এলিয়টের আগের ছড়াগুলো বিল্লিনামা, গাম্বিড়াল, হালুমবা, রামটাম টাগ্গার, জেলকলিদের গান, মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার, দাঁতেরেনমি, রামপাস মার্জার কথা, মিস্টোফিলি, বাদশাহ ম্যাকাভিটি , গাস নামে থিয়েটারি বিল্লি
বাস্টোফার জোন্স
টি এস এলিয়ট, ভাবানুবাদঃ আবু হোসেন
শ্রীবাস্টোফার জোন্স সে তো নয়
খ্যাংরাকাঠি বিল্লিপ্রবর
ঝাঁই চকচক শরীরখানা
গড়ণটড়ণ দিব্য নধর
শূঁড়িখানায় নেই যাতায়াত
রেস্তোরাঁ সেই পাড়ায় যত
সেইখানে তার আড্ডাখানা
জেমস সরণির রাজার মত
রাস্তাঘাটে দেখলে তাকে
হাই হেলো দেয় সব লোকেরা
কোটখানি তার কয়লা কালো
সদাই যেন ইস্ত্রি করা
জেমস সরনির সবসেরা সে
বিল্লিকুলের ব্রুমেল, জানি।
কাউকে তিনি বললে মেঁয়াও
আমরা জীবন ধন্য মানি
ইচ্ছেমতন ইশকুলে যান
পাশ বা ফেলের নেই তো ঝুঁকি
রেস্ত ছাড়াই রেস্তোরাঁতে
যখন তখন মারেন উঁকি
‘স্টেজ অ্যান্ড স্ক্রিন’-এর চিংড়ি সেরা
বিখ্যাত ‘ফক্স’ স্যামন মাছে
তাঁহার কাছে এমন হরেক
রেস্তোরাঁদের তত্ত্ব আছে
শিকারকালে হরিণ কাবাব
“ব্লিম্প’-এ ঘোরেন তাহার খোঁজে
“গ্লাটন” কেমন পাকায় ‘কারি’
সে তাঁর মতন কেই বা বোঝে?
এমন করেই দিন কাটে তাঁর
এখান সেখান অন্যখানে
কেমন করে এমন নধর
গড়ণ তাঁহার, সবাই জানে।
ওজন এখন পঁচিশ পাউন্ড
গায় গতরে বাড়ছে আরো
তাতেও তিনি ক্ষিপ্র বেজায়
কোন জাদুতে? বলতে পারো?
লেজখানিকে উঁচিয়ে ধরে
রাস্তা দিয়ে হাঁটেন সোজা
শ্রীবাস্টোফার বিল্লিতিলক
কৃষ্ণ কোট আর সফেদ মোজা
ব্রুমেলঃ পুরোনো ইংল্যান্ডের একজন ফ্যাশন আইকন