জাতবেদার আগের ননসেন্স
ননসেন্স – ১
জাতবেদা মিশ্র
ওই যে হোথা পাহাড়তলির ধারে
পাঁচটা ছ’টা হুম্বা কুবা আছে
তাদের শিংয়ে পঞ্চুরাগি মাখা
যাসনে, ওরে যাসনে তাদের কাছে।
তাছাড়া ওই হুতুমহুতোগুলো
আশেপাশেই ছাম্বুলালা করে
তাইতো হোথা যতেক হুলাবিলা
চুপটি করে সিক্লাসিকা ভরে।
রাতের বেলা গুজুঙ্গুলির ছানা
ঘুমোয় না তো, পাটকি পুটুং গোনে
ড্যাবডেবিয়ে কানটি করে খাড়া
হুম্বা কুবার প্যাখনা হাসি শোনে।
ননসেন্স – ২
শিক্কাবু আর টিঙ্কালাকু মিলে
যাবেই ভেবে ভাব্লুগাগার দেশে
সবকিছুকে তুচ্ছ করে দিয়ে
রওনা দিল দু’জন কোমর কষে।
এইদিকে সেই তিন্তি-তুমুরগুলো
খাবেই খাবে গরম করে শিক
অমনি তারা লাফিয়ে উঠে বলে
এই দুটোকে বেঁধে আনাই ঠিক।
এই না শুনে ওরা দু’জন রেগে
বন্দহিদি সটান দিয়ে লাফ
তারপরেতে সাবান দিয়ে মেপে
লাগিয়ে দিল ছিপলিবিলির ছাপ।
ছাপ দেখে সেই তিন্তি-তুমুরগুলো
আর আসে না, বাপরে সেকি ভেউ
ঠনকো জুড়ে কিচিরমিচির শুনে
ঘুমিয়ে গেল, আর এল না কেউ।