গল্প একটা শালিক কিংবা দুটো শাশ্বতী চন্দ শরৎ ২০২০

শাশ্বতী চন্দের আরো গল্প  খরগোশের ডিম ও তুয়ার অংক খাতা, উড়ান, পিকুর রাঙাজ্যাঠা,হাতি কলাগাছ ও একটি কিশোর

একটা শালিক কিংবা দুটো

শাশ্বতী চন্দ

রাতের খাবার টেবিলে বসে মা বললেন, “তান্নির স্কুলটা বদলালে ভালো হত।”

বাবা বললেন, “কেন কেন? স্কুলটা কি ভালো নয়? কী রে তান্নি? আমি তো শুনেছে শহরের সেরা স্কুল এটা।”

তানিয়া ঢোঁক গেলে। কী করে বলে খারাপ? ঝকঝকে ক্লাসরুম, ঝলমলে মাঠ, হাসিখুশি দিদিমনিরা। পড়ানও যত্ন করে। সব মেয়েরা যে খারাপ, তাও বলা যায় না। শুধু একজন। শুধু একজনের জন্য বিচ্ছিরি লাগে সব। মেয়ে তো নয়, গুন্ডি একটা।

সেই যে প্রথম যেদিন বাবার সঙ্গে স্কুলে ভর্তি হতে গিয়েছিল সেদিনই মোলাকাত হয়েছিল তার সঙ্গে। তানিয়াকে করিডরে দাঁড় করিয়ে রেখে বাবা অফিস রুমে গিয়েছিলেন কিছু একটা খোঁজ নিতে। তখনই দেখেছিল একদল মেয়ে আসছে করিডর ধরে। আসতেই পারে। করিডরের শেষে যেহেতু ওয়াশরুম। তানিয়াকে পার করে যেতে যেতে থমকে গিয়েছিল দলটা। দলের ঠিক মাঝখানে যে ছিল সে মাথায় লম্বা অনেকটা। বেশ হৃষ্টপুষ্টও। সে সামনে এসে তানিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিল, “নতুন ভর্তি হবি?”

তানিয়া মাথা নাড়তেই আবার জিজ্ঞেস করেছিল, “কোন ক্লাস? কী নাম? আগে কোথায় পড়তি?”     মেয়েটার কথার মধ্যে এমন একটা ওস্তাদি ভঙ্গি ছিল যে তানিয়ার মোট্টে ভালো লাগেনি। তবু শান্তভাবেই উত্তর দিয়েছিল, “ক্লাস এইটে ভর্তি হব। আগে মালদায় ছিলাম। ওখানে একটা স্কুলে পড়তাম। বাবার এখানে বদলি হল তো। তাই এসে গেলাম শিলিগুড়িতে। আমার নাম তানিয়া মিত্র।”

“আরে আমরাও তো ক্লাস এইট। এইট বি। তোর যদি বি সেকসন হয় বেশ মজা হবে। অনেক দিন স্কুলে কোনো নতুন মূর্গি থুড়ি মেয়ে আসেনি।”

তারপর সবাই মিলে খুব হেসেছিল। তানিয়া ভাব করার জন্য বলেছিল, “তোরাও ক্লাস এইট? কী নাম তোদের? ভালোই হল, এসেই বন্ধু পেয়ে গেলাম।”

কী এমন বলেছিল তানিয়া যে সবাই এত জোর হেসেছিল? লম্বা মেয়েটা হাসতে হাসতেই বলেছিল, “সবার নাম তো তোর এখন মনে থাকবে না। তবে আমার নামটা জেনে রাখ। মুখস্থ করে রাখতে পারিস। আমার নাম রণিতা। রণিতা দি গ্রেট। আর শোন, আমরা কোনো এলিতেলির সঙ্গে বন্ধুত্ব করি না।”

বলতে বলতেই এ ওর গায়ে হেসে ঢলে পড়তে পড়তে চলে গিয়েছিল ওয়াশ রুমের দিকে।

আচ্ছা অসভ্য মেয়ে তো। তানিয়াকে এলিতেলি বলল। ও কি জানে তানিয়া নাইনটি টু পার্সেন্ট নাম্বার পেয়েছে ফাইনালে? নামকরা এক চ্যানেলের গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম দশ জনের মধ্যে ছিল? রাগে গা জ্বলে উঠেছিল তানিয়ার। বাবা দূর থেকে দেখতে পেয়েছিলেন তানিয়া মেয়েদের সঙ্গে কথা বলছে। কাছে এসে বলেছিলেন, “বাহ। বন্ধু পেয়ে গেলি?”

বাবাকে সেদিন কিছু বলতে পারেনি তানিয়া। তারপরেও কী যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়েছে এই চার মাস ধরে, সেটাও বলেনি। বলতে পারেনি। নালিশকুটি মেয়ে তো নয় ও। তাহলে তো মিসদের কাছেই নালিশ করতে পারত রণিতার নামে।

এমনই ভাগ্য, বি সেকশনেই ভর্তি নেওয়া হয়েছিল ওকে। ক্লাসে এসে দেখেছিল, কী দাপট রণিতার! ক্লাসের সবাই ওর কথা শুনে চলছে। সেকেন্ড ও থার্ড বেঞ্চ পুরোটাই রাখা থাকে ওর আর ওর চ্যালা চামুন্ডিদের জন্য। যে যতই আগে আসুক না কেন, ওই বেঞ্চ দুটো ছেড়েই বসে।আর জানালার পাশের সিটটা খোদ রণিতার। জানত না তানিয়া এত কথা। দ্বিতীয় দিন ও বসে পড়েছিল ওই সিটে। বেশ ভালো তো সিটটা। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে নারকেল গাছের পাতার ঝিরিঝিরি। দূরের নীল পাহাড়। পড়তে পড়তে চোখ ক্লান্ত হয়ে এলে ওই দিকে তাকিয়ে জুড়িয়ে নেওয়া যাবে।

কিন্তু চোখ জুড়ানো তো দূরের কথা, ওই চোখ ভরে জল এসেছিল। রণিতা ক্লাসে ঢুকে তানিয়াকে ওই সিটে বসতে দেখে চুল ধরে টেনে উঠিয়ে দিয়েছিল। ব্যাগ ছুড়ে ফেলেছিল মেঝেতে। আচমকা মার খেয়ে ফুঁসছিল তানিয়া, “অসভ্য মেয়ে। মিসকে বলে দেব। মারপিট করতে স্কুলে আসিস নাকি?”

রণিতা আরো দু ঘা বসিয়ে দিয়েছিল পিঠে। ব্যথায় কুঁকড়ে গিয়েছিল তানিয়া। রণিতা বলেছিল, “বলে কোনো লাভ নেই। আমি বলব, তুই মিথ্যে কথা বলছিস।”

“বললেই হল? সারা ক্লাস দেখেছে তুই আমাকে মেরেছিস।”

“তাই? সারা ক্লাস তোর হয়ে সাক্ষী দেবে? ধুস। কারো সাহস আছে আমার নামে উল্টোসিধে বলার? বিশ্বাস না হয় নিজেই দেখ। কী রে আমি ওকে মেরেছি? তোরা কেউ দেখেছিস?”

অদ্ভূত। ক্লাসে পঞ্চাশ জন মেয়ে। সবাই মাথা নেড়েছিল। না। দেখেনি।

তানিয়ার মাথায় চাঁটি মেরে রণিতা বলেছিল, “যা। প্রথম দিন বলে ছেড়ে দিলাম। কাল আমার জন্য রসগোল্লা নিয়ে আসবি। তোর পেনাল্টি।”

তানিয়া বুঝে গিয়েছিল বড় ভয়ঙ্কর জায়গায় এসে পড়েছে। যে কারণেই হোক, রণিতাকে ক্লাসসুদ্ধ মেয়ে ভয় করে। রণিতার সঙ্গে লড়াইয়ে ও কাউকে পাশে পাবে না। তাই নালিশ করতে পারেনি সাহস করে। টিফিন পিরিয়ডে ওয়াশরুমে গিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেছে। আর বাড়িতে গিয়ে মা কে বলেছে, “কাল আমার টিফিনে রসগোল্লা দেবে।”

মা অবাক হয়েছেন। তানিয়া রসগোল্লা খেতে একদম ভালোবাসে না। হঠাৎ হল কী! বাচ্চা মেয়ের খেয়াল মনে করে দিয়েও দিয়েছেন পরেরদিন। রসগোল্লার রস পর্যন্ত চাটতে চাটতে বলেছে রণিতা, “বাহ। বেশ ভালো মেয়ে তো তুই। কাল চাউমিন আনিস। চিকেন চাউমিন হলে ভালো। নাহলে এগ চাউমিন হলেও চলবে।”

সেই শুরু। রোজই কিছু না কিছু ফরমাশ থাকে রণিতার। সেই মতো মায়ের কাছে বায়না করে বানিয়ে নিয়েও যায়। দুঃখের কথা, এক ফোঁটাও চেখে দেখতে পারে না তানিয়া। সব গিয়ে পেটে ঢোকে ওই রাক্ষসী রণিতার। তার চ্যালা চামুন্ডিরাও ভাগ পায় কিছু। পেটে খিদে নিয়ে, জিভে তিতকুটে স্বাদ নিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে রণিতা।

ব্যাপারটা যদি শুধু খাবারদাবারেই আটকে থাকত, তাও নাহয় কথা ছিল একটা। কিন্তু যেদিন থেকে রণিতা বুঝল, তানিয়া পড়াশোনাতেও ভালো, অত্যাচারের মাত্রা বাড়ল। নিত্য নতুন আবদার। হোম ওয়ার্ক করে দিতে হবে। ক্লাসনোটগুলো ফেয়ার করে লিখে দিতে হবে। এত ফাঁকিবাজ মেয়ে! নিজে একটাও প্রজেক্ট বানাল না। সব তানিয়াকে দিয়ে করাল।

আজ ছিল ভূগোল প্রোজেক্ট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। দুজনের প্রজেক্ট করার চাপে নিজের প্রোজেক্টই সময়মতো জমা দিতে পারল না তানিয়া। ভূগোল মিস হেড ডাউন করে দাঁড় করিয়ে রাখলেন আজ। জীবনে প্রথমবার পড়াশোনায় গাফিলতির জন্য শাস্তি পেল তানিয়া। কী লজ্জা! কী লজ্জা! কাটা ঘায়ের নুনের ছিটার মতো রণিতা আর চামুন্ডীগুলো হেসে গেল ফিকফিক করে।

অনেকদিন চেপে রেখেছিল। আজ আর পারল না। হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সব বলে দিয়েছে বাড়িতে। সব শুনেটুনে মায়ের তো মাথায় হাত। গলায় খেদ নিয়ে বলেন, “তাই বলি রোজ রোজ নিত্য নতুন টিফিনের ফরমাশ কেন। যে মেয়েকে খাওয়াতে হিমশিম খেয়ে যেতাম সে মেয়ে হঠাৎ এমন ভোজনবিলাসী হয়ে উঠল কেন? তাও ভাবতাম, জায়গা বদল হয়েছে তাই বুঝি খিদে বেড়েছে। আবার ভাবতাম, এত খেয়েও গায়ে গত্তি লাগে না কেন? দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। আজ বুঝলাম, কত কষ্ট বুকে চেপে রেখেছিলি। আসুক তোর বাবা। ঐ পাজি মেয়েগুলোর ব্যবস্থা করছি।”

বাবা সব শুনলেন ধৈর্য ধরে। প্রথম দিনের কথা থেকে। খেতে খেতে শুনলেন। গালে হাত দিয়ে শুনলেন। বেসিনে হাত ধুতে ধুতে শুনলেন। তারপর এসে চেয়ারে বসলেন।বললেন, “বেশ। এখন আমাকে কী করতে বলো?”

“প্রিন্সিপালকে বলো। নালিশ করো।”

 “উহু। এ তোমার লড়াই। তোমাকেই লড়তে হবে। আমি তোমাকে মানসিক সাপোর্ট দিতে পারি। আর বেশি কিছু না।”

তানিয়া হকচকিয়ে গেল, “আমি পারব না।”

“তাহলে মার খেতে হবে। ব্যাস। সোজা হিসেব।”

তানিয়ার ভরসা ছিল বাবা রুখে দাঁড়াবেন। সে ভরসা ভেঙে যেতে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল।

তানিয়ার মাথায় হাত রেখে বললেন বাবা, “কেঁদেককিয়ে কিচ্ছু হয় না রে। সারা জীবনে কত বার কত লড়াই করতে হবে তার ঠিক আছে কিছু? আমি তো থাকব না চিরদিন। তাই অভ্যাস করাই তো ভালো।”

“হুঁ। জানি। কিন্তু ওদের সঙ্গে আমি পারব কী করে? কেউ তো আমার পক্ষে নেই।”

“তো? সত্যির পথে একাই যেতে হয়। একাই লড়তে হয়।”

“কী করে লড়ব? আমি একা। ওরা অনেকজন। আর রণিতার গায়ে অনেক জোর। যেদিন মেরেছিল আমাকে সেদিনই টের পেয়েছি।”

“দূর বোকা। মানুষ কি গায়ের জোরে লড়ে? মনের জোরে লড়তে হয়।”

“আমাকে তবে ক্যারাটে ক্লাসে ভর্তি করে দাও।”

“এই আইডিয়াটা মন্দ না। মার্শাল আর্ট রপ্ত করা ভালো। আত্মরক্ষার বর্ম। তবে সে শিখতে তো সময় লাগবে। ততদিন কি পড়ে পড়ে মার খাবি?”

“তবে কী করব? বলে দাও আমাকে।”

“একবার ভাব, ক্লাসে এত মেয়ে থাকতে তোর ওপর কেন এত হুজ্জোত করছে? কারণ তুই নতুন ভর্তি হয়েছিস। বাকিরা বহুদিন ধরে এক সঙ্গে পড়ে আসছে। সকলেরই কিছু না কিছু বন্ধু আছে। কিন্তু তুই একা। আর যেহেতু তুই রণিতার টার্গেট, সাহস করে কেউ তোর সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না।”

“তাহলে কী হবে?”

“জানিয়ে দিতে হবে তোরও সাহস আছে। শোন, যারা দলবল নিয়ে কোনো অসহায়ের ওপর চড়াও হয় তারা আসলে ভিতরে ভিতরে দূর্বল। সেই যে তোকে কবিতা শোনাতাম, ‘যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তোমা চেয়ে/ যখনি জাগিবে তুমি তখনই যে পলাইবে ধেয়ে।’ ব্যসা। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলব না। এবার তুমি লড়বে। জিততে পারলে ট্রিট। কে এফ সি। ডোমিনজ। যা চাইবে। প্রমিস।”

পরের দিন তিনতলার করিডরে থামের আড়ালে লুকিয়ে বসে এইসবই ভাবছিল তানিয়া। টিফিনের সময় রণিতা অ্যান্ড কোং ওয়াশ রুমে যেতেই চট করে উঠে এসেছে এখানে। খুঁজবে ওরা। খুঁজুক। তিনতলায় ইলেভেন টুয়েলভের দিদিদের ক্লাস হয়। এখানে তাকে চট করে আসবে না ওরা। কিন্তু ফিরতে তো হবে এক সময়। তখন? যাক গে। পরের কথা পরে ভাববে। এখন টিফিন খাওয়া যাক মজা করে। বক্স খুলল। মা হালুয়া বানিয়ে দিয়েছেন আজ। সঙ্গে নারকেলের নাড়ু। অনেকদিন পর টিফিন খেতে পাচ্ছে। তখনই শালিকটাকে দেখল। খালি বারান্দায় এক্কা দোক্কা খেলার ভঙ্গিতে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে।

“কী রে? তুইও একা? আমার মতো?  হালুয়া খাবি?”

কিছুটা হালুয়া গোল্লার মতো করে পাকিয়ে ছুঁড়ে দেয় তানিয়া। এগিয়ে এসে ঠোঁটে তুলে নেয় শালিক। টকর টকর টয় টয় আওয়াজ তোলে। যেন বলতে চায়, ধন্যবাদ।

এবার একটা নাড়ু তুলে এগিয়ে দেয়। নির্ভয়ে এগিয়ে আসতে থাকে শালিকটা। তখনই পাঁচিলের ওপর থেকে ঝাপ দেয় কাকটা। লক্ষ নাড়ু। টির টিটির, টো, ঝগড়া করে শালিক। কাক এবার ওর গায়েই ঝাঁপায়। লেগে যায় ঝটাপটি। উত্তেজনায় সোজা হয়ে দাঁড়ায় তানিয়া, মেরে ফেলবে তো পাজি কাক ছোট শালিকটাকে। হাতের কাছে ঢিল না পেয়ে টিফিন বক্সের ঢাকনা তোলে। ছুঁড়ে মারবে বলে। ততক্ষণে তানিয়াকে অবাক করে একরত্তি পাখিটা উলটে ঠোকরাতে শুরু করে কাকটাকে। ঘুরে ঘুরে ঠোকরায়। লাফিয়ে লাফিয়ে ঠোকরায়। একটু পরেই চোঁ চোঁ পালায় কাক। হেরো কাক।

নাড়ুটা খায় শালিক। ধীরেসুস্থে। গলায় আওয়াজ তোলে, টো। যেন বলে, ছো। আমি পারি। তুমি পারো না?

টিফিন শেষ করে তানিয়া। নিশ্চিন্ত মনে। রণিতা সঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এদিকে আসছে দেখেও নড়ে না। ঘাড়ে হাত পড়তে শুধু আলগোছে হাত সরিয়ে দেয় রণিতার। রাগী গলায় বলে রণিতা, “টিফিন খেলি? লুকিয়ে লুকিয়ে? এত বড় সাহস?”

রণিতার চোখে চোখ রাখে, “আমার টিফিনের ভাগ যদি চাস তাহলে ভালোয় ভালোয় বন্ধুত্ব করতে আসিস। নাহলে তোর টিফিন তুই খাস। আমার টিফিন আমি খাব। কাল থেকে।”

“কথা বেড়েছে যে খুব।” ঘুষি পাকায় রণিতা। সে ঘুষি ধরে ফেলে তানিয়া, “এত দিদিগিরি কিসের তোর? ক্লাসমেট ক্লাসমেটের মতো থাকবি। বুঝেছিস।”

সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে তানিয়া। রণিতা ও তার সাঙ্গপঙ্গদের হাঁ হয়ে যাওয়া মুখ তাকিয়েও দেখে না। শুধু দেখে শালিকটা কার্নিশে বসে ওকেই দেখছে। চোখ নাচায় তানিয়া, “কী রে, কেমন দিলাম?”

খুশিতে এক পাক ঘুরে যায় শালিকটা। টকর টকর। যেন বলে, জব্বর। জব্বর।

অলঙ্করণ: ইন্দ্রশেখর 

জয়ঢাকের সমস্ত গল্পের লাইব্রেরি এই লিংকে

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s