গল্প নিয়তি অরূপ দাস বসন্ত ২০২০

অরূপ দাসের আগের গল্প পথের পথিক

অরূপ দাস

কথা বলা একটা আর্ট। কথাটা লোকের কাছে এমনভাবে তুলে ধরতে হবে, যাতে সে সেই কথাটা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। আর এটা যে রপ্ত করতে পারবে, সেই একজন উপযুক্ত সেলসম্যান। উদাহরণ হিসেবে অনুব্রত ঘোষের কথা বলা যেতে পারে।

আজ অনুব্রতকে তিনটি কম্পানিতে গিয়ে যোগাযোগ করতে হয়েছে। বাপ রে, শেষের কম্পানির ম্যানেজার এত বকবক করতে শুরু করে দিয়েছিলেন যে অনুব্রতর মাথা যন্ত্রণা করতে লাগল। শেষমেশ সে বাধ্য হয়েই ম্যানেজারকে মজা করার ছলে ভয় দেখিয়ে চুপ করিছে। সে বলে ওঠে, “অনর্গল কথা বলে যাবেন না, আয়ু কমে যায়।”

বৃদ্ধ ম্যানেজার এই কথা শুনে মুখে যেন কুলুপ এঁটে বসে রইলেন। আর একটি কথাও ম্যানেজারের মুখ থেকে শোনা গেল না।

কোম্পানি থেকে বেরিয়ে এসে অনুব্রতকে মাথাব্যথার ওষুধ খেতেই হল। ওষুধ খেয়ে মাথার যন্ত্রণা কমলেও পেটের যন্ত্রণা কিন্তু কমল না। এই পেটের যন্ত্রণার কারণ দুপুরে টিফিন করেনি বলে। তাই এখন এমন একটি স্থান খুঁজতে হবে যেখানে বসে টিফিন করা যায়। হাইওয়ের ধার ঘেঁষে হাঁটছে সে। একেকটা গাড়ি সাঁই সাঁই করে তার পিছনের দিকে ছুটছে। তবে খুব একটা হাঁটতে হল না স্থানটি খোঁজার ক্ষেত্রে। সে একটি আমগাছের বেদিতে বসল। এরপর ব্যাগ থেকে টিফিন বক্স আর জলের বোতল বের করল। আজ টিফিনে সে এনেছে রুটি, আলুভাজা আর একটা কলা।

সূর্যের আলো হালকা হয়ে এসেছে। এদিকে হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি লাইট পোস্টের ভ্যাপারের আলোগুলো ধীরে ধীরে গভীর আলোতে পরিণত হতে ব্যস্ত হাইওয়ের শরীরে মায়াবী আলোর আঁচল পেতে দেবে বলে। দূরে কৃষ্ণচূড়াগাছের উপরটাতে পূর্ণিমার চাঁদ জ্বলজ্বল করছে। শীতল হাওয়ার স্পর্শে শরীর থেকে ক্লান্তি দূর হতেই অলস হয়ে পড়া অনুব্রত টিফিন খেতে খেতে হেলান দিল গাছের গুঁড়িতে। সে বেশ আয়েশ করে টিফিন খাচ্ছে।

“বাবু, চা খাবেন?”

মগ্নতা কাটে অনুব্রতর। সে ডানদিকে তাকিয়ে দেখল, এক কিশোর দাঁড়িয়ে। হাতে তার কেটলি, আর গলাতে ঝুলছে প্লাস্টিকের ছোটো ছোটো কাপের বান্ডিল। অনুব্রত তন্ময় হয়ে বলল, “খাবেন মানে! ওরে ভায়া, চা যে আমার কাছে সঞ্জীবনী। শুভ কাজে দেরি নয়, দে।”

“বাবু চিনি ছাড়া, না চিনি দিয়ে?”

অনুব্রত দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, “জীবনটা বড়ো ফিকে। চিনি ছাড়া চায়ের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।”

কিশোর প্লাস্টিকের কাপভর্তি চা বাড়িয়ে দিয়ে চিকন স্বরে বলল, “আমার মা বলে, যাদের জীবন ফিকে হয়, তারাই এই পৃথিবীতে থাকার সুখদুঃখ নির্ভেজাল অনুভব করতে পারে।”

“সত্যি তাই। তোর নাম কী?”
“ঘরে নেই নুন, সবাই আমাকে ডাকে মিঠুন।”
অনুব্রত হাসি সংযম করে চোখদুটি বড়ো করে বলে উঠল, “তুই আমার সঙ্গে মশকরা করছিস?”
“না বাবু, মশকরা নয়, সত্যি আমার নাম মিঠুন। নাম বলার আগে যে কথাটা বলেছি, ঘরে নেই নুন, এই কথাও সত্যি।”
অনুব্রতর মুখ চুপসে গেল। সে বলে ওঠে, “তোরা খুব গরিব, না? খুব কষ্টে তোদের বেঁচে থাকতে হয়।”
“আসলে বাবু, হুঁশ আসা মাত্রই কষ্টকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, তাই কষ্টে আছি তা আজ আর মনে হয় না।”
“তোর ঘরে কে কে আছে?”
“বাবা-মা। আমি তাদের একমাত্র ছেলে।”
“কী কাজ করে তোর বাবা?”

“রিক্সা চালায়। নামেই চালায়। দু-তিন টিপ চালায় সারাদিনের মদের টাকা তুলতে। মা লোকের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে এতদিন সংসার চালিয়েছে। এখন আর মাকে কাজে যেতে দিই না। বাজারের মোড়ে একটা চায়ের দোকান করেছি, বাবু। আর কয়েকটা কারখানা ও অফিস ধরেছি। সেখানে কর্মচারীদের রোজ দু’বেলা চা দিয়ে আসি। মাসের শুরুতে মালিকরা টাকা দিয়ে দেয়।”

“বাহ্‌। আচ্ছা মিঠুন, তুই বাবাকে কাজে যেতে বারণ করিস না?”

“কতবার বারণ করেছি। যখনই বারণ করি বাবা সেই একই কথা বলে, ‘আমার ইনকামের টাকাতে তোকে কোনওদিন খাওয়াইনি। এখন তোর ইনকামের টাকাতে খেতে যাব কোন দুঃখে?”

সহানুভূতির স্বরে অনুব্রত বলল, “তোর বাবা ঘরে খায় না?”

“হ্যাঁ খায়। মা কাজে যাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে বাবা সংসারে সামান্য টাকা দিচ্ছে।”

অনুব্রতর কেন যেন মনে হচ্ছে অন্যের হাঁড়ির খবর নিতে শুরু করেছে। তা যদি হয়, খুব অন্যায়। বিষয়টা থেকে সরে যাওয়ার জন্য চায়ে চুমুক দিয়ে সে বলে উঠল, “বাহ্‌, দারুণ চা বানিয়েছিস! হ্যাঁ রে, দামি চা-পাতা ব্যবহার করিস বুঝি?”

অনুব্রতর কথাটি মিঠুন কানেই নিল না। সে বলে, “বাবু, এই বছর আমার একটা স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে জানেন?’’

অনুব্রত বুঝল, মিঠুন মনের কথা বলার লোক পেয়েছে। এখানে মোটেও অন্যের হাঁড়ির খবর জানার আগ্রহ অনুব্রতর নেই। তাই মিঠুনের মন যাতে হালকা হয়, সেই কারণে সে বলল, “কী স্বপ্ন?”

“আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল বাবা-মাকে দূরে কোথাও ঘুরতে পাঠানোর। এই বছর পাড়াতে পুরীর ট্যুর ছেড়েছিল। মায়ের হাতে টাকা দিয়ে বলেছি, ‘বাবাকে বলবে তোমার জমানো টাকা দিয়ে ঘুরতে যাচ্ছ। বাবা-মা আটদিনের জন্য পুরী ঘুরে এল।”

“তুই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে সুখকে বের করে আনিস?”

মিঠুন স্মৃতিচারণ করে উঠল, “আমি তখন খুব ছোট্ট ছিলাম। আমাদের টালির ঘর ছিল। ঘরের চারদিকের বেড়াগুলো ডিমের মতো বেঁকে গেছিল। এখন তো সরকার আমাদের বস্তিবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে ফ্ল্যাট করে দিয়েছে। সত্যি কথা বলতে বাবু, আমার টালির ঘরটাতে থাকতে ভীষণ ভালো লাগত। একদিন সন্ধ্যাবেলা খুব ঝড় আসে। বাবা ঘরে ছিল না, হয়তো মদ খেয়ে কোথাও পড়ে ছিল। এদিকে চৌকির নিচে মা আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে ছিল। শুরু হয় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। টালির এখান ওখান দিয়ে টুপটাপ জল চুয়ে পড়তে লাগল। চৌকির নিচ থেকে মা বেরিয়ে এসে পড়তে থাকা জলগুলোর স্থানে বাটি, গ্লাস, থালা, কাপ ছুটে ছুটে রাখছে। আমাকে চৌকির নিচে গুটিসুটি মেরে বসে থাকতে দেখে মা বলে উঠল, ‘বেরিয়ে আয়।’ আমি ভয়ার্ত কণ্ঠে বললাম, ‘না।’ মা জোর করে চৌকির নিচ থেকে আমাকে বের করে বলে ওঠে, ‘এই নে বাটি, ওই যে টালি চুঁইয়ে জল পড়ছে, ছুটে গিয়ে ওর নিচে রেখে দে।’ আমি ছুটে গিয়ে জল পড়তে থাকা স্থানে বাটি রাখলাম। আবারও মা অন্য এক স্থানে কাপ রাখতে বলল। আবার… প্রথম প্রথম আমার ভয় লাগছিল, যদি টালি ভেঙে পড়ে যায়! কিন্তু মায়ের সঙ্গে সেই খেলাতে মেতে ওঠার পর কখন যে ভয় মন থেকে উড়ে চলে গেছে টের পেলাম না। এর কয়েক বছর পর একদিন সেদিনের সেই মুহূর্তটির কথা মনে পড়তেই মুহূর্তটি নতুন করে ধরা দিল। সেদিন মা আমাকে নিয়ে শুধু খেলাতেই মেতে ওঠেনি, জীবনের একটি বড়ো শিক্ষা দিয়েছিল। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সুখ পাওয়া যায়। সেদিন ঝড়বৃষ্টির মুহূর্তে ভয়কে উপেক্ষা করে টালি চুঁইয়ে পড়তে থাকা জলগুলোর স্থানে একের পর এক পাত্র রাখার খেলাতে মেতে কম সুখ পাইনি।”

কথা শেষ হতে না হতেই অনুব্রত বলে ওঠে, “তুই দারুণ ছেলে।”

মিঠুনের মুখে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠল। সে বলে, “বাবু আবার কোনওদিন এখানে এলে আমার চায়ের দোকানে আসবেন। জমিয়ে আড্ডা হবে। দেরি হয়ে গেছে। আজ চলি।”

“চায়ের দামটা কত হয়েছে?”

“চার টাকা।”

অনুব্রত দশ টাকার নোট বের করে মিঠুনের হাতে দিল। মিঠুন চার টাকা কেটে বাদবাকি খুচরো ফিরত দিয়ে হাইওয়ের ওপারে চলে গেল। বুক পকেটে বাদবাকি খুচরো রেখে মিঠুনের দিকে অনুব্রত চেয়ে রইল। আকাশের সূর্য অস্ত গেলেও মাটির বুকে মিঠুন সূর্য রূপে চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। যার আলো অনুব্রতর মন থেকে একটি হতাশার অন্ধকারকে দূর করে দিয়েছে। প্রমোশন নিয়ে সে ক’দিন ধরে হতাশাতে ভুগছিল।

ওদিকে মিঠুন হাঁটতে হাঁটতে দাঁড়িয়ে পড়ল। হাতের ইশারাতে অনুব্রতকে বোঝাল সে, ‘দাঁড়ান আসছি।’ এই বলে মিঠুন হাইওয়ে পার হতে লাগল। মিঠুনের ইশারাতে ভাবনার ঘোর কাটতেই অনুব্রতর মুখচোখ খুব দ্রুত আতঙ্কে ভরে উঠল। একটা লরি ছুটে আসছে। সেদিকে কোনও খেয়াল নেই মিঠুনের। হেলতে দুলতে পার হচ্ছে সে। অনুব্রত চিৎকার করে ওঠে, “মিঠুন, দাঁড়…”

কথাটি শেষ করতে পারল না অনুব্রত। বাকরোধ হয়ে যায় তার। ছুটে আসা লরি মিঠুনকে সজোরে ধাক্কা মেরে সোজা বেরিয়ে গেল। এদিকে ধাক্কা খেয়ে মিঠুনের দেহ কয়েক ফুট উপরে উঠে গিয়ে নিচে প্রচণ্ড গতিতে এসে পড়ল। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে লাগল তার। কয়েক সেকেন্ড হাত-পা ঝাপটাল। ধীরগতিতে একবার পলক ফেলল। এরপর সব শেষ।

হাইওয়ের শরীরে বিছানো মায়াবী আলোর আঁচলে পড়ে থাকা মিঠুনের নিথর দেহ ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসছে অনুব্ররত কাছে। একটা সময় এল চারপাশ শুধুই অন্ধকার। এই অন্ধকার যেন সূর্য অস্ত যাওয়ার মতো।

মুখে জলের ছিটে পড়তেই অনুব্রতর জ্ঞান ফিরল। চোখের সামনে আর অন্ধকার নেই। সে দেখল, সামনে গুটি কয়েকজন দাঁড়িয়ে। একজনের হাতে তার জলের বোতল। সেই ব্যক্তি বোতলের ছিপি আটকে বলে উঠল, “এখন ঠিক আছেন তো? সামনেই ডাক্তারখানা। যাবেন?”

ফ্যাকাসে মুখে ঘটনা স্থানটির দিকে দেখল অনুব্রত। কাতারে কাতারে লোক ঘটনা স্থানটি কেন্দ্র করে ভিড় জমিয়েছে। যার ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভিড়ের কোলাহল আর গাড়ির হর্নের প্যাঁ-পোঁ শব্দে অনুব্রতর আবার মাথা যন্ত্রণা শুরু হল। শুধু তাই নয়, শরীরটাও বেশ দুর্বল ঠেকছে। জড়ানো স্বরে সে বলে উঠল, “একটা ট্যাক্সি ডেকে দেবেন? আমি বালিগঞ্জ যাব।”

ব্যক্তি বলল, “যানজটের যা সৃষ্টি হয়েছে, স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে। একটা কাজ করা যায়, আমি রিক্সা ডেকে দিচ্ছি। রিক্সা চড়ে পাড়ার গলি-গালা দিয়ে ভি.আই.পি নগর চলে যান। ওখানে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড রয়েছে। বালিগঞ্জ যাওয়ার বাসও পেয়ে যাবেন। ডাকব রিক্সা?”

ব্যক্তির প্রস্তাবে অনুব্রত রাজি হয়ে গেল। রিক্সা ডাকা হল। রিক্সায় চড়ে বসার সময় অনুব্রত ভাবছিল, ভিড় ঠেলে একবার মিঠুনকে শেষবারের মতো দেখে আসবে কি না। কিন্তু তার সেই সাহসে কুললো না। রিক্সায় চড়ে বসল সে।

মণ্ডলপাড়া ধরে রিক্সা এগিয়ে চলেছে। হঠাৎ অনুব্রতর মনে হল, তার কাঁধটা ভার ভার ঠেকছে। যেন কেউ তার কাঁধে ভারী কিছু চাপিয়ে দিয়েছে। বাড়িতে ঢোকার আগে একবার সুকোদার চেম্বারে গিয়ে চেক-আপ করিয়ে নিতে হবে। চোখের সামনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পর মানসিক আর শারীরিক অবস্থা যে কারও ক্ষেত্রে বিগড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

বারবার মিঠুনের নিরীহ মুখটা অনুব্রতর চোখের সামনে ভেসে উঠছে। তার কানের সামনে ঘুরঘুর করছে মিঠুনের সহজ সরল কথাগুলো। কিন্তু কাঁধে কী চড়ে বসল? ভীষণ ভার ভার লাগছে।

“বাবু, ভি.আই.পি নগর চলে এসেছি।” রিক্সাওয়ালা বলে উঠল।

ঘোর কাটে অনুব্রতর। সে দেখে, সামনেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। রিক্সা থেকে নেমে সে বলল, “কত দেব?”

“আজ্ঞে, বাইশ টাকা।”

ম্যানিব্যাগ থেকে কুড়ি টাকা বের করল অনুব্রত। এরপর বুক পকেট থেকে খুচরোগুলো বের করল। খুচরোগুলোর দিকে তাকাতেই তার মাথা চক্কর দেওয়ার উপক্রম। সে খুচরোগুলো গুনছে, একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার… ততবারই মনে হচ্ছে গুনতে ভুল করছে সে। হিসেব মিলছে না।

খুচরো নিয়ে অনুব্রতর পাগলামো দেখে রিক্সাওয়ালার অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। রিক্সাওয়ালা এক ঝলক দেখেই গুনে নিল। অনুব্রতর ডানহাতে রয়েছে দুটি দু’টাকার কয়েন, আর একটি এক টাকার কয়েন। মোট পাঁচ টাকা। রিক্সাওয়ালা কিছু বলার আগে অনুব্রত বলে উঠল, “দাদা, আমার হাতে কত টাকা আছে?”

রিক্সাওয়ালা বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে বিজ্ঞের মতো বলল, “পাঁচ টাকা।”

“তার মানে!” অনুব্রত কিছু একটা বলতে গিয়ে চুপ হয়ে গেল।

অনুব্রত বলতে যাচ্ছিল, তার মানে মিঠুন রাস্তা পার হচ্ছিল অনুব্রতকে এক টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য! মিঠুন ভুলবশত তাকে ছয় টাকা দেওয়ার বদলে পাঁচ টাকা দিয়ে ফেলেছিল।

এখন অনুব্রত বুঝতে পারছে, কেন কাঁধ ভার ভার লাগছে। মিঠুন কয়েনগুলো দেওয়ার সময় একবার যদি অনুব্রত দেখে নিত, তাহলে হয়তো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না। অনুশোচনার ভার অনুব্রতকে কাঁধে বহন করে যেতে হবে সারাজীবন।

অলঙ্করণঃ মৌসুমী

জয়ঢাকের সমস্ত গল্পের লাইব্রেরি এই লিংকে