স্বপ্নের কাতুকুতু
উদয়ারুণ রায়
নির্জনের ভূতের গল্পে খুব ভয়। বয়স বারো কী তেরো হবে। সে ক্লাস সেভেনে পড়ে। পড়াশুনোয় একদম গবেটও নয় আবার খুব যে মেধাবী তাও নয়। মোটের উপর ক্লাস টপকাতে তার খুব একটা অসুবিধে হয় না। নির্জনদের বাড়ি কলকাতা শহর ছাড়িয়ে আধাশহর মতো অঞ্চলে। কলকাতা যেতে বাসে লাগে একঘন্টা কুড়ি মিনিট,ট্রেনে ঘণ্টাখানেক। তাদের অঞ্চলে যেমন পিচের রাস্তা আছে,ঢালাই কংক্রিটের গলি আছে,তেমন ফাঁকা জমিও আছে। বড়ো-ছোটো পুকুরও আছে। এঁদো ডোবাও আছে। টিনের বা টালির চালের বাড়ি আছে,আর খুব মশাও আছে।
নেই যেটা সেটা হল ধান-জমি বা ক্ষেত-জমি। চাষবাস এ অঞ্চলে হয় না। এ অঞ্চলে মানুষজন হয় ব্যবসায়ী নয়তো চাকরি করে।
নির্জনের বাবার স্টেশন বাজারে বড়ো ও আদি বইয়ের দোকান। স্কুলের বই,কলেজার বই,গল্পের বই,খাতা,পেন,পেনসিল সব পাওয়া যায় সেই দোকানে। নির্জনের বাবা আর কাকা মিলে দোকানটা চালায়। সঙ্গে একটা অল্পবয়সী কর্মচারী। নিজেরা থাকতেও কর্মচারী আছে মানেই দোকানটা ভালোই চলে। আর ওই চালু দোকানের সূত্রেই নির্জনের যতরকম গল্পের বই পড়া।
স্কুলের পরে বাড়ি ফিরে নির্জন খুব একটা খেলাধুলো করে না। কারণ খেলাধুলো করলে সে খুব ক্লান্ত হয়ে যায়। সন্ধেবেলা পড়তে বসলে ঘুমে চোখ ঢুলু ঢুলু হয়ে পড়ে। ঘুম পেয়ে যায়। ঘুমিয়ে পড়লে হোমটাস্ক হয় না। হোমটাস্ক না হলে পরদিন ক্লাসে স্যারদের কাছে বকুনি খেতে হয় বা বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেটা খুবই অপমানের। তাই নির্জন না খেলে গল্পের বই পড়ে। ওর ভূতের গল্প আর গোয়েন্দা গল্প পড়তে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কিন্তু দুটোতেই ও বেশ ভয় পায়। গা ছম ছম করে।
নির্জনদের বাড়িটা পাড়ার শেষ প্রান্তে। পেছনে একটা ছোটো মাঠ। মাঠের শেষ একটা এঁদো পুকুর। পুকুরের ধারে কিছু দুর ছাড়া ছাড়া তাল ও নারকেল গাছ। একধারে একটা কলাগাছের ঝোপও আছে। পাড়ার সবাই ওটাকে বোসেদের বাগান বলে। বোসরা এ পাড়ায় সবচেয়ে বড়োলোক। তারা কেন যে এই এঁদো জায়গাটা কিনে ফেলে রেখেছে তা নির্জনের মাথায় ঢোকে না।
নির্জনের পড়ার ঘরটা আবার দোতলায় বাড়ির পেছন দিকে। টেবিলের পাশের জানলা দিয়ে ওই এঁদো জায়গাটা দেখা যায়। কোনো ভয়ের গল্প পড়ার পর,সে ভূতেরই হোক আর খুনেরই হোক,রাতে জানালা দিয়ে ওই এঁদো জায়গাটার দিকে তাকাতেই নির্জনের বেশ ভয় করে। মনে হয় ওই অন্ধকার কলাঝোপের পেছনেই ঘটেছে খুনের ঘটনাটা বা খুনি খুন করে ওই ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছে। ভূতের গল্পের ভূতগুলো যেন তাল ও নারকেল গাছের মগডালে উঠে বসে আছে। ঝুপ ঝুপ করে নামছে নিচের পচা ডোবাটায় স্নান করতে। ওই নোংরা জলে স্নান করছে আর হিঁ হিঁ করে হাসছে। আবার এক লাফে উঠে যাচ্ছে তাল,নারকেল গাছের মাথায়।
শীতকাল তবু কিছুটা বাঁচোয়া,ঠাণ্ডার জন্য রাতে ওই জানালাটা বন্ধ থাকে কিন্তু গরমকালে জানালাটা খোলা। ভয়ে যদি কোনোদিন নির্জন বন্ধ করে দেয় তবে মা খুব বকে। জানালাটা তো খুলে দেয়ই। বলে, “গরমে মানুষ সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে আর তুই জানালা বন্ধ করে রেখেছিস!তোর কি গরমও লাগে না?”
নির্জন চুপ করে থাকে। লজ্জায় সে তার ভয়ের কথা মাকে বলতে পারে না। বললেই মা সাত-কান করবে আর বাড়ির কাকা-পিসিরা দাদা-দিদিরা ওকে ভীতুর ডিম বলে খেপাবে।
মাঝে মাঝে ভাবে,সে ভূতের বই আর ডিটেকটিভ বই পড়বে না। কারণ সে পড়ে ফেলে আর ভয় পায়। শুধু যে তার ওই বাড়ির পেছনের ফাঁকা এঁদো জায়গাটাতে তাকাতে ভয় তা নয়,একা বাথরুম যেতেও তার ভয় করে। দোতলার পড়ার ঘর থেকে মা বা বাবা অথবা অন্য কারুর ডাকে রাতে একা সিঁড়ি দিয়ে নিচে যেতেও তার ভয় আবার নিচ থেকে একা ওপরে পড়া বা শোবার ঘরে যেতেও তার ভয়। সে মনে মনে স্বীকার করে যে সে একটা ভীতু ছেলে। মুখে অবশ্য সে কথা কাউকে বলে না।
সূর্যের আলো ফুটলেই অবশ্য তার ভয় কোথায় ফুস করে উড়ে যায় সে বুঝতেই পারে না। সারাদিন দাপিয়ে বেড়ায় বীরের মতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ব্রেকফাস্ট করে একাএকাই টিউশন যায়। টিউশন থেকে এসে স্নান খাওয়া সেরে পুলকারে স্কুলে যায়। স্কুল থেকে এসে হাতমুখ ধুয়ে কিছু জলখাবার খেয়ে সে গল্পের বই নিয়ে ছাদে চলে যায়। প্রথম কিছুক্ষণ ছাদে ঘোরাঘুরি করে,তারপর চিলেকোঠার সিঁড়িতে বসে গল্পের বই পড়ে যতক্ষণ না সূর্যের আলো নেভে। অন্ধকার হলে তাকে ভয়ও এসে ধরে।
********
এরকমই চলছিল নির্জনের। অন্ধকারের ভয় তাকে কিছুতেই ছাড়ছিল না। একবার হল কী-তখন নির্জনের স্কুল ছুটি। সদ্য দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে। এরপর লক্ষ্মীপুজো আর তারপর কালীপুজো। নির্জনের অনেক নতুন জামাকাপড় হয়েছে। আবার অনেক নতুন পুজোসংখ্যা আর বইও হয়েছে। পুজোর চারদিন তার নতুন পুজোসংখ্যাগুলো ছুঁয়েও দেখা হয়নি। সারাদিন কেটেছে পাড়ার প্যাণ্ডেলে আর রাতে বাবা-মা’র সঙ্গে কোলকাতার প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে ঠাকুর দেখে দেখে।
সে দিনটা ছিল বিজয়া দশমীর পরের দিন। দুপুরবেলা। নির্জন স্নান খাওয়া সেরে নিজের পাড়ার ঘরে “টাপুরটুপুর” পুজোসংখ্যাটা নিয়ে বসেছে পড়বার জন্য। তার পুজোসংখ্যার গল্প পড়বার একটা কায়দা আছে। সে প্রথম বইটা নিয়ে ছড়া ও কবিতাগুলো পড়ে ফেলে। তারপর গল্প উপন্যাসের ছবিগুলো দেখতে থাকে। যে গল্প বা উপন্যাসের ছবি তার সবথেকে ভালো লাগে সেই গল্প বা উপন্যাসটা সে প্রথমে পড়তে শুরু করে।
এবার যে গল্পের ছবিটা তার সবথেকে ভালো লাগল সেটা একটা হাসির গল্প। তার ভূতের বা ডিটেকটিভ গল্প পড়তে ভালো লাগলেও সে হাসির গল্প দিয়েই বই পড়া শুরু করল। গল্পটার নাম “কাতুকুতু বুড়ো”।
গল্পটা বেশ মজার। নির্জন গল্পটা পড়তে পড়তে হাসতে শুরু করল। যত পড়ে তত হাসে।
হাসতে হাসতে হঠাৎ তার চোখ গেল জানালা পেরিয়ে এঁদো ডোবার পাড়ে। আনমনে দেখল একটা বুড়ো। অনেকটা কাতুকুতু বুড়োর মতো ছাঁটা গোঁফ,ড্যাবা চোখ,একমাথা টাক ও ইয়া এক জালা ভুঁড়ি নিয়ে একটা তালগাছের ছায়ায় বসে আছে।
প্রথমে নির্জন গল্পের নেশায় তেমন মন দিয়ে বুড়োটাকে খেয়াল করেনি। তারপর হঠাৎ তার মনে হল,আরে! কী দেখলাম!গল্পের কাতুকুতুদাদু যেন এঁদো পুকুরের ওই পাড়ে!ঠিক দেখলাম তো!
যেই না মনে হওয়া অমনি সে বই থেকে মুখ তুলে জানালা দেখল। হ্যাঁ তো!একদম গল্পের কাতুকুতুদাদু!হুবহু মিলে যাচ্ছে!সেই জালা ভুঁড়ি,এক মাথা টাক,ড্যাবড্যাবে চোখ,ঝাঁটার মতো পাকা গোঁফ!গল্পের মানুষটা ওখানে কী করে?
আর একবার দু চোখ কচলে ভালো করে দেখল নির্জন।
হ্যাঁ,একদম এক।
তাকে জানালা দিয়ে একদৃষ্টে দেখতে দেখে লোকটা হাতের ইশারায় তাকে ডাকল। নির্জন ভাবল আরে, বুড়োটা আবার ডাকে দেখি!
সাধারণত ওই এঁদো পুকুরের ওপাড়ে তেমন কারও যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু ওর মতো ছোটোছেলেরা মাঝে-সাঝে যায় কাটা ঘুড়ি ধরতে। পাড়ার দু-একটা বখে যাওয়া উঁচু ক্লাসের দাদাদের নির্জন জানালা দিয়ে দেখেছে ভরদুপুরে বা সন্ধের মুখে ওপাড়ে গিয়ে দলবেঁধে কী যেন করতে। আর ছোটকাকার মুখে শুনেছে রাত বিরেতে ওপাড়ে চোর-ছ্যাঁচ্চড়দের আড্ডা বসে।
নির্জন রাতে ভয়ের চোটে পারতপক্ষে জানালা দিয়ে ওদিকে তাকায় না সে। তবু বুড়োটার প্রতি তার একটু কৌতুহল হল। বুড়োটা যে একদম কাতুকুতু বুড়োর মতো দেখতে! আর গল্পে কাতুকুতু বুড়ো খুব মজার মানুষ। কী হাসতে পারে!তাছাড়া এখন তো দিনের বেলা। ভরদুপুর। দিনের বেলা নির্জন মোটে ভয় পায় না। রাতের অন্ধকারেই তার যত ভয়।
সে জানালা দিয়ে হাত নেড়ে বুড়োকে বসতে বলল। তারপর বাড়ি থেকে চুপি চুপি বেরিয়ে সে রাস্তা দিয়ে বাড়ির পেছন দিকে গেল। তারপর পুকুরের পাশ দিয়ে কাঁচা রাস্তা ধরে ঝোপঝাড় পেরিয়ে সোজা বুড়োর তালতলাতে গিয়ে হাজির।
নির্জনকে দেখে বুড়োটা ড্যাবড্যাবে চোখ দুটো পিট পিট করে হাসতে লাগল।
নির্জন বলল,”কী গো তুমি আমাকে ডাকলে কেন? তুমি থাকো কোথায়? এখানে এলে কী ভাবে? আগে কখনো তো তোমাকে দেখিনি? তোমার নাম কী?”
বুড়ো এবার একগাল হেসে তামাক খাওয়া ক্ষয়াটে দাঁত বের করে বলল,”আমার নাম বৈকুন্ঠ মল্লিক।”
“কী? তোমার নাম বৈকুন্ঠ মল্লিক?” বিস্মিত হয়ে নির্জন জিজ্ঞাসা করল। গল্পেও তো কাতুকুতু বুড়োটার নাম বৈকুন্ঠ মল্লিক। দেখতে এক আবার নামও এক!বেশ আশ্চর্য হল সে।
তার অবাক হওয়া ভাব দেখে বুড়ো হেসে প্রশ্ন করল,”কেন আমার নামটা তোমার সঠিক বলে মনে হল না?”
“না ঠিক তা নয়!আসলে…” মনের ভেতরের বিস্ময়টা আর প্রকাশ করল না নির্জন।
“তোমাকে জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে ডাকলাম। বই পড়ছিলে, তোমার পড়ার ক্ষতি করলাম না তো?”
“না,না,আমি তো গল্পের বই পড়ছিলাম। পড়ার বই নয়। তা তুমি আমাকে ডাকলে কেন?”
“ডাকলুম তোমার সঙ্গে একটু গল্প-গাছা করব বলে। একা একা বসে আছি। অনেকদিন তোমাদের মতো ছোটোদের সঙ্গে আড্ডা মারা হয় না। আমি ছোটোদের সঙ্গে আড্ডা দিতে খুব ভালোবাসি।”
“তা তুমি আসছ কোথা থেকে?”
“ওই ওখান থেকে-”
গল্পে আছে কাতুকুতু বুড়ো যে জায়গায় থাকে সে জায়গার নাম অচিনপুর। টক করে সে কথাটা মনে পড়ে যাওয়াতে নির্জন বুড়োকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি যেখানে থাক সে জায়গাটার নাম কি অচিনপুর?”
হ্যাঁ,ঠিক তো। একদম ঠিক বলেছো তুমি! জানলে কীভাবে?”
“না,মানে…”
“অ্যাই ছোঁড়া,কথা ঠিক করে বল তো! প্রশ্ন করলেই তুমি খালি আমতা আমতা করছ!”
“না তেমন কিছু নয়। আচ্ছা দাদু, তুমি কি কেরামতি সরখেলকে চেন?”
“সে আবার কেডা?” অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল বুড়োটা।
“ওহ,সে একজন লেখক। ছোটোদের দারুণ গল্প লেখে।”
“না,বাবা। আমি তাকে চিনি নে। আমি তেমন লেখাপড়াই শিখিনি। গল্প পড়া আমার সাধ্যে নেই। তা হঠাৎ কেরামতি সরখেলের কথা এল কেন আমাদের মাঝখানে?” বুড়ো দাদুর গলাটা কেমন যেন গম্ভীর শোনাল।
“না,মানে আমি জানালার সামনে বসে যে গল্পটা পড়ছিলাম সেই গল্পটা কেরামতি সরখেলের লেখা। গল্পটা খুব হাসির। গল্পটার নাম কাতুকুতু বুড়ো। তোমাকে ঠিক গল্পের বুড়োটার মতো দেখতে। তোমার সঙ্গে নামেও মিল আবার তুমি যে জায়গায় থাকো বলছো সেই জায়গার নামেও মিল। তাই আমার মনে হল কেরামতি সরখেল হয়তো তোমাকে দেখেই গল্পটা লিখেছেন। তা এমনও হতে পারে তুমি তাঁকে চেন না কিন্তু তিনি তোমাকে চেনেন!”
যেই একথা বলেছে নির্জন অমনি বুড়োটা উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, “না বাপু আমি তোমার ওই কেরামতিবাবুকে চিনি না। গল্পের সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দেওয়াটা তোমার লেখকের কেরামতি। তবে আমাকেও এলাকায় সবাই কাতুকুতু বুড়ো বলেই ডাকে। কারণ তোমার মতো ছোটো ছেলেদের দেখলেই আমার শুধু কাতুকুতু দিতে ইচ্ছে করে। আমি খুব মজা পাই ছোটো ছেলেদের কাতুকুতু দিয়ে।”
এ কথাগুলোও সব মিলে যাচ্ছে গল্পের সঙ্গে। কিন্তু নির্জন আরও বিস্মিত হতে পারল না। “এই কী করছো,কী করছো-” বলে হাত পা ছুঁড়তে শুরু করল। কারণ ততক্ষণে কাতুকুতু বুড়ো উঠে নির্জনকে কাতুকুতু দিতে শুরু করেছে।
হাত পা ছুঁড়েটুরে যখন নির্জন বুঝল কাতুকুতু বুড়ো তাকে ছাড়বেই না তখন সে কাঁকড়াবিছর মতো ছটফট করতে করতে কাতুকুতুবুড়োর হাত থেকে বাঁচবার জন্য এঁদো পুকুরের দিকে ছুটতে শুরু করল।
ঠিক এমন সময় মা-র ঠেলায় তার ঘুম ভেঙে গেল। মা বললেন, “ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে হাত পা ছুঁড়ছিস কেন? তাড়াতাড়ি উঠে হাত মুখ ধুয়ে ভালো জামা প্যান্ট পরে নে। মামাবাড়ি যাবি না? দাদু-দিদুনকে বিজয়ার প্রণাম করতে হবে তো!”
নির্জন চারদিকে তাকিয়ে দেখল,কোথায় কী? কোথায় জানালার পাশে পড়ার টেবিল আর কোথায় বাড়ির পেছনের এঁদো পুকুর। “টাপুর টুপুর” পুজোসংখ্যা নিয়ে সে মা-র পাশে শোবার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। স্বপ্নের কাতুকুতু বুড়োটা একদম গল্পের কাতুকুতু বুড়োটার মতো নয়। কী জোর কাতুকুতু দিচ্ছিল! মা সময়মত ডেকে না দিলে নির্ঘাৎ কাতুকুতুর ঠেলায় সে এঁদো পুকুরে পড়ে যেত। স্বপ্নটা একদম পচা। এর থেকে ঢের ভালো মার সঙ্গে মামা বাড়ি গিয়ে-দাদু দিদুন,মামা-মামিকে প্রণাম করে ভালো ভালো মণ্ডা-মিঠাই খাওয়া।
ছবিঃ তন্ময় বিশ্বাস