এই লেখকের আগের ছড়াঃ বুড়ো আঙুলা, ব্যকরণ দিদি
মাছ-কাহিনী
পার্থ চৌধুরী
কষ্ট করে আসলে যখন মৎসকাশে
দেখি তোমার ভাগ্যে ক-খান মৎস্য আসে
ছিপটি পাকা চার-ও ভাল হুইল খাসা
ক্ষুৎপিপাসা হরণকারী ঝুড়িও ঠাসা
কেমন মজা যেমন তুমি তালিম পাবে
দখিন-হাতের ব্যবস্থাটাও ভালই যাবে
ঠিক এসেছ আমি-ই হনু এক বিশারদ
নসিব তোমার উড্ডীয়মান কিংবা গারদ
দাঁড়াও রোস একটু বোস ছাত্রবাবু
রোদের তাপে কাজের চাপে হচ্ছ কাবু
ছতরী খোল যতন করে টোপ-টি গাঁথ
কথার ফাঁদে যে-ই শাঁসাল পার্টি গাঁথ
ঠিক তেমন-ই ধৈর্য ধরে বসতে হবে
গভীর যত রাঘব-বোয়াল জুটবে তবে
মাছ ধরা সে সহজ না রে অল্পায়াসে
সকল দেশেই ব্যাপক যত গল্প আসে
পুরাণকালে মৎস্যাবতার কিংবা জোনাহ
সিন্দবাদেও গোদা মাছের গল্প শোনা
পিনোক্কিও গিসল নাকি কাহার পেটে
মাছ-মহিমা জানতে হবে অনেক খেটে
এদান্তিকে হেমিংওয়ে গেছেন লিখে
আবার ধর আরেক গল্প মবি ডিক-এ
জলচর-এর ভক্ত অ্যাডামস বুঝলে বৎস
সত্যজিৎ-ও গেছেন বলে রক্তমৎস্য
মাছের গীতে বেলা ভালই আসছে পড়ে
বাতাস মিঠে রোদের জ্বালা যাচ্ছে সরে
অনন্তকাল ক্ষুধাও চেপে যায়না রাখা
কথকতার তাল মিলিয়ে রসদ ফাঁকা
বলছ কী হে কেবল বুলি মৎস্য কোথা
ছিপ খেলিয়ে মাছ ধরা কি মুখের কথা
মন্দটা কি হরেক রকম হদিশ পেলে
নারাজ তবু কী আর বলি ইয়াং ছেলে