আগের পাতার পর
শতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য
সুরসাগর- একদিনেতে হইনি আমি…
এরপর বিভূতি মিত্রের পরিচালনায় ‘সর্ত’ ছবিতে সুর দিলেন। প্রযোজক সেই ফিল্মিস্তান। সে ছবিও চলল না। এদিকে যতক্ষণ না হিট ছবি বেরোচ্ছে ততদিন হেমন্তকে ছাড়তে চাইলেন না শশধর মুখার্জি। হেমন্তের কলকাতা ফিরে যাবার খবরে ডেকে পাঠালেন।
বললেন –শুনলুম তুমি নাকি চলে যাবে? হেমেনবাবু তোমাকে আনলেও আমি না নিলে তুমি ঢুকতে পারতে না ফিল্মিস্তানে। আমি সেটা তোমার মুখে দেখে করিনি। তোমার গলা ভাল, গান গাও ভাল। আমার বিশ্বাস তুমি পারবে। সে বিশ্বাস তুমি ভেঙে দিও না। তুমি চলে গেলে তুমি তো হারবে না,হেরে যাব আমি। সে আমি হতে দিতে চাইনা। একটা ছবি হিট দিয়ে তুমি যেখানে খুশি চলে যাও,আমি বাধা দেব না। তার আগে তোমাকে আমি এক পাও নড়তে দেব না।
‘সর্ত’ ছবির বিখ্যাত গানটি শশধর মুখার্জির পছন্দে নির্বাচিত হয়েছিল।
‘না ইয়ে চাঁদ হোগা’
ফিল্মিস্তানের এই দুটি ছবি ফ্লপ হলেও গানগুলি মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছিল। হাতে তখন নতুন কাজ নেই হেমন্তর। প্লেব্যাক করালেন শচীন দেব বর্মণ। গাওয়ালেন ‘সাজা’ ছবিতে। পরপরই আবারও ‘জাল’ ছবিতেও প্লেব্যাক করালেন শচীন দেব। হেমন্তর সেই বিখ্যাত গান তখন শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরছে।
‘ইয়ে রাত ইয়ে চাঁদনী ফির কাঁহা’
অন্যদিকে দুটি ছবি ফ্লপ হওয়ার পরও ফিল্মিস্তানে চাকরি বহাল আছে হেমন্তর। শশধর মুখার্জি দিলেন ‘সম্রাট’ ছবিতে পুনরায় সঙ্গীত পরিচালনার সুযোগ। ‘সম্রাট’ ছবিতে গাইলেন লতা, আশা, গীতা ও অবশ্যই হেমন্ত নিজে। ছবি মুক্তি পেল ১৯৫৪ সালে। যথারীতি সে ছবিও ফ্লপ।
সেই দুঃসময়ে কিছু প্লেব্যাকের কাজ চুটিয়ে করে চলেছেন হেমন্ত যেমন
‘হাউস নম্বর ৪৪’ (‘চুপ হ্যায় ধরতি, চুপ হ্যায় চাঁদ সিতারে’),
‘সোলওয়া সাল’ (‘হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা’),
(‘তেরি দুনিয়া মে জিনে সে’),
‘বাত এক রাত কি’ (‘না তুম হামে জানো’)।
শচীন দেবের সুরে প্রায় সব গানই তখন তাঁর হিট।
এই সময় ফিল্মিস্তানের শশধর মুখার্জি তিনটি ছবি ফ্লপ হবার পর হেমন্তকে দিলেন চতুর্থ ছবি ‘নাগিন’ এর সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব। ‘নাগিন’ ছবির সঙ্গীতে সাপুড়েদের বাঁশি ব্যবহার করতে হনে। কিন্তু জোগাড় করতে পারলেন না ‘বিন’ নামক সেই বাঁশি। সেই অভাব পূর্ণ হল কল্যাণজীর বাজানো ‘ক্ল্যাভিওলাইন’ নামে একটি যন্ত্রের সাহায্যে। কিন্তু ক্ল্যাভিওলাইনের শব্দে সাপুড়ের বাঁশির একটানা সুর বাজে না। সেই অভাবও পূর্ণ হল। হেমন্ত ও তাঁর সহকারী সঙ্গীত পরিচালক রবির হারমোনিয়ামে। সুরের মাঝের ফাঁক হারমোনিয়াম দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে তৈরি হল সে বিখ্যাত গান। লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে সেই গান তো ইতিহাস –
‘মন ডোলে মেরা তন ডোলে’
ছবি সুপারহিট হল। ছবি জুড়ে শুধু গান আর গান। ছবি মুক্তি পাওয়ার কুড়ি বছর এই ছবির গানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি ভারতীয় কোন ছবির গান।
সঙ্গে ফিল্মিস্তানের আরেকটি ছবি ‘আনারকলি’ সুপার-ডুপার হিট করল। মিউজিক করলেন সি.রামচন্দ্রন। সেই রামচন্দ্রন হেমন্তকে দিয়ে দুটি প্লেব্যাক গাওয়ালেন।
১। অ্যায় বাদই শবা জবা আহিস্তা চল
২। জিন্দেগি প্যায়রকি দো চার ঘড়ি
একটি গান গাইলেন লতার সঙ্গে ডুয়েট।
‘জাগ দরদ ইশক জাগ’
অন্যদিকে ‘নাগিন’এর অভাবনীয় সাফল্যের পর বিপুল কাজের চাপ শুরু হয়েছে হেমন্তের জীবনে। সে সময় বাংলা ছবি ‘শাপমোচন’-এর জন্য পরিচালক সুধীর মুখার্জি যোগাযোগ করলেন। হেমন্ত তখন বম্বেতে। হিন্দি ছবির বাজেটের তুলনায় বাংলা ছবির বাজেট চিরকালই কম। তবুও বাংলা ছবি ও সঙ্গীতের প্রতি হৃদয়ের টান অনুভব করলেন তিনি। রাজি হয়ে গেলেন ‘শাপমোচন’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করতে। বম্বে চলচ্চিত্রের প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও একটা দিন বার করে এসে ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিকের কাজ সেরে আবার চলে যান বম্বে। সেই একদিনের ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিক ও তাড়াহুড়োর কাজও শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হল।
‘নাগিন’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার জন্য পেলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। কলকাতায় সেই সময়ই সিনে অ্যাডভান্স থেকে পেলেন সোনার মেডেল।
কিন্তু ‘নাগিন’এর পর পাওয়া ছবিগুলিতে সেভাবে সফলতা এল না। কিন্তু সে সময় বাংলা ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় যাতেই হাত দিচ্ছেন তাতেই সফল হচ্ছেন। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করলেন ‘হারানো সুর’, ‘অসমাপ্ত’, ‘পলাতক’ ইত্যাদি ছবিতে।
‘হারানো সুর’ ছবির দুটি গান সেই মুহুর্তে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করল।
১। তুমি যে আমার
২। আজ দুজনার দুটি পথ
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় এই দুটি গানের সুর করতে লেগেছিল সাকুল্যে পনেরো মিনিট। হেমন্ত বিশ্বাস করতেন ঘন্টার মিনিটের হিসেবে সৃষ্টি হয় না। সারাদিন কসরত করেও যে সুর মানুষের কাছে পৌঁছোয় না, অথচ কয়েক মিনিটেই কালজয়ী সুর সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলা ছবি নিয়ে তখন হেমন্ত ব্যস্ত। সেই সময় হিন্দী ছবি ‘সাহেব বিবি আউর গোলাম’-এর সঙ্গীত পরিচালনার প্রস্তাব নিয়ে এলেন গুরু দত্ত। গাওয়ালেন আশা ভোঁসলে, গীতা দত্তকে দিয়ে। ১৯৬২ সালে মুক্তি পেল ছবিটা।
এর মধ্যে আবার তাঁর কাছে আঞ্চলিক ছবির কাজ নিয়ে এলেন ভুপেন হাজারিকা। অসমিয়া ছবি ‘এরা বটর সুর’ –এ প্লেব্যাক করলেন।
ভুপেন হাজারিকার অনুরোধে লতা মংগেশকরকেও গান গাইতে রাজি করালেন হেমন্ত।
হেমন্ত প্রযোজিত এগারোটি ছবিতে গান গেয়েছেন লতা। কখনো পারিশ্রমিক নেন নি তাঁর কাছে থেকে। যতবার পারিশ্রমিক দিতে গেছেন,ততবার দাদা-বোনের সম্পর্কে পারিশ্রমিক নেওয়া যায় না বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন হেমন্তকে। অসংখ্য ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। সব তথ্য দেওয়া এই ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয়। তবু তাঁর প্রযোজিত প্রথম ছবিটির কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এই লেখাটি। ছবিটির নাম ‘নীল আকাশের নীচে’ পরিচালক মৃণাল সেন। প্রযোজনা ও সঙ্গীত পরিচালনা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৫৮ সালে। ছবিটির দুটি প্লেব্যাক হেমন্তের কন্ঠে। গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
১। ও নদী রে
২। নীল আকাশের নীচে এই পৃথিবী
১৯৫৯ সালের শেষের দিকে তাঁর হাতে হিন্দি ছবি প্রায় নেই বললেই চলে। আর্ট ডিরেক্টর বীরেন নাগ এলেন ‘বিশ সাল বাদ’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার আবেদন নিয়ে। অত্যন্ত যত্ন করে সুর করা হল। ছবি মুক্তি পেল ১৯৬২ সালে। প্রবল জনপ্রিয় হল ‘বিশ সাল বাদ’ –এর গানগুলি। গীতিকার ছিলেন শাকিল বাদাউনি। আবার ছবি হিট। ‘বিশ সাল বাদ’ ছবিতে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনার জন্য ১৯৬৩ সালে পেলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। এরপর বীরেন নাগের পরিচালনায় আবার একটি ছবির পরিকল্পনা করলেন। ছবির নাম ‘কোহরা’। সঙ্গীত পরিচালনা করলেন হেমন্ত কিন্তু এ ছবি ফ্লপ করল।
এমন প্রায় দশটি ছবি হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রযোজনা করেছেন। শেষ ছবি ‘বিশ সাল পহলে’।
শুধু তাই নয় তিনি প্রযোজনার সঙ্গে সঙ্গে ছবি পরিচালনাতেও হাত দিয়েছেন। তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি ‘অনিন্দিতা’। এই ছবিতেই পঙ্কজ মল্লিক সুরারোপিত রবীন্দ্রনাথের গান
‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ ব্যবহার করেছেন। গেয়েছিলেন নিজেই।
হিন্দি, বাংলা ছাড়াও বেশ কিছু দেশীয় ভাষা গুজরাটি, মারাঠি, অহমিয়াতেও সুর দিয়েছেন।
শুধু তাই নয় প্রডিউসার ডিরেক্টর কনরেড রুকস-এর পরিচালনায় একটি ইংরিজি ছবিতেও তিনি সুর দিয়েছেন। ছবির নাম ‘Siddharth’।
কনরাডের সঙ্গে ১৯৭২ সালে আলাপ হয় তাঁর। ছবির সুর করতে এপ্রিল মাসে হেমন্ত চলে যান লণ্ডন। এই ছবিতে
‘ও নদীরে’
ও
‘পথের ক্লান্তি ভুলে’
এই বাংলা গানদুটি ব্যবহার করেছিলেন।
১৯৬২ সালে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ‘পলাতক’ ছবি দিয়ে সে যাত্রা শুরু। অনেকগুলি ছবি তাঁর সুরে হিট হল। উল্লেখযোগ্য বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে ছবি ‘ফুলেশ্বরী’। হেমন্তের সঙ্গীত পরিচালনা ও তরুণ মজুমদারের পরিচালনার এই যুগলবন্দীতে ছবিটি খুবই জনপ্রিয় হল।
বিদেশ ভ্রমণের টুকরো কথা
১৯৫৯ সালে ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ ছবি হিট হল। সেই ছবির একটি গান ‘এই রাত তোমার আমার’ শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিল।
এইসময়ে একটা মজার ঘটনা ঘটল। হেমন্ত ও গৌরীপ্রসন্ন সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন ঠিক করলেন। প্রথম ইস্ট আফ্রিকা সেখান থেকে রোম। রটে গেল ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ গানটি হেমন্ত কোনো বিদেশী গান থেকে নকল করেছেন। কেস উঠেছে লণ্ডনের কোন বিচারালয়ে এই হেতু গীতিকার আর সুরকারের বিদেশ যাত্রা।
আরেকটি ঘটনা ঘটল যখন ১৯৬৪ সালে তিনি ওয়েস্ট ইণ্ডিজ যান। এয়ারপোর্ট থেকে যখন নামছেন, তখন রাষ্ট্রনেতা কোনো দেশে গেলে যেমন রাজকীয় সম্মান পান তেমন তাঁর জন্য হল। এরোপ্লেন ল্যান্ড করা থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপ ধারাভাষ্য হতে থাকল সে দেশের রেডিও শ্রোতাদের জন্য। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যখন যাচ্ছেন। সামনে একশো গাড়ি তাঁকে এসকর্ট করে নিয়ে গেল। তাঁর প্রধানতম কারণ এই প্রথম কোনো শিল্পী ভারতবর্ষ থেকে সে দেশে গেলেন। শ্রোতারা তাঁকে স্পর্শ করে পাচ্ছেন একজন ঈশ্বরকে ছুঁয়ে দেখবার অনুভূতি। প্রশ্ন করতে এক বয়স্ক শ্রোতা বলেছিলেন হেমন্তকে স্পর্শ করে তারা ভারতবর্ষকে স্পর্শের উত্তাপ পান। শুধু তাই নয় তখন সারা পৃথিবীতে তাঁকে ‘ফ্র্যাঙ্ক সিনাত্রা অব ইণ্ডিয়া’ নামে অভিহিত করা হত। আমেরিকা, ইংল্যাণ্ড যেখানেই যাচ্ছেন পাচ্ছেন রাজকীয় সংবর্ধণা।
শেষ বিদেশ ভ্রমণ তাঁর বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে ঢাকায় গেলেন অনুষ্ঠান করতে। সংবর্ধিত হয়ে পেলেন ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত অ্যাওয়ার্ড’। ঢাকা থেকে ফিরে ১৮ই সেপ্টেম্বর গেলেন বসিরহাটে একটি অনুষ্ঠান করতে। সেদিনই মঞ্চে তাঁর শরীর খারাপ হয়। অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ রেখে মঞ্চ থেকে নেমে এলেন শিল্পী। ১৯ তারিখেও কলামন্দিরে প্রায় জোর করেই ঐ অসুস্থ শরীরে গেলেন আরেকটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে। কারণ উদ্যোক্তাদের তিনি কথা দিয়েছিলেন। সে অনুষ্ঠানও কোনরকমে করে বাড়ি ফিরলেন। পরের দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে নার্সিং হোমে ভর্তি হলেন। ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ অসংখ্য গুণমুগ্ধ শ্রোতাদের চোখের জলে ভাসিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা কন্ঠশিল্পী ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
———————————————————————–
১। তোমার ভূবণে মাগো
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=X6kU1f7DqyQ
২। এই তো হেথায়
গীতকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। কণ্ঠঃ কিশোর কুমার
https://www.youtube.com/watch?v=hr61UPhqWjI
৩। শরীরখানা গড়ো গীতিকারঃ পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=3xO6dlKRQQg
৪। বনতল ফুলে ফুলে ঢাকা
গীতিকারঃ প্রিয়ব্রত।। সুরকারঃ রতু মুখার্জি
https://www.youtube.com/watch?v=OlZQQ-rJXyo
৫। কী দেখে পাইনা ভেবে গো
গীতিকারঃ প্রিয়ব্রত।। সুরকারঃ রতু মুখার্জি
https://www.youtube.com/watch?v=d5mUTK4ZBiU
৬। তোমার আমার কারো মুখে
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ সতীনাথ মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=fxCAgo5hXLU
৭। জীবনের নদীতটে
গীতিকারঃ পবিত্র মিত্র।। সুরকারঃ শ্যামল মিত্র
https://www.youtube.com/watch?v=yj4xPXl30F4
৮। পথে যেতে যেতে
গীতিকারঃ অনল চট্টোপাধ্যায়।। সুরকারঃ শ্যামল মিত্র
https://www.youtube.com/watch?v=smUAN8HrYl8
৯। ক্লান্ত চাঁদের নয়নে
গীতিকারঃ অনল চট্টোপাধ্যায়।। সুরকারঃ শ্যামল মিত্র
https://www.youtube.com/watch?v=hn4MvMQD0u0
১০। ও বন্ধু, এই বকুলঝরা
গীতিকারঃ পবিত্র মিত্র।। সুরকারঃ শ্যামল মিত্র
https://www.youtube.com/watch?v=oPqiJE4-LKs
১১। সময় কখন যে থমকে দাঁড়ালো
গীতিকারঃ পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়।। সুরকারঃ সুধীন দাশগুপ্ত
https://www.youtube.com/watch?v=_sq_bTGpBa0
১২। মা গো ভাবনা কেন
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=q02zf_iXcG0
১৩। স্মরণেরও এই বালুকাবেলায়
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=Tj6pBGzJbd0
১৪। জানি না কখন তুমি
গীতিকারঃ পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=tlM9JKasDiI
১৫। আর কত রহিব শুধু পথ চেয়ে
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ সতীনাথ মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=3sOelQEOSj8
১৬। রূপ সাগরে ডুব দিয়ে
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ সুধীন দাশগুপ্ত
https://www.youtube.com/watch?v=F-dzapMpR80
১৭। সবুজের ছোঁয়া কিনা তা বুঝি না
গীতিকারঃ প্রেমেন্দ্র মিত্র।। সুরকারঃ সুধীন দাশগুপ্ত
https://www.youtube.com/watch?v=PkylFp0qaVA
১৮। শুধু অবহেলা দিয়ে
গীতিকারঃ প্রণব রায়।। সুরকারঃ সুধীরলাল চক্রবর্ত্তী
https://www.youtube.com/watch?v=x6oZ8Jb19Mc
১৯। বিষ্ণুপ্রিয়া গো
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=GeRDOtsGQzI
২৯। সবাই চলে গেছে
গীতিকার ও সুরকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=Z5xN9GIqKEI
২১। শোনো কোনো একদিন
গীতিকার ও সুরকারঃ সলিল চৌধুরী
https://www.youtube.com/watch?v=NfbbjsxlwP4
২২। আর দূর নেই দিগন্তের
গীতিকার ও সুরকারঃ সলিল চৌধুরী
https://www.youtube.com/watch?v=csw0ojzH2WA
২৩। পথে এবার নামো
গীতিকার ও সুরকারঃ সলিল চৌধুরী
https://www.youtube.com/watch?v=eHmpNjk6o2I
২৪। মনের জানালা ধরে
গীতিকার ও সুরকারঃ সলিল চৌধুরী
https://www.youtube.com/watch?v=EF3hmCZIREc
২৫। শোনো বন্ধু শোনো
গীতিকারঃ বিমল ঘোষ।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=uZHuYHdbeZE
২৬। আমি যারে স্বপন দেখি
গীতিকারঃ প্রণব রায়।। সুরকারঃ রবিন চট্টোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=KbRxSm4vEOI
২৭। হাপর
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=jtaIE_YgIT4
২৮। ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস
গীতিকারঃ বিমল ঘোষ।। সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=Ld7DVoFWU0M
২৯। অনেক অরণ্য পার হয়ে
গীতিকার ও সুরকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
https://www.youtube.com/watch?v=g7_7vy0c-PA
৩০। আমি যাই চলে যাই
গীতিকারঃ পুলক বন্দ্যপাধ্যায়।। সুরকারঃ উত্তম কুমার
https://www.youtube.com/watch?v=bZ1El74Sbxg
দুটি কথা —
১)তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় গান ‘কথা কোয়ো নাকো, শুধু শোনো.. ‘ বাবার কাছে খুব ছোট্ট বেলায় শুনেছি। পরে জেনেছিলাম শেষ অংশের ‘..অশ্রু সজল লিপি ছন্দা ‘ নাকি আমার নামকরণের উৎস !
২) সলিল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়াটা ঘটেছিল আমার পরম শ্রদ্ধেয় মাস্টার মশাই কৃষ্ণ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়–যিনি কেষ্টবাবু বা কেষ্টদা’ নামে বেশি পরিচিত ছিলেন, তাঁর মাধ্যমে। তাঁর মুখে শোনা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান পছন্দ না হওয়ায় ফিরে যাচ্ছিলেন। তখন মাস্টার মশাই পরামর্শ দেন ‘গাঁয়ের বধূ ‘ শোনাতে -সিঁড়ি থেকে আবার উঠে আসেন তাঁরা.. বাকিটা ইতিহাস!এ ঘটনা মাস্টার মশাইয়ের মুখে শোনা। আজ মনে হোলো এটি প্রাসঙ্গিক, তাই জানালাম।
LikeLike