অমিতাভ প্রামাণিক -সব লেখা একত্রে
পুষি ও প্যাঁচা
অমিতাভ প্রামাণিক
একটা প্যাঁচা একটা বেড়াল এক জাহাজে লাগিয়ে পাল
বের হল এক অসীম সমুদ্দুরে।
সঙ্গে নিল মধুর হাঁড়ি, টাকাপয়সা কাঁড়ি কাঁড়ি
পাঁচটাকার এক নোটের মধ্যে মুড়ে।
দেখল প্যাঁচা রাত্রিবেলা আকাশ যেন তারার মেলা।
বের করে এক ছোট্ট গিটার তারই
গাইতে লাগে দরদ-ভরি, তোমার মতো কে সুন্দরী
আর আছে এই জগতে, মার্জারী?
বেড়াল বলে, পেচক-মশাই, তুমিও কি কম সুন্দর, ছাই!
গাইছ কেমন মধুর সুরে গানও!
হল অনেক চু-কিৎকিৎ, বিয়ে করাই এখন উচিত
আংটিখানা পাব কোথায় জানো?
আবার তারা জাহাজ ভাসায় একটা বছর পেরিয়ে যায়
কোন এক দেশের জংলাটে এক বাঁকে
ভাগ্য যেন খুলল দুয়োর, সেখানে এক ভিটরে-শুয়োর
দাঁড়িয়ে, দেখে রিং আছে তার নাকে।
দুটোই বলে, ও ভাই শুয়োর, বেচবি নাকি নাকছাবি তোর?
শুয়োর বলে, ঠিক আছে ভাই, ওরে।
নাকের নথের আংটি দিয়ে, পরের দিনই সাঙ্গ বিয়ে
টার্কি পড়ায় মন্ত্র জোরে জোরে।
তারপরে তো ব্যাপক খানা, স্লাইস করা মাংস দানা
কড়কড়ে এক চামচে দিয়ে গালে।
বালিতে আল্পনা এঁকে, হাত-ধরে-নাচ জোছনা মেখে
একটা প্যাঁচা, এক মেনি বেড়ালে।