এলিয়টের আগের ছড়াগুলো বিল্লিনামা, গাম্বিড়াল, হালুমবা, রামটাম টাগ্গার, জেলকলিদের গান, মঙ্গনজেরি আর রামপালটাইগার, দাঁতেরেনমি, রামপাস মার্জার কথা, মিস্টোফিলি, বাদশাহ ম্যাকাভিটি , গাস নামে থিয়েটারি বিল্লি, বাস্টোফার জোনস , রেলবিড়াল স্কিম্বল
বিল্লীসম্বোধন
টি এস এলিয়ট
ভাবানুবাদঃ আবু হোসেন
দেখে লাখো মার্জার ঘরোয়া ও বুনো
একটাই সারকথা বুঝে গেছি , শুনো
বেড়ালের পরিচয় পেতে যদি চাও
দোভাষী না পাও যদি চলে যাবে তাও
কেন না, এ বই পড়ে জেনেছ তো ভাই
মানুষে বিড়ালে কোনো ডিফারেন্স নাই
দু জাতেই নানা শ্রেণী নেই তো তফাৎ
কিছু ভারী ভালো আর কিছু বজ্জাত
কোনো ভালো বড়ো ভালো কোনো ভালো খাটো
কারো শিরে ঢিলে স্ক্রুপ কারো স্ক্রুপ আঁটো
দেখেছ তাদের তুমি খেলাতে ও কাজে
জেনে গেছ কার সাথে কোন নাম সাজে
কোনজন কাজ করে কে কে দ্যায় ফাঁকি
শুধু
কী বলে ডাকিবে তাকে সেটা জানা বাকি
শুরুতে পুরানো পাঠ হোক উদ্ধার
বেড়াল, কুকুর নয় জেনে রেখো সার
কুকুরেরা ভাব করে যেন খোদ যম
হাঁকে তারা বেশি তবে কামড়ায় কম
যতই মারুক হাঁক বাস্তবে তারা
সরল ও সিধা জীব স্বভাবে বেচারা
শহুরে কুকুর যত শত রঙ ঢঙ
হাবেভাবে তারা যেন যাত্রার সং
বিনয়ের অবতার অহমিকা হীন
লেজ নাড়ি চাটুকারী করে সারাদিন
যদি চাও বশে নাও দিয়ে তিন তুড়ি
গলার তলায় শুধু দাও সুড়সুড়ি
অথবা চাপড় মারো পিঠে আর ঘাড়ে
থাবা ধরে ঝাঁকি দিয়ে বশ করো তারে
অমনি সে মহাসুখে নেচেকুঁদে সারা
কুঁই কুঁই সঙ্গীতে কেঁপে ওঠে পাড়া
তাই বলি এই কথা রাখিও খেয়াল
কুকুর কুকুরই আর বেড়াল… বেড়াল
লোকে বলে বেড়ালের একটাই রুল
তুমি যদি আগে বলো হবে ভারী ভুল
যতখন সে তোমাকে না শুধাবে কিছু
মুখ বুঁজে থাকা চাই মাথা করে নীচু
আমি বলি আরে নানা মোটেই তা না রে
দেখা হলে আগেভাগে তুমি ডেকো তারে
(তবে) ইয়ার বন্ধু ভেবে কাঁধে দিলে চড়
জেনো সে রুষ্ট হবে তোমার উপর
আমি যদি পথেঘাটে পাই দেখা তার
টুপি খুলে বাউ করি গোটা তিন বার
তারপর ডেকে বলি “প্রিয় মার্জার”
তবে যদি বাস তার হয় কাছাকাছি
সম্বোধনের তবে তত বাছাবাছি
লাগে নাকো। ডেকি বলি ওহে হ্যালো হাই
তবে জেনো শুরুতেই নাম নিতে নাই
দুধ ভরা বাটি তাকে দিয়ে নজরানা
তার পরে কাছে এসে হবে চেনা জানা
এইবারে জেনে নিয়ে কী বা তার প্রিয়
সেইমত ক’টি দিন নজরানা দিও
ক্যাভিয়ার, চিকেন আর মাংসের পিঠে
কারো প্রিয় নুনঝাল, কেউ চায় মিঠে
কারো বা বাতিক হল খরগোশ ছাড়া
কিছুটি রোচে না মুখে আহা রে বেচারা
তাকে যে খাতির কর এ তারই প্রমাণ
এর পরে প্রসারিত করে হাতখান
মিলে যাবে অনুমতি তাঁহাকে ছোঁবারও
এইবারে তুমি তাঁর নাম নিতে পারো