নাকাল
মানসী পান্ডা
নাকতলার ঐ লঙ্কামাসির নাকটা বেজায় লম্বা,
গোবরডাঙার গোবর শুঁকে চক্ষু চড়কচম্বা।
গোবর থেকে কোথায় গেল বিখ্যাত সেই গন্ধ,
সর্দিজ্বরে হল বুঝি নাকখানা তাঁর বন্ধ।
দিন যে গেল, মাস যে গেল, বছর গেল ঘুরে,
লঙ্কামাসির আদরকাড়া নাক এল না ফিরে।
চাঁপা, গোলাপ, গাঁদালপাতার এক পাতেতে ঠাঁই,
লঙ্কামাসির নাকের কাছে ভিন্ন বিচার নাই।
বদ্যি কতই এল গেল, কবিরাজও জবাব দিল
বুকের খাঁচায় মাসির শুধু প্রাণটি কেবল আটক ছিল।
এমন সময় হেতমপুরের নড়বড়ে এক বুড়ো,
লঙ্কামাসির পিসতুতো কোন দূর-বিদেশি খুড়ো।
আলতো করে নাকটি ধরে যেই দেয়া সুড়সুড়ি,
হাঁচির সাথে গন্ধপোকা পালায় নাকটি ছাড়ি।
হাঁপটি ছেড়ে বাঁচেন মাসি শুঁকেন ভালোমন্দ,
গন্ধ নিয়ে এখন তো আর নেইকো কোনও সন্দ।