সিনিয়র প্রফেসর রঞ্জিত সিং বললেন, “এগুলো তো মঙ্গল গ্রহের পাথর!“ তাই শুনে আর এক বিজ্ঞানী লীলা চ্যাটার্জী বললেন, “মঙ্গলের প্রাণীরা বোধ হয় ক্ষেপে গিয়ে পাথর ছুঁড়ছে। এখন কি তাহলে ওখানে যাওয়া ঠিক হবে? “প্রফেসর সিং বললেন, “আমি মঙ্গলবাসীদের জন্য অনেক উপহার পাঠিয়ে দিচ্ছি ওদের সঙ্গে।ওরা এলিয়েনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নেবে। তোমরা ভয় পেওনা। তারপর উপহার নিয়ে অ্যাস্ট্রোনটরা রকেটে করে মঙ্গলের দিকে রওনা হলেন।
দুটি গল্পই ভীষণ সুন্দর। ছবির শিশু শিল্পী ও দুই লেখিকাকেই শুভেচ্ছা জানাই
LikeLike