মলয় সরকারের আগের গল্প টুসকি
মলয় সরকার
আমার দাদু ছিলেন শিলিগুড়ির কাছে এক চা-বাগানের ডাক্তার। তখনকার চা-বাগানের সঙ্গে আজকের চা-বাগানের অনেক তফাত। সদ্য সেইমাত্র সাহেবরা দেশ ছেড়েছে, কিন্তু তাদের গায়ের সাহেবি গন্ধ চতুর্দিকে তখনও ম ম করছে। তাদের সঙ্গে যাদের গা ঘেঁষাঘেঁষি ছিল এতদিন, সেইসব দিশি সাহেবরা পুরনো সাহেবদের সম্মান আর সুবিধে ভোগ করছেন আর তাঁদের দিশি গিন্নিরা মেম সাহেব সেজে চাকরবাকর আর অধস্তনদের সেবা নিচ্ছেন। পুরনো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া বাড়ি, গাড়ি, আসবাব, লন, ক্লাব, মায় চাকরবাকর পর্যন্ত শুধু হাতবদল হয়েছে মাত্র। আদবকায়দায় সাহেবিয়ানা পুরোমাত্রায় বর্তমান।
সেই সময়ের ডাক্তার—তাঁর তখন ঠাটবাট, চালচলনই আলাদা। বাড়িতে ঘোড়া আছে, সহিসও আছে, পাহাড়ি বস্তিতে বা একটু উঁচুনিচু দুর্গম জায়গায় রোগী দেখার জন্য। আবার পুরনো অস্টিনও একটা আছে শহরে যাওয়া বা হাওয়া খাওয়ার জন্য। থাকার জন্য আছে বিশাল এক চারদিকে অনেকটা জমি নিয়ে বাগানের মাঝখানে আগাপাশতলা কাঠের ঢাউস এক দোতলা বাড়ি। তখন আসাম, উত্তরবঙ্গ বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কাঠের বাড়ি খুব ছিল। এখনও দু-চারটে কোথাও কোথাও আছে, তবে অনেক কমে এসেছে। তখন জঙ্গলও ছিল প্রচুর, কাঠও ছিল সস্তা। সিমেন্টের বাড়ির চেয়ে কাঠের বাড়িতে খরচ কম ছিল। গরমকালে বা শীতকালে আরামদায়কও ছিল। চারপাশের জঙ্গলে তখন প্রচুর নানাধরনের পাখি, যেমন ধনেশ, পাহাড়ি ময়না, ম্যাকাও ধরনের বড়ো তোতা ইত্যাদি নানাধরনের, বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য সব পাখি পাওয়া যেত। আর আকছার দেখতে পাওয়া যেত ছোটো ছোটো গুল-বাঘ, যেগুলো ঠিক চিতাও নয়, আবার বড়ো বাঘও নয়। তারা বেশিরভাগই চা-বাগানের মতো ছোটো ছোটো ঝোপ-জঙ্গলে লুকিয়ে থাকত আর ছাগল কি বাছুর মেরে খেত। এরা বেশিরভাগই মানুষ খেত না, যদিও বেকায়দায় পড়লে ছোটো ছেলে বা বড়োদেরও আক্রমণ করত।
সেই যুগে আমার দাদু ছিলেন চা-বাগানের ডাক্তার। এই ডাক্তারদের, ক্ষেত্রবিশেষে বাগানের আর্থিক অবস্থা বা বড়ো-ছোটর উপর তাদের পাওনাগণ্ডা বা যাকে বলে স্ট্যান্ডার্ড, সেটা নির্ভর করত। অনেক সময় এক ডাক্তারকে অন্য বাগানেও যেতে হত রোগী দেখতে। কারণ, সব বাগানে ডাক্তার থাকত না।
অন্যান্য চাকরবাকর ছাড়াও দাদুর ছিল এক নেপালি চাকর। তার নিজের নাম কী ছিল কে জানে, তাকে ডাকা হত কাঞ্চা বলে। এতে ও সেই নামেই সাড়া দিত, খুশিও ছিল। কাঞ্চাকে কখনও দেখিনি তার নিজের বাড়ি যেতে বা নিজের বাড়ির লোকেদের ব্যাপারে কথা বলতে। ওর যেন দাদুর বাড়িটাই ছিল নিজের বাড়ি।
আর ছিল এক কালো কুচকুচে বাঘের মতো মোটাসোটা বড়ো বড়ো লোমওয়ালা পাহাড়ি কুকুর, কালে। এই কাঞ্চা আর কালের মধ্যে একটা বড়ো মিল ছিল যে, দু’জনেই চেহারায় গাট্টাগোট্টা, কর্মঠ হলেও চোখে ছিল দু’জনেরই ভীষণ সরলতা আর ব্যবহারে ততোধিক নম্রতা, প্রভুভক্তি ও সৌজন্যতা।
দুই মামা আর এক মাসিকে নিয়ে দাদু-দিদার রাজকীয় সংসার। চা-বাগানে তখন ডিস্পেন্সারি ছোটো হলেও ডাক্তারের পদমর্যাদা কম নয়। ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, বাগানবাবুর পরেই ডাক্তারবাবু। যেহেতু কাছাকাছি আর অন্য কোনও ডাক্তার নেই বা শহরের হাসপাতালও খুব কাছে বা সুলভ নয়, কাজেই আপদে বিপদে ম্যানেজার থেকে বাগানের কুলি-কামিন সবারই বেশ শ্রদ্ধার আসনে ছিলেন ডাক্তারবাবু, দাদু।
আমাদের গরমের ছুটি পড়লে তখনকার গঙ্গার উপর দিয়ে রেলের লঞ্চে সকরিগলি ঘাট, মণিহারি ঘাট পেরিয়ে তবে গাড়ি বদল করে পৌঁছানো হত শিলিগুড়ি জংশনে। তখন তো আর আজকের মতো ফারাক্কা ব্রিজ ছিল না। সে তো আরও অনেক পরের ঘটনা।
আমরা গিয়ে হাজির হলেই বাড়িতে সাজো সাজো রব পড়ে যেত। বাবা পেত জামাই আদর, মা তো বড়ো মেয়ের আদর আর আমরা তো সমবয়সী ছোটোমামাকে নিয়ে যেন হাতে স্বর্গ পেতাম। আর সঙ্গে পেতাম বাড়তি দু’জন কাঞ্চা আর কালেকে। কাঞ্চার উপর ভার পড়ত বাড়ির ফাইফরমাস খাটা ছাড়াও আমাদের তিন মূর্তির, দাদা, আমি আর ছোটোমামার দেখভাল করার। সেও বড়ো আনন্দে রাজি হত। আমাদের সঙ্গে খেলা, আমাদের বিকালে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, আমাদের ঘোড়া হয়ে পিঠে চাপানো এইসব তার অবশ্য কর্তব্যের মধ্যে পড়ত। বিকাল হলেই আমরা জামা-জুতো পরে রেডি। কাঞ্চা তৈরি হত গাড়ি নিয়ে। গাড়ি বলতে একটা বড়ো কাঠের প্যাকিং বাক্সকে তলায় এবং পাশে চাকা লাগিয়ে একটা বড়ো হ্যান্ডেল লাগানো ছিল টানার ও ঠেলার মতো। সেই গাড়ির মধ্যে আমরা তিন মূর্তি বসতাম আর কাঞ্চা রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যেত ছোট্ট পাহাড়ি নদী পঞ্চানীর ধারে। তাতে পায়ের পাতা ডোবা তিরতির করে বয়ে চলা জলে খেলে বেড়াত ছোটো ছোটো মাছের দল। সেই জলে নেমে ছোটো ছোটো হাতে মাছ ধরে কচুপাতার ঠোঙায় জল ধরে তাতে সাময়িকভাবে রাখা হত। আমাদের উৎসাহের আধিক্যে অনেক সময়ই বেশ কিছু মাছের পঞ্চত্ব পেতে দেরি হত না। আমি পরে ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের’ ‘চন্নের’ বেড়াতে নিয়ে যাবার সাথে আমাদের এই বেড়ানোর ছবির বেশ মিল খুঁজে পেতাম।
আমাদের এই বৈকালিক ভ্রমণের সঙ্গী ছিল কালেও। সে আমাদের ঠেলা গাড়ির পাশে পাশে আমাদের সঙ্গে পাহারা দিয়ে নদী অবধি যেত, আবার ফিরত। নদীতে গিয়ে কালে যেন ছোট্ট শিশুটি হয়ে যেত। জলে নেমে, জল ছিটিয়ে, লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে, ডিগবাজি খেয়ে ও যেন বাঁধন হারা হয়ে যেত। তেমনি ফেরার সময় ও উঠতেই চাইত না। কাঞ্চা ওকে ডেকে ডেকে বকাবকি করে তুলে আনতে বেশ বেগ পেত।
কালের এমনি অন্য সময়ে কাজ ছিল আমাদের খেলার সঙ্গী হওয়া। আমরা দু’জন বা কখনও তিনজনেও ওর পিঠে চেপে বসে ওকে ঘোড়া করতাম। আর ও নির্বিবাদে আমাদের পিঠে নিয়ে মজা করে ঘুরত। ওকে যখন কান ধরে বসতে বলতাম, ও বসত; আবার যখন উঠতে বলতাম, ও উঠত। এই তিন শিশুর ভাষা ও কী করে বুঝত এবং অবলীলাক্রমে তামিল করত ভাবলে আজ বড়ো আশ্চর্য লাগে। খেলাধুলো হলে দুপুরবেলা ও চা-বাগানের কোথায় কোথায় ঘুরতে চলে যেত কে জানে। আমার দাদুর ডিস্পেন্সারি থেকে ফিরতে একটু দেরি হত। কাজেই দ্বিপ্রাহরিক ভোজনেরও কিছু দেরি হত। সেই ভোজনের পর মাছ-মাংসের বেশ কিছু বেঁচে যাওয়া পরিত্যক্ত অংশ বাটিতে নিয়ে দাদু চিৎকার করে ডাকতেন, “কালে! কালে!”
কালে যেখানেই থাক, ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে দৌড়ে, লেজ নাড়তে নাড়তে চলে আসত সেই ‘পরমান্ন’ সেবা করতে। তারপর কালে আবার অদৃশ্য হয়ে যেত চা-বাগানের কোন নিভৃত অঞ্চলে। রাতেও আমার দাদুর খেতে একটু দেরি হত। তাই রাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত। অনেক নিশুত রাতে কালে দাদুর ডাকে সাড়া দিয়ে দরজায় এসে জানান দিত, আমি এসেছি। তারপর আবার প্রস্থান। আসলে ও যে ঠিক আমাদের বাঁধা পোষা কুকুর যাকে বলে সেটা ছিল না। ও ছিল স্বাধীনভাবে বিচরণ করা প্রকৃতি মায়ের কোলের বাঘের মতো চেহারার পাহাড়ি সন্তান। অথচ আমাদের আদরে ও আমাদের বাড়িতেই ঘোরাঘুরি করত বেশি সময়। রাতে যখন ও দাদুর ডাকে সাড়া দিত, আমরা তখন কোন স্বপ্নের দেশে বিচরণ করছি পক্ষীরাজ কালের পিঠে চেপে।
একবার কী হয়েছে, ও চা-বাগানের জঙ্গল থেকে এসেছে, দেখি ওর মুখে রক্ত। আমরা তো ভয় পেয়ে গেলাম, কী ব্যাপার! ওকে আমরা আমাদের ভাষায় বকাবকি করছি, কাকে মেরেছিস, কী ব্যাপার এইসব—ও কিন্তু খুব আদুরে লেজ নাড়া নেড়ে ওর যে আদর প্রাপ্য সেটা বোঝাতে লাগল। আমরা প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। ঘটনাটা আবিষ্কার করল কাঞ্চাই। ও যখন কালেকে কী ব্যাপার এইসব জিজ্ঞাসা করছে, কালে কী বুঝল কে জানে, হঠাৎ ও কাঞ্চার পায়জামা ধরে টানতে লাগল। কাঞ্চা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ওর সঙ্গে গিয়ে দেখে বাগানের ধারে এককোণে একটা বিষধর সাপ রক্তাক্ত অবস্থায় অর্ধমৃত হয়ে পড়ে আছে। তখনও খুব অল্প লেজটা নড়ছে। দেখেই তো কাঞ্চা চিৎকার করে উঠেছে। আমরা গিয়ে দেখে ভয় পেয়ে বড়োদের ডেকে আনলাম। সবাই তখন কালেকে জড়িয়ে ধরে কী আদর। ও না থাকলে যে এই তিন শিশুর কপালে কী লেখা ছিল কে জানে। কালে ঠিক সময়ে সেই বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করেছিল। আমাদের সবার আদরে কালে গর্বের সঙ্গে গরগর করতে করতে গায়ে গা ঘষতে লাগল। বোঝাতে লাগল যে দেখ, আমি কী বীরত্বের কাজ করেছি। কালের বীরত্বে ও দায়িত্ববোধে আমরাও যে গর্বিত হইনি তা নয়।
সকালে উঠে একদিন আমরা আবিষ্কার করলাম, নিচে থেকে দোতলায় ওঠার কাঠের সিঁড়ির হ্যান্ডেলে অনেকগুলো জান্তব নখের আঁচড়ের দাগ। আমরা একেবারে ফেলুদার মতো তিন মূর্তি গোয়েন্দার চোখ মেলে চুলচেরা অনুসন্ধানে বসলাম, ব্যাপারটা কী। তিনজনে তিনরকম ব্যাখ্যা দিই। কোনওটাই আর সবার মনঃপূত হয় না। শেষে কালেকে ডেকে ওকে বললাম, “কালে, তোর পা দেখি।”
কালে কী বুঝতে পেরেছিল কে জানে, ও তো বীরদর্পে অথচ বাধ্য প্রভুভক্ত প্রহরীর মতো, যেন এই ঘটনার প্রমাণ দিতে পা তুলে ওর নখ দেখাল। আমরা তিনজনেই তখন একমত হয়ে সিদ্ধান্তে এলাম যে, গতকাল গভীর রাতে বাড়িতে নিশ্চয়ই গুল-বাঘের আক্রমণ হয়েছিল। আর প্রভুভক্ত কালে নিশ্চয়ই তার সাথে বীরবিক্রমে লড়াই করে তাকে তাড়িয়ে বাড়িকে সুরক্ষিত রেখেছে। তাদের লড়াইয়ের সাক্ষী ওই কাঠের রেলিংয়ে আঁচড়ের দাগ। আমরা যখন এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি এবং কালের বীরত্ব ও প্রভুভক্তির ব্যাপারে আলোচনা করছি, মনে হল কালে যেন তা বুঝতে পেরেছে। তাই ও যেন আহ্লাদে গরগর শব্দ করতে লাগল। কাঞ্চা এই সময় বলতে এসেছিল, “কাল তো কালে রাতে বাড়িতে ছিল না।”
ওকে আমরা প্রায় এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিলাম। “তুই নিজেই তো ঘুমিয়ে থাকিস। ঘুমোলে তোর তো খেয়ালই থাকে না। তুই শুনতে পাসনি। ও কাল নিশ্চয়ই বাঘের সঙ্গে লড়েছে।”
এইসব শুনে কাঞ্চা চুপ করে গেল।
জানিয়ে রাখি, কাঞ্ছাকে দাদু-দিদিমার ডাককে অনুসরণ করে আমরাও ‘তুই’ সম্বোধন করতাম। এ নিয়ে কেউ কিছু মনে করত না।
কালে বেশ গর্বের সঙ্গে নাচতে নাচতে বেরিয়ে গেল।
এরপর এক কাণ্ড হয়েছিল। সেটা না বললেই নয়। কালে রাত্রে, আমাদের ঘরের বাইরে বারান্দায় একটা বেঞ্চ পাতা থাকত, তাতে ওর বাইরে ঘুরে বেরিয়ে যখন ইচ্ছা হত, এসে শুত। ওর পাশেই ছিল কাঞ্চার চৌকি।
একদিন কালে এরকম ঘুরে বেরিয়ে এসে ঘুমোচ্ছে। দাদু তো একটু রাত্রে খাওয়াদাওয়া করে বেশি রাত্রে ঘুমোতেন। আর দাদুর নাক ডাকত পাড়া কাঁপিয়ে। নাক ডাকছে না বাঘ ডাকছে, বোঝা মুশকিল। এসব আমরা শুনেছি অন্য সবার কাছে। দাদু সেদিন এরকমই ঘুমোতে ঘুমোতে হঠাৎ ঘাঁ-আঁক করে ভীষণ জোর নাক ডাকার আওয়াজ করে ওঠেন। আর বাইরে কালে সেই শুনে চমকে উঠে বেঞ্চ থেকে ধপাস করে পড়ে যায়। তাই দেখে নাকি কাঞ্চা জেগে উঠে হো হো করে হেসে উঠেছে। ব্যস, আর যায় কোথায়। লজ্জায় কালে সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে গেল। শুধু তাই নয়, তারপর থেকে ও আর ওই বেঞ্চেই শুত না।
কালে দীর্ঘদিন আমাদের এই পরিবারের একজন হয়ে ছিল। এরপর দাদু যখন রিটায়ার হয়ে চা-বাগান ছেড়ে চলে আসেন, তখন মামা-মাসি-দিদা সবাই কালেকে সঙ্গে নিয়ে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু দাদু বললেন, “কালে পাহাড়ি কুকুর তো, ও দক্ষিণ বাংলার অত গরমে থাকতে পারবে না, মরে যাবে।”
তখন সবাই অন্য কোনও উপায় না দেখে কালের গলা জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কেঁদে ভাসিয়েছিল। কালের চোখেও জলের রেখা চিকচিক করে উঠেছিল। ও কী বুঝেছিল কে জানে!
যেদিন সত্যি সত্যি দাদুর গাড়ি বাগান ছেড়ে চলে এল শেষবারের মতো, কালে ভোউ ভোউ করতে করতে বহুদূর ছুটতে ছুটতে এসেছিল। শেষে আর দৌড়তে না পেরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে চলন্ত গাড়ির দিকে মুখ করে হু হু আওয়াজ করে কেঁদে উঠেছিল। এদিকে চলন্ত গাড়িতেও চলছে সবার মধ্যে সেই কান্নার যৌথ প্রতিধ্বনি।
জয়ঢাকের সমস্ত গল্পের লাইব্রেরি এই লিংকে