অমিতাভ প্রামাণিক এর সমস্ত লেখা একত্রে
পদবি
অমিতাভ প্রামাণিক

এই শুনে ঘোষ যায় দিনরাত ঘষটে।
কে দান করেছে তোকে, ওহে ভাই দত্ত?
প্রামাণিক প্রমাণিত, কিন্তু সে সৎ তো?
বাসন-ব্যসনে বুঝি থাকে মহাপাত্র?
ঐ যে উপাধ্যায়, সবে তারই ছাত্র?
মুখ ছাড়া কী করে রে পেশ হয় আর্জি?
ভট ভট ভট ভট করে ভট-চার-জী।
চাকর হাপিস করে দেয় দাশগুপ্ত?
গায়েন গেয়েই চলে? করে না সে চুপ তো!
যে নারীরা বর্মন, ক’মণ সে বর-রা?
ভাঁড় কি তুলেই চলে হাস্যের ছররা?
‘ম’-কে জুম করে কেন বলতো মজুমদার?
ঘরামি নিজেই ঘর? করা যায় রুম ধার?
সেনরা পাগল বুঝি, যেই হয় ইনসেন!
ধাড়া ধার করে তবু বলে নেয় ঋণ সে?
কত দেবো বল দেখি, দে দে করে হয়রান!
দানবের বংশ কি ছানা-বেচা ময়রা?
গানগুলি কে বাঁধবে? গাঙ্গুলীও শায়ের?
বিশখানা শাশুড়ি কি বিশ্বাস মশায়ের?
ধর, কর বলিস যে, করবে কী? ক’প্রকার?
ম’কারের দোষ পেয়ে সেও তো কর্মকার!
হাল ধরে বৌ যার, সেই বুঝি হালদার?
কয় পাল আত্মীয় বল দেখি পালদা’র?
সাধুখাঁ যে সাধু খায়, খুব সুস্বাদু কি?
শাসমল পটি ঘেঁটে হয়ে যায় না দুখী?
ব্যাট বল দেখেইনি ও ব্যাটা বটব্যাল –

বকবক করছে যে সেই বুঝি বক্সী?
সিং কি সিংহ নাকি, হিন্দু বা হোক শিখ?
আদি দুলালদা ছাড়া পদবিটা ভড় কার?
কতখানি সরকারি যত আছে সরকার?
রায় যদি নাই দিত, বলতো কী করতি?
চাকা বর্তন মাজে না চক্রবর্তী?
ঘোষালের গোশালের বাপরে কী জোশ! আমি
গোবরকে কী করে যে বলে ফেলি গো-স্বামী!
চ্যাট আর কীসে যেন মত্ত চ্যাটার্জী
গুফ তো গুপ্ত করে আপ, কী ম্যাটার, জী?
ভাদ্দরে তাল পাকে, পাক করে ভাদুড়ি –
দেব, সাধু ভেক ধরে, ডেকে ওঠে দাদুরি।
শিক-দাঁড়ে পাখি থাকে, চেয়ে দেখে শিকদার –
রে রে করে তেড়ে আসে আওয়াজ মানিকদার।
মিত্র যদিও মিত, তির কেন আসলো?
অধিকারী কী কী কারি রাঁধে, তুই খাস লো?
খোলামেলা মানুষেরও পদবিটা বন্দ্যো!
চাকি করে চা কি? মোর পষ্টই সন্দ।
চৌধুরী বৌটারে বলে চৌধুরানী
শূর-এর শ্যালিকা তবে গলে পড়ে সুরা নিক?
শীল যদি ভদ্র, তো হোম মানে ঘর তো –
রক্ষিত স্ত্রীলিঙ্গে কত যে কদর্থ!
বাগ, হাতি, নাগ পদবিরা মিঠে গুড়-সা –
পুজো পেতে জুড়ি নেই তোমার ঠাকুর-সাব।