ডাইনির মাঠ
প্রদীপ কুমার সেনগুপ্ত
“গুমানি নদী পার হলেই সামনে দলদলি পাহাড় দেখতে পাবেন স্যার।” আমার ড্রাইভার বিশু বলল। বিশু ডিপার্টমেন্টের পুরনো ড্রাইভার। ফিল্ডে ওস্তাদ। এখানকার পথঘাট নখদর্পণে। আমাকে বলল, “স্যার, প্রথমে বারহেটের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি যেতে হবে। উনি বলে দেবেন কোথায় ক্যাম্প করতে হবে। তারপর যা ভালো বুঝবেন করবেন।”
এটাই আমার প্রথম ফিল্ড ক্যাম্প। চাকরিতে জয়েন করেছি দু’বছর হল। এই দু’বছর ট্রেনিংয়ে ছিলাম। প্রায় সারা ভারতবর্ষ ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। পোস্টিং পাওয়ার পর ফিল্ড সিজনের শুরুতেই আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জিওলজিক্যাল ম্যাপিংয়ে। যদিও রুটিন কাজ কিন্তু আমার কাছে একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা।
সরপঞ্চ বেশ বয়স্ক মানুষ। প্রায় তিন পুরুষ ধরেই এরা গ্রামের মাথায় বসে আছে। আমাকে দেখে খুব খাতির করা চেয়ার পেতে বসাল। একটা বাচ্চা মেয়ে ছুটে গিয়ে এক গ্লাস জল নিয়ে এল। এটা ঝাড়খণ্ড হলেও বেশ বাংলা চলে। আমাকে বলল, “তাম্বু লাগাবেন তো ডাইনের মাঠে যান। উখানে বড়ো জায়গা আছে। কুয়াও আছে বটেক।”
আমি ডানদিকে তাকিয়ে কোনও মাঠ দেখতে পেলাম না। সরপঞ্চ বলল, “ডাইন দিকে লয়। ডাইনের মাঠ মানে একটা ডাইন মেয়াছেলা ছিল, উয়ার ঘরের লাগোয়া মাঠ। পাশে কুয়া আছে, ঝরনাও আছে নজদিকে।”
আমি অবাক হয়ে বললাম, “ও বাবা, এখন এ-যুগেও ডাইনি-ফাইনি আছে নাকি? আপনারা এসব কুসংস্কার মানেন?”
সরপঞ্চ তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল, “আমি মানি না। গেরামের অশিক্ষিত লোকগুলান মানে। যতসব বুনো আদমি।”
আমি বললাম, “তা সেই ডাইনি ওখানে থাকে নাকি?”
“না না।” সরপঞ্চ আমাকে আশ্বস্ত করার জন্যই বলল, “সি প্রায় তিরিশ বছর আগে ডাইন একটা ছিল বটেক। গেরামের লোকগুলান উয়াকে মারে মরাইঁন দিল।”
“মরাইন দিল মানে?”
“মানে মেরে ফেলেছিল।” বিশু আমাকে তর্জমা করে দিল।
“মানে!” আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম। “একটা মানুষকে আপনারা দল বেঁধে মেরে ফেললেন? শুধুমাত্র ডাইনি অপবাদ দিয়ে!”
“উসব পুরানো ঘটনা, উ নিয়ে আপনার কাম নাই। ডাইনি নাই, উয়ার ঘরও নাই। মাঠ আছে, তাম্বু লাগান গিয়ে। এত কথায় আপনার কাম নাই। আমি লোক দিচ্ছি, আপনাকে জায়গা দেখাইন দিবেক।”
ডাইনের মাঠে যেতে একটা পাথুরে রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তবে মাঠটা বেশ ভালো। অনেকটা জায়গা সমতল। কিছু দূরে একটা পাথরের স্তূপ। সেদিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে লোকটা বলল, “ইটা ডাইনের ঘর ছিল বটেক।”
লোকটার নাম কারান টুডু, বয়স বছর চল্লিশেক। জিজ্ঞাসা করলাম, “আমার সঙ্গে কাজ করবে? লেবারের কাজ।”
সে ঘাড় নেড়ে রাজি হয়ে গেল।
ঝাঁটি গাছের জঙ্গল সাফ করে তাঁবু খাটাতে প্রায় সারাদিন লেগে গেল। আপাতত কিচেন টেন্ট নিয়ে চারটে তাঁবু খাটানো হয়েছে। আমারটা সাদা ধপধপে সুইস কটেজ টেন্ট। একটা কিচেন টেন্ট, আর একটা তাঁবু ড্রাইভার আর লেবারদের জন্য।
জায়গাটা আমার খুব পছন্দ হয়ে গেল। লোকালয় থেকে একটু দূরে। একটু উঁচুতেও, প্রায় পাহাড়ের গোড়ায়। পাশ দিয়ে একটা ছোট্ট ঝরনা। টলটলে পরিষ্কার জল। মাঠ যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে খাড়া উঠে গিয়েছে দলদলি পাহাড়। বিকেলে পাহাড়ের ছায়া মাঠে পড়ে ছড়িয়ে আছে।
কারান টুডু বলল, “ইখানে বুনো জানোয়ার নাই বটেক, তবে শিয়াল আছে।”
আমার বেশ ভাব হয়ে গেল কারান টুডুর সঙ্গে। শক্তসমর্থ চেহারা। একটু একটু লেখাপড়া জানে, হিন্দি পড়তে পারে। হাতে সবসময় তির-ধনুক। আমাকে বলল যে তির ছোড়া শিখিয়ে দেবে। একটা ধনুকও বানিয়ে দেবে।
সন্ধ্যা হতেই কারান গ্রামে চলে গেল। আমরা তিনজন মাঠের মধ্যে পড়ে রইলাম।
রাত্রে কখন ঘুমিয়েছি মনে নেই। ঘুম যখন ভাঙল তখন ভোর হয়নি। ঘড়িতে দেখলাম চারটে বাজে। একটা চাদর জড়িয়ে তাঁবু থেকে বাইরে এলাম। কী অদ্ভুত নির্জনতা! আকাশে একফালি চাঁদও রয়েছে। সে আলোর তীব্রতা এত যে সবসময় মনে হচ্ছে ভোরের আলো ফুটে রয়েছে। তাঁবুর পর্দার সামনে একটু দূরত্বে ডাইনির ঘরের পাথরের স্তূপগুলো পড়ে আছে। তিরিশ বছর আগে ওখানে একটা ডাইনি বাস করত। আমার জন্মের আগে।
পরদিন সকাল আটটায় কারান এসে হাজির। হাতে একটা দেশি মুরগি। বলল, “সরপঞ্চ পাঠাইয়ে দিলেক।”
ভালোই হল, দুপুরের খাওয়াটা ভালোই হবে। আমাদের কুক উড়িষ্যার লোক। সে মুরগিটা হাতে নিয়ে বলল, “বুড়া মুরগি। মাংস শক্ত হবে।”
আমি ম্যাপ হাতে নিয়ে মাঠের এক কোনায় দাঁড়ালাম। এখান থেকে কয়েকটা বেয়ারিং নিতে হবে। ম্যাপে আমাদের লোকেশন প্লট করার জন্য। কারান আমার ব্র্যান্টন কম্পাসটা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে বলল, “ইয়াতে সিধামারা যাবেক?”
“সিধামারা মানে?”
এবারও বিশুই তর্জমা করে দিল, “সিধামারা মানে কম্পাসের কাজ করবে কি না জিজ্ঞাসা করছে।”
আমি বললাম, “হঁ, সিধামারা যাবেক।”
আমার কথা শুনে ও হাসতে থাকল।
সেদিনের কাজ শেষে কারান গ্রামে ফিরে গেল। আবার রাত হল। আবার রাতে ঘুম ভেঙে গেল। তাকিয়ে দেখলাম, রাত দুটো। এত রাতে আবার কেন ঘুম ভাঙল! একটু গা ছমছম করতে লাগল। তাঁবুর দড়িগুলি টেনে আবার ঠিক করে দিলাম। তাঁবুর তলা দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস আসছে। আমি ট্রাঙ্ক খুলে একটা কম্বল বের করে গায়ে জাড়িয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরদিন কারানকে বললাম, “রাতে ঘুম হয়নি। একটু দেরি করে কাজে বেরোব।”
কারান বলল, “এখন কাজে চলেন। দুপুরে ঘুমায়ে লিবেন।”
পরদিন কারানকে বললাম, “তুমি এই ডাইনকে দেখেছ?”
কারান বলল, “হঁ দেইখেছি। তখন আমার বয়স বারো সাল। উয়ার একটা বেটা ছিল, সেটা মরি গেল।”
“কীভাবে মরি গেল?”
“জানি না উয়ার বেটাটা কেমন করি মরি গেল। গনু মাহাতোর ছোটো বেটাটাও মরি গেল। সবাই বলল, ডাইন নিজের বেটাকেও মারিছে, আবার গনুর বেটাকেও মারিছে।”
“তা আবার হয় নাকি? ও যে ডাইন ছিল তার প্রমাণ কী?”
“হঁ, ডাইন ছিল বটেক। সবাই জানে। তবে বুড়ি ছিল না, জোয়ান ছিল। উয়ার একটা বেটা হইঞ্ছিল, তারপর উয়ার সয়ামিটাও মরি গেল। তারপর উয়ার বেটাটা মরি গেল, গনুর বেটাটাও মরি গেল। সকলে বলল, এই মেইয়াটা ডাইন বটে। সোয়ামিকে খাইঞ্ছে, নিজের ছেলাটাকে খাইঞ্ছে। একদিন গ্রামের লোকেরা দল বেঁধে উয়াকে মারে মরাইঁন দিল।”
“কী নিষ্ঠুর তোমাদের গ্রামের লোকেরা বলো তো! একটা অসহায় মেয়েকে তোমরা মেরে দিলে?”
“উ যে নিজের বেটাটাকেও মারি দিল! ডাইন ছিল বটে।”
আমি আর তর্ক করলাম না। এদের এই কুসংস্কার যে কবে যাবে!
সারাদিন আমার মন ভার হয়ে রইল। সে রাত্রে অদ্ভুত একটা স্বপ্ন দেখলাম। দেখলাম, আমার তাঁবুর পর্দা ওঠানো। সামনে খোলা মাঠ। সেখানে একটা ছেঁড়া শাড়ি পরা মেয়ে দাঁড়িয়ে আমাকে বলছে, “তুকে আমি মারি নাই রে বাপ। তুকে সাপ কেইটেছিল রে বাপ আমার।” ঘুমের মধ্যেই আমার গা ছমছম করতে লাগল। প্রাণপণে চেষ্টা করতে থাকলাম তাঁবুর পর্দা নামিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু হাতদুটো এত ভারী হয়ে গেছে যে ওঠাতেই পারছি না। কিন্তু তারপর ঢেউয়ের মতো স্বপ্নের থেকে স্বপ্নে চলে যেতে থাকলাম। আর কিছুই মনে রইল না। ঘুম থেকে উঠেও কানে বাজতে থাকল, ‘তুকে আমি মারি নাই রে বাপ।’ স্বপ্নে দেখা মেয়েটার মুখটা কী সুন্দর, মমতায় ভরা।
দু’দিন কেটে গেল। একদিন সরপঞ্চ এসে আমাদের সঙ্গে রাত্রে খাওয়াদাওয়া করল। বলল, “এখানে জঙ্গলে খরগোশ আছে। কারানকে বললে মেরে আনবে। খুব ভালো খেতে।”
আমি কারানকে বললাম, “খরগোশ মারতে পারবে?”
সে বলল, “হঁ, পারব বটেক।”
আমি বললাম, “আমিও সঙ্গে যাব।”
কারান বলল, “চলেন।”
জঙ্গলের ভিতরে কিছুটা যেতেই ঝাঁটিবনের ভিতরে কারান অদৃশ্য হয়ে গেল। আমি হাঁক দিলাম কারানের নাম ধরে, কারানের সাড়াও পেলাম। কিন্তু পাহাড়ের দেয়ালের প্রতিধ্বনির জন্য বুঝতেই পারলাম না আওয়াজটা কোনদিক থেকে আসছে। আমি ভাবলাম, এভাবে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। ক্যাম্পে ফিরে যাওয়াই ভালো। হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা গিয়ে দেখি একটা ছোট্ট পাহাড়ি নালা। তিরতির করে জল বয়ে যাচ্ছে। শুনশান চারদিক। আমার কেমন গা ছমছম করতে লাগল। আবার কারানকে হাঁক দিলাম। এবার আর সাড়া পেলাম না।
কেন যে হঠাৎ ভয় পেলাম জানি না। আমি ঝাঁটিবনের ভিতর দিয়ে ছুট লাগলাম। কতক্ষণ ছুটেছিলাম মনে নেই। একসময় দেখলাম আমি ক্যাম্পের মাঠের কাছে এসে গিয়েছি। আমার মুখ দেখে বিশু ছুটে এল। “কী হয়েছে, স্যার?”
আমি বললাম, “পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম।”
ক্যাম্পে দিন কেটে যেতে লাগল। কারান আমাকে তির ছোড়া শিখিয়েছে। আমি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তাঁবুর ভিতরে তির-ধনুক নিয়ে ঘুমাই।
দেখতে দেখতে শীত পেরিয়ে বসন্ত এসে গেল। দেখলাম শিমূলগাছের বনের লাল ফুল সব ঝরে গেল। কালো কালো ফলে ভরে গেল গাছ। বসন্তের বাতাসে এখানে ওখানে ধূলা ওড়ে।
এর মধ্যে একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। আমি তখন একটা পাহাড়ের মাথায়। ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজলাম। রাত্রে জ্বর এসে গেল। সেই সঙ্গে বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাসের কষ্ট। আমার কাছে জ্বর কমানোর ওষুধ ছিল। তাই খেয়ে পরের দিনটা কোনোরকমে কাটালাম। সন্ধ্যার দিকে দেখলাম খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। কারানকে নিয়ে বিশু ছুটল ডাক্তার আনতে।
ডাক্তার এল। পাশ করা ডাক্তার না, হাতুড়েই বলা যায়। অনেকদিন ধরে গ্রামে প্র্যাকটিস করছে। আমাকে দেখে বলল, “বুকে কফ আছে। ইখানে ই রোগের চিকিৎসা হবেক নাই। হাসপাতাল নিয়ে যেইতে হবেক, সেই পাকুড়।”
বিশু বলল, “কাল সকালেই আপনাকে পাকুড়ের হাসপাতালে নিয়ে যাব।”
বিশু একটা লন্ঠন জ্বেলে তাঁবুর মেঝেতে রেখে দিয়ে গেল। আমি বললাম, “তাঁবুর পর্দা তুলে দাও, বাতাস আসুক।”
বিশু তাঁবুর পর্দা তুলে দিয়ে নিজের টেন্টে ঘুমাতে চলে গেল। আমি বিছানায় আধশোয়া মতন হয়ে রইলাম। বুকের ভিতরে চাপ বেঁধে রয়েছে। নিঃশ্বাস নিতে এত কষ্ট হচ্ছে যে মনে হচ্ছে আর কিছুক্ষণ এভাবে চললে দমবন্ধ হয়ে মরেই যাব।
ধীরে ধীরে রাত গভীর হল। বাইরে তারার আলো ছাপিয়ে কৃষ্ণা সপ্তমীর চাঁদের আলোয় ভরে উঠল। একটু তন্দ্রামতন আসছিল, কিন্তু বাইরে তাকিয়ে আমি চমকে উঠলাম। তাঁবুর সামনে দাঁড়িয়ে আমার স্বপ্নে দেখা সেই মেয়েটি। ছেঁড়া একটা জংলা শাড়ি পরনে। সে এসে আমার খাটের পাশে মাটিতে বসল। তারপর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “তুকে আমি মারি নাই রে বাপ। তুই আমার পেটের ছেলা। আমি তুকে মারি নাই।”
তারপর আমার বুকের উপর মাথা রেখে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকল।
একটু পরে উঠে দাঁড়িয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকল। তার আঙুলগুলি আমার ঘামে ভেজা চুলের ভিতর দিয়ে এক অদ্ভুত আরাম আমার সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে দিতে লাগল। মনে হল কতকাল পরে আবার বুক ভরে শ্বাস নিচ্ছি। লন্ঠনের আলোয় একটা লম্বা ছায়া তাঁবুর সিলিংয়ে পড়েছে। সেদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আমার দু’চোখে ঘুম নেমে এল।
ঘুম ভাঙল একটু বেলায়। তাকিয়ে দেখি বিশু গাড়ি থেকে মুখ বার করে আছে। আমার ঘুম ভেঙেছে দেখে বিশু বলল, “পাকুড়ের হাসপাতালের ডাক্তারের সঙ্গে কথা হয়েছে, স্যার। এখন নিয়ে গেলে ভর্তি করে নেবে।”
আমি বললাম, “আমার জ্বর আর নেই, শ্বাসকষ্টও নেই। হাসপাতালে আর যেতে হবে না।”
আমি বাইরে এসে দাঁড়ালাম। কী যেন একটা অদ্ভুত আনন্দে মন ভরে আছে। দূরে গুমানি নদীর ওপারে পাহাড়ের সারিগুলি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মাথায় সাদা মেঘ। হালকা একটু গরম বাতাস বইছে। সেই বাতাসে শাল, মহুয়া আর অনেক অজানা ফুলের গন্ধ। আমি ডাইনির ঘরের দিকে তাকালাম। সেখানে পাথরের স্তূপের পাশে একটা জংলা গাছ গজিয়েছে। অজস্র সাদা সাদা ফুলে সেটা ভরে আছে। গাছটা হাসছে যেন।
ছবিঃ শিমুল
জয়ঢাকি গল্প-উপন্যাসের লাইব্রেরি এইখানে