উপাসনার আগের ছড়া ভালোই আছি
আকাশ যদি
উপাসনা পুরকায়স্থ
আকাশ যদি ইচ্ছেমতন মারমুখো হয় যখন তখন
মেঘের গায়ে দেয় কালো রঙ লেপে-
থামাই তাকে তখন কীসে,শাসন কারো মানবে কি সে
বজ্রনাদেই উঠছে বাড়ি কেঁপে।
জল থই থই বাড়ির উঠোন খিড়কি পুকুরঘাট
নদীর মতন বইছে চারিদিকে,
গোয়ালঘরে চেঁচায় গরু, নড়বড়ে তার খড়ের চালা
ঝড়ো হাওয়ায় থাকবে কি সে টিকে!
ভিজছে বসে চড়ুইশালিক,ঠান্ডামেশিন কার্নিশে দাঁড়কাক
ভিজছে গাড়ি জলের তলায় চাকা,
ওষুধ হাতে ফিরছে বাবা, ছাতা মাথায় ভরদুপুরে
জুতো-জামা জল-কাদাতে মাখা।
সুয্যি বুঝি লুকিয়ে বাঁচে আকাশ-পাড়ার চিলেকোঠায়
কালো ঘোড়ায় ছুটছে মেঘের রথ –
গড়গড়িয়ে রথের চাকা এ-পথ ছেড়ে ও-পথে যায়
ছড়িয়ে আলো বিজলি দেখায় পথ।
দিনরাত্তির ঝম-ঝম-ঝম, চমকে উঠি ঘুমের ঘোরে
মেঘের মেয়ে নুপূর পায়ে নাচে,
পথে যারা ঘর বেঁধে রয়, তিরপলে রোজ আকাশ ঢাকে
এ দুর্যোগে কেমন করে বাঁচে!
ইচ্ছে করে মই লাগিয়ে মেঘগুলো নিই পাড়ি
লুকিয়ে থাকা সুয্যি আনি খুঁজে,
দেশ ভেসে যায় বানের জলে, শুনছি আর্ত রব
কে আর পারে থাকতে দু’চোখ বুজে!