চোর পুলিশ কিংবা একদিন হঠাৎ ছবি শ্রীময়ী লেখা নন্দিতা, তন্ময় শীত ২০১৯

লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে

একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ  শ্রীময়ী। তার ছবি নিয়ে গল্প বানালো এক বড়ো ও এক খুদে

চোরপুলিশ

তন্ময় মন্ডল (খুদে। ক্লাস সিক্স)

দুর্গাপুজো এল। চোরেরাও এল তাদের ডেরায়। তার ভাবল,আমাদের হাতে একটুও টাকাপয়সা নেই,কী করা যায়। চোরেদের বস বলল,আমি দেখেছি এক বুড়ি একা থাকে। তার সাথে জেউ থাকেনা। ছেলে বিদেশ থেকে মাসে মাসে হাজারদশেক টাকা পাঠায়। বুড়ি পুজোয় ব্যাঙ্ক থেকে তুলবে বেশি করে, সেইটা চুরি করব।

এদিকে বুড়ির সন্দেহ হল,তার পিছনে চোর ঘোরাফেরা করছে। সে থানায় গিয়ে বড়বাবুকে বলল, “মনে হয় চোরেরা জেনে গেছে আমার ছেলে টাকা পাঠায়,আমি কী করব?” বড়বাবু বললেন তুমি যেখানে টাকা রাখো সেখানেই রাখবে। আমি লুকিয়ে নজর রাখব।

কদিন পরে রাতে চোর এল। বড়বাবু লুকিয়ে ছিলেন। চোর হাতেনাতে ধরা পড়ল। সে পালাতে যাচ্ছিল, বড়বাবু তখন রিভলবার বের করতেই চোর ভয়ে টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হল।

একদিন হঠাৎ

নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী (বড়ো)

রাঘবদের দলকে লোকে কুখ্যাত বলে, আর তাতে রাঘবের বেশ গর্ব হয়। লক্ষ্মীকান্তপুরের পর থেকে রামগঙ্গা নদী পেরিয়ে পাথরপ্রতিমা। পুরো তল্লাটে এখনও রেললাইন বসেনি। রাঘবদের দৌরাত্মের তাই এত বাড়বাড়ন্ত। হিন্দু ও ঢোলার মুসলমানদের নিয়ে দলে কমবেশি মোট পঁচিশজন। রাঘব দলের আদি প্রথায় ডাকাতিতে গেলে, সেই বাড়িতে খবর পাঠায়। দলের লোক  ভিখিরি সেজে গিয়ে ভবিষ্যতবাণী করে এসেছে।

সেইমত ডাকাতির আগে মাঝরাতে রাঘবকে কী একটা পোকা কামড়াল। অদ্ভুত দেখতে পোকা! এমন পোকা রাঘব জীবনে দেখেনি। কামড় খেয়েই মাথাটা ঘুরে গেল রাঘবের, ডাকাতির সময়টা সারাক্ষণ গুম মেরে থাকল সে। তারপর কেউ কিছু জানেনা, শোনা গেছে রাঘব নাকি পুলিশ অফিসারের বাড়ি গিয়ে টাকাপয়সা ফেরত দিয়েছে আর নিজেও ধরা দিয়েছে।  

খুদে স্রষ্টাদের সমস্ত কাজের লাইব্রেরি

 

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s