লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ আকাশ নাগ। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার বাবা
একটা ভিলেজের গল্প
জিষ্ণু দালাল (খুদে)
একটা ভিলেজ ছিল । সেখানে তিনটে ঘর ছিল। ভিলেজটা খুব ওল্ড তো, তাই ঘরগুলোতে কালো কালো ছোপ ছিল। সেখানে অনেকগুলো লোকও ছিলো যারা “ভিলেজিং”* করছিল, কিন্তু খুব জোরে জোরে ইয়েলো আর ব্ল্যাক প্যাস্টেল ঘষা হয়েছে বলে তারা ছবিতে চাপা পড়ে গেছে; তাদের আর দেখা যাচ্ছে না ! ইয়েলো ঘরটাতে একটা ওল্ড লেডি ছিল। সে একদিন তার হাসবেন্ডকে বলল – “আজ ডিনারে একটা জিঞ্জার-ব্রেড ম্যান বেক করব”। এই বলে সে মাইক্রোওয়েভ ওভেন অন করল।
——————————-
* পাদটীকা: জিষ্ণু পরে জানিয়েছে যে “ভিলেজিং” মানে চাষ করা, মাথায় বা কাঁধের বাঁকে করে জিনিস নিয়ে যাওয়া, গরুর গাড়ি চালানো ইত্যাদি যা কিছু আক্টিভিটি ভিলেজে দেখা যায় – স-অ-ব !
——————————-
ফেরা
জ্যোতির্ময় দালাল (বড়ো)
পায়ের তলায় সর্ষে নিয়ে সাত সাগরে পাড়ি
দেবার শেষে, মন বলে চল দেখতে গ্রামের বাড়ি !
ট্রেনের চাকা গড়িয়ে যেই পেরোলো কলকাতা
জানলা দিয়ে দিগন্তে চোখ – টুকরো স্মৃতির পাতা।
গাছ-গাছালি-মাঠ-খেয়াঘাট-গঞ্জ-গাঁ-কে টা-টা,
আমার ক্ষুদে স্টেশন এলে, নেমে দিলাম হাঁটা !
গাঁয়ের চেনা সেই মেঠো পথ তাল-সুপুরির সারি
শুকোয় ঘুঁটে দেয়াল জুড়ে নবীন জ্যাঠার বাড়ি
রাক্ষুসে-হাঁ কোটর-ওলা অশথ-তলার পরে
রহিম শেখের পানের বরজ পেরিয়ে যাব ঘরে।
দেখতে সবই আগের মতন, কিন্তু কেন খাঁ-খাঁ ?
নেই হুল্লোড় দস্যি ছেলের, দুগগা-দালান ফাঁকা !
আমার ছোটবেলার সে গ্রাম ঘুমিয়ে ছু-মন্তরে
সব বাড়িরই ছেলে-মেয়ে আজকে দেশান্তরে !