বরুণের দোকানদারি-অদিতি ভট্টাচার্য্য
অনেক খোঁজাখুঁজি, অনেক দরাদরির পর অবশেষে বরুণ একটা পছন্দমত দোকান ঘর পেল। খুব একটা ছোটোও নয়, একটা স্টেশনারি দোকান খোলার পক্ষে মন্দ নয়। সবে তো শুরু করেছে, কেমন বিক্রিবাটা হয় দেখে পরে ভাবা যাবে। সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে পজিশন খুব ভালো, একেবারে চৌমাথার ওপরে। নীচের তলায় দুটো দোকানঘর। একটা বরুণ ভাড়া নিয়েছে, অন্যটা বন্ধই পড়ে আছে। ওপরে দোতলায় বাড়ির মালিক থাকতেন, তিনি মারা গেছেন বছরপাঁচেক হল। এক মেয়ের দূরে বিয়ে হয়েছে। এখানে আসেও না। কাজেই দোতলাটাও বন্ধই থাকে। ওদের এক আত্মীয় থাকে কাছাকাছি, তার সূত্রেই দোকান ঘরটার হদিশ পেয়েছিল বরুণ। মাসে মাসে ভাড়াও সেই এসে নিয়ে যাবে।
হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করেছে বরুণ অনেক কষ্ট করে। তারপরেই একটা দোকানে কাজ শুরু করে। কিন্তু তাতে পোষাত না। খাটনিই সার, পয়সাকড়ি তেমন দিত না। তাই সেটা ছেড়ে দিয়ে নিজেই একটা ছোটোখাটো দোকান খোলার কথা ভাবছিল। তাই এই দোকান ঘরটার খোঁজ যখন পেল আর দেখল ভাড়াটাও আয়ত্তের মধ্যে তখন আর দেরি করে নি। ভাড়াটা বরং ওর কমই লেগেছিল, ওরা নাকি চেনাশোনা ভালো লোক ছাড়া দেবে না।
পয়লা বৈশাখের কিছুদিন আগের ঘটনা এটা। তাড়াতাড়ি মালপত্র জোগাড় করে দিব্যি দোকান সাজিয়ে পয়লা বৈশাখের দিন পুজো করিয়ে দোকান খুলে ফেলল বরুণ। দোকানের নাম দিয়ে সাইন বোর্ডও টাঙাল। ‘টুকিটাকি’। চা, বিস্কুট, পাঁউরুটি, লজেন্স, টফি, ডাল, মশলা টশলা, সাবান, শ্যাম্পু, ট্যালকম পাউডার, ক্রিম – অনেক কিছুই পাওয়া যায়। ইচ্ছে আছে দোকান ভালো চললে একটা ফ্রিজ কিনে নেবে, তাহলে দুধ, দইটইগুলো রাখতে পারবে।
দোকান চালু হল, বিক্রিও মন্দ হচ্ছে না। বরুণ খুশিই। সেদিন দুপুরবেলা খুব ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যে হয়ে গেছে, তাও আকাশের মুখ ভার, টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়েই যাচ্ছে। ঝড়ে গাছ পড়ে লাইটের তার ছিঁড়ে গেছে, ফলে পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে। জেনারেটারও দেয় নি, তার ছিঁড়ে গেছে তারও। বরুণ মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে আছে। মোমবাতির টিমটিমে আলোয় ঘুম পেয়ে যাচ্ছে বরুণের।
ভাবল আজ আর কেউ আসবে না, দোকান বন্ধ করে চলে গেলেই হয়, এমন সময় লাঠি ঠুকঠুক করতে করতে বেশ বয়স্ক এক ভদ্রলোক এলেন। দেখে মনে হয় শরীর খুব খারাপ। শো কেসের সামনে এসে চকোলেটের শিশির দিকে দেখালেন।
“চকোলেট? কোনটা দেব?”
ভদ্রলোক আবার ইশারায় দেখালেন।
“ডেয়ারি মিল্ক? একটা? এই নিন।”
ভদ্রলোক নিলেন। নিয়ে এক মনে সেটাকে উলটেপালটে দেখতে লাগলেন, তারপর যেন চলে যাওয়ার উপক্রম করলেন।
“টাকাটা?” বরুণ বলল।
ভদ্রলোক সে কথার উত্তর না দিয়ে আঙুল দিয়ে সামনে কাকে যেন দেখিয়ে লাঠি ঠকঠক করে চলে গেলেন। আলো নেই, আকাশে মেঘ, চারদিক এক্কেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার, তার মধ্যে যে ভদ্রলোক কোনদিকে গেলেন কিছুই বোঝা গেল না। বরুণ তো হতভম্ব! যেদিকে ভদ্রলোক ইশারা করেছিলেন বরুণ দোকান থেকে বেরিয়ে এসে সেদিকে দেখল। দূরে একটা টর্চের আলো দেখা যাচ্ছে যেন মনে হল। তার মানে কেউ আসছে। হ্যাঁ ওই তো, এ তো ভবেশকাকু মনে হচ্ছে। কাছেই থাকেন, প্রায়ই বরুণের দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনতে আসেন।
“কী কাকু, এই অন্ধকারে? আমি তো দোকান বন্ধ করে চলেই যাব ভাবছিলাম,” বলল বরুণ।
“আর বলিস না। বাড়িতে বিস্কুট ফুরিয়ে গেছে। তাই আসতেই হল। দে তো ওই নোনতা বিস্কুটটার দুটো প্যাকেট, চটপট দে।”
বরুণ ভাবছে কী করে চকোলেটের কথাটা বলবে। ওই ভদ্রলোকের চকোলেটের দাম ইনি কেন দেবেন? কিন্তু কিছু বলতে হল না। ভবেশ টাকা দিতে দিতে বললেন, “নে টাকাটা ধর। একটা ডেয়ারি মিল্কের দামও ধরিস তো। এ পাড়ায় ছেলেদের একটা দল আছে। একেবারে বিচ্ছু সবক’টা! আমার ছোটো ছেলেটাও তার মধ্যে আছে। এর ঘাড় দিয়ে ওর ঘাড় দিয়ে খালি চকোলেট আর চিপস খাওয়া। পরে আমাকেই দাম দিতে হয়। কাঁহাতক আর লোকের কাছ থেকে নেওয়া যায়!”
“এক টাকা ফেরত হবে, খুচরো নেই একদম আমার কাছে।”
“পরে নেব। এখন যাই, জোরে বৃষ্টি নামবে মনে হচ্ছে,” ভবেশ বিস্কুটের প্যাকেটদুটো নিয়ে পা চালিয়ে চলে গেলেন বরুণকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই।
বরুণ ভাবল, ও তার মানে ওই বয়স্ক ভদ্রলোক ভবেশকাকুর ছেলের জন্যেই নিয়েছিলেন চকোলেটটা। নিশ্চয়ই প্রায়ই চায়, তাই ভবেশকাকুই দাম দিয়ে দিলেন। এখন তাড়াতাড়ি বাড়ি যাওয়া দরকার, নাহলে আটকে পড়তে হবে। আর কেউ আসবে না এই দুর্যোগে।
মাসের প্রথম। দোকানে বেশ ভিড়। সবার হাতেই মোটামুটি লম্বা ফর্দ। বরুণ একা হাতে সব সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। একজনের জিনিস ব্যাগে পুরতে পুরতে খেয়াল করল ওই বৃদ্ধ ভদ্রলোক আবার এসেছেন, এক পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। বরুণের সঙ্গে চোখাচোখি হতেই সেদিনের মতো ইশারায় চকোলেট চাইলেন। বরুণ একটা বার করে দিল। একটু পরেই দেখল ভদ্রলোকও নেই, চকোলেটটাও নেই! কী সর্বনাশ! ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কোথায় পালাল? টাকা কে দেবে? এদিকে অনেক খদ্দের দাঁড়িয়ে আছে, তারা তাড়া দিচ্ছে। বরুণ চকোলেটের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে তাদের দিকে মন দিল। দোষ তো তারই, কেন খেয়াল রাখে নি।
বিক্রি আজ ভালোই হয়েছে। এরকম চললে ব্যাবসাটা দাঁড়িয়ে যাবে। দোকান বন্ধ করার আগে বরুণ হিসেব নিয়ে বসল। কী আশ্চর্য! হিসেব তো সব ঠিকই আছে! কী করে হল? ওই বয়স্ক ভদ্রলোক তো টাকা দেন নি! তাহলে কী ওই বউদি দুটো চকোলেটের দাম দিয়ে গেলেন? ওই যে একটা ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে এক বউদি এসেছিলেন, মেয়েটা খালি দুটো চকোলেট, দুটো চকোলেট করছিল আর বৌদি একটা নেবার জন্যে বলছিলেন, তাহলে ওইখানেই গোলমাল হয়েছে। কাল বউদি আবার আসবেন মেয়ের শ্যাম্পু নিতে তখন বলতে হবে। আর এবার ওই বুড়ো এলে খেয়ালও রাখতে হবে, বরুণ ভাবল।
পরের দিন বিকেলে ওই ভদ্রমহিলা এলে বরুণ বলল। ভদ্রমহিলা হেসে বললেন, “একটা চকোলেট নিয়েছি আর একটারই দাম দিয়েছি। কাল আসলে খুব ভিড় ছিল তো, তাই তোমার মনে নেই।”
বরুণ তো অবাক। কী গণ্ডগোল হচ্ছে! একা সবদিকে ঠিকঠাক খেয়াল রাখতে পারছে না, নাকি? তবে বুড়ো আবার এলে কড়া নজর রাখতে হবে। বরুণ তক্কে তক্কে আছে। কিন্তু বুড়োর পাত্তা নেই।
বেশ কয়েক মাস কেটে গেল। বরুণের দোকান রমরমিয়ে চলছে। বরুণ দাম বেশি নেয় না তাই সবাই আসে। ইতিমধ্যে একটা ফ্রিজও কিনে ফেলেছে বরুণ, আগের থেকে জিনিসও অনেক বেশি রাখে। পাশের দোকান ঘরটাও ভাড়া নেওয়া যায় কী না খোঁজ নেবে ভাবছে। একটা ঘরে খুব অসুবিধে হচ্ছে, জিনিসপত্র ধরছে না। দোকান না বাড়ালেই নয়।
সেদিন বিকেলে দোকান একদম ফাঁকা। বরুণ বসে বসে কী কী জিনিস ফুরিয়েছে দোকানে তার একটা লিস্ট তৈরি করছিল, সাপ্লায়ারকে বলতে হবে। এমন সময় লাঠি ঠকঠক আওয়াজ। আবার ওই বুড়ো ভদ্রলোক হাজির। আবার ওইরকম ইশারায় চকোলেট চাওয়া। বরুণ দিল বার করে চকোলেট একটা কিন্তু এবার আর ভদ্রলোকের ওপর থেকে নজর সরাল না। আজ অবশ্য ভদ্রলোকের যাওয়ার কোনো তাড়াই নেই যেন। চকোলেটটা নিয়ে দোকানের সামনে যে কাঠের বেঞ্চটা পাতা আছে বসলেন। তারপর ধীরেসুস্থে সেটা মোড়ক থেকে বার করে খেতে লাগলেন। ওনার খাওয়ার ধরণ দেখে বরুণের মজা লাগল, ঠিক যেন বাচ্চাদের মতো।
“দাদু বুঝি খুব চকোলেট খেতে ভালোবাস?” না জিজ্ঞেস করে পারল না বরুণ।
ভদ্রলোক হাসলেন। কী ছিল সেই হাসিতে কে জানে! শিশুর সারল্য তো ছিলই, আরও অনেক কিছু ছিল, বরুণের মন ভালো হয়ে গেল। কেমন যেন মায়াও হল। ভদ্রলোকের চেহারা বেশ রুগ্ন, চেহারায় অবহেলা, অযত্নের ছাপও স্পষ্ট। মুখটাও দুঃখী দুঃখী। একা থাকেন মনে হয়, দেখাশোনার কেউ নেই।
“দাদু তুমি একা থাকো না? কোথায় থাকো? কাছেই?” বরুণ আবার জিজ্ঞেস করল।
ভদ্রলোক মুখে কিছু না বলে মাথা নাড়লেন।
“তোমার মুদিখানার জিনিসপত্রের দরকার হলে বোলো, আমি তোমার বাড়িতে দিয়ে আসব। তোমার বাড়ির ঠিকানাটা দিয়ে যেও তো,” বলল বরুণ।
ঠিক এই সময়েই জনাদুই খদ্দের এলেন। একজন শশব্যস্তে একটা ফর্দ বরুণের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “তাড়াতাড়ি জিনিসগুলো দাও তো, আমার তাড়া আছে।”
বরুণ ফর্দটাতে চোখ বুলিয়ে জিনিসগুলো আনার জন্যে গেছে এমন সময় আরেকজন চেঁচিয়ে বললেন, “এই বরুণ টাকাটা তোলো নি কেন? আরেকটু হলেই নোটটা হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছিল!”
টাকা! বরুণ অবাক হয়ে দেখল সামনের শোকেসের ওপর একটা দশ টাকার নোট পড়ে রয়েছে। ও উঁকি মারল। না বুড়ো ভদ্রলোক আর নেই, কখন চলে গেছেন! বরুণের খুব খারাপ লাগল। আগেও নিশ্চয়ই ভদ্রলোক এরকম চুপচাপ টাকা রেখে চলে গেছেন। ও তুলেও রেখেছে কিন্তু পরে আর মনে করতে পারে নি, ভেবেছে উনি দাম দেন নি। ছি ছি, বিনা কারণে একজন বুড়ো মানুষকে সন্দেহ করা।
দিন যায়, বছর গড়ায়। সব কিছু যথানিয়মে চলছে। একদিন সন্ধ্যেবেলায় ভবেশ এসেছেন জিনিসপত্র কিনতে। দামটাম মিটিয়ে যাওয়ার আগে বললেন, “এখন অনেকদিন হয়ে গেছে তাই আর বলতে কোনো অসুবিধে নেই। আমরা কিন্তু বেশ চিন্তাতেই ছিলাম তোর দোকানটা আদৌ টিঁকবে কী না তাই নিয়ে, জানিস তো?”
“মানে? চলবে না ভেবেছিলে?” বরুণ জিজ্ঞেস করল।
“চলবে কী না বোঝার জন্যেও তো ক’মাস অ্পেক্ষা করতে হয়। ক’মাস কেন ক’দিন টেঁকাই মুশকিল। আগেও এই দোকানঘর ভাড়া হয়েছে অনেকবার কিন্তু কেউ টিঁকতে পারে নি। নানা রকম উপদ্রব হত। জিনিসপত্র উধাও হত। সবাই বলত ভূত আছে এখানে। একমাত্র দেখলাম তুইই বছর পার করে দিলি।”
“ঘুরে বেড়াতে দেখত? কাকে? চোর টোর নয়তো?”
“না না চোর টোর নয়। অন্য কেউ দেখতে পেত না, শুধু দোকানদারই দেখতে পেত। এই বাড়ি যে ভদ্রলোকের ছিল তাঁকে। বুড়োমানুষ।”
“বুড়োমানুষ?” বরুণের গাটা কেমন ছমছম করে উঠল।
“হ্যাঁ। এই বাড়িটা ওনারই করা। প্রথম এই দোকান ঘরদুটো যাদের ভাড়া দিয়েছিলেন তারা মহা পাজি ছিল। বুড়ো মানুষ, একা থাকতেন, শরীরও ভালো ছিল না, তার সুযোগ নিয়ে ভাড়া দিত না। পাড়ার লোকও নানান কারণে ওদের ওপর খাপ্পা ছিল। তারা চলে যেতে উনি আর দোকান ভাড়া দেন নি। শেষ দিকে শরীর খুব খারাপ হয়ে গেছিল, চেহারা একদম ভেঙে গেছিল, লাঠি নিয়ে হাঁটতেন। হাই সুগার ছিল, অথচ মিষ্টির ওপরেই যত লোভ! আগে পাড়ার ছেলেদের কম চকোলেট খাইয়েছেন! নিজেও খেতেন ওদের সঙ্গে। একা ঘরের মধ্যেই মারা গেছিলেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বার করে। দোষ আমাদেরও ছিল। পাড়ায় এরকম অসুস্থ একজন বুড়ো মানুষ একা থাকতেন, কিন্তু আমরা কেউই কোনো খোঁজখবর রাখতাম না। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত সবাই। এখন ভাবলে খারাপ লাগে। যাক গে, যা হবার হয়ে গেছে। এসব বললাম বলে তুই আবার ভয় পাস না যেন। তোর দোকানটা চলছে দেখে আমরাও সবাই খুব নিশ্চিন্ত। পাড়ার মধ্যে একেবারে মোড়ের মাথায় এরকম একটা বাড়ির ভূতুড়ে বদনাম থাকলে ভালো লাগে? এতদিনে সেটা ঘুচল মনে হচ্ছে।”
ভবেশ চলে গেলেন।
বরুণ ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে তখনো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারপর একটু ধাতস্থ হয়ে ভাবল, কই উনি তো ওর কোনো ক্ষতি করেন নি। কত ধার দেনা করে এই দোকান খুলেছিল, এত ভালো চলছে দোকান যে সে সব ও শোধ করে দিতে পেরেছে। না, এ দোকান ওর পয়া, এ দোকান ও ছাড়বে না।
বরুণের ‘টুকিটাকি’ এখন দুটো ঘর জুড়ে রমরমিয়ে চলা একটা বড়ো দোকান। একা সামলাতে পারে না, তাই দুটো ছেলে রেখেছে। বুড়ো ভদ্রলোককে বরুণ আর কোনোদিনও দেখে নি। প্রতি রাতে দোকান বন্ধ করার পর ও চকোলেটের একটা ছোটো বার দোকানের বাইরে রেখে দেয়। পরের দিন সকালে এসে কখনো দেখে সেটা নেই, কখনো দেখে যে রকমকে সেরকম পড়ে আছে। পড়ে থাকলে বরুণ সেটা কোনো গরীব বাচ্চাকে দিয়ে দেয়।
ছবিঃ শিমুল সরকার
জয়ঢাকের সমস্ত গল্পের লাইব্রেরি এই লিংকে