লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে।
খুদে শিল্পীঃ অভিরাজ দেবনাথ
তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার বাবা

টিকুজি
অরণ্য(খুদে)
অনেক কাল আগে টিকুজি নামে এক ধরনের প্রাণী থাকত পৃথিবীতে। ডাইনোসরের সময়। একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। আকাশ ডাক ছিল খুব। বৃষ্টি চলল দিনের পর দিন। সব ডাঙা ডুবে গেল জলে। একদল ডাইনোসর গিয়ে জড়ো হল বড় পাহাড়ের নিচে। তারপর তারা গা বেয়ে উঠতে শুরু করল।
টিকুজিরা থাকত ঐ পাহাড়ের উঁচু একটা গুহায়। তারা দেখল অনেকগুলি অচেনা প্রাণী এগিয়ে আসছে তাদের বাসা লক্ষ্য করে। ডাইনোসরদের ভাবল নিজেদের শত্রু। তারা পাহাড়ের উপর থেকে পাথর ছুড়তে শুরু করল ভয়ে। কিছু ডাইনোসর মরে গেল। বাকিরা আক্রমণ করল টিকুজিদের। ডাইনোসরেরা লড়াই করছিল বাঁচার জন্য। আর টিকুজিরাও নিজেদের গুহার দখল কাউকে দিতে চাইল না। দুদলের ভীষণ যুদ্ধে শেষে সবাই মরে গেল। বেঁচে রইল শুধু একটি বাচ্চা ডাইনোসর আর একটি ছোট্ট টিকুজি।
ওরা দুজনে বন্ধু হয়ে গেল।
সন্ধিক্ষণ
পুষ্পেন মণ্ডল (বড়ো)
এস.আর.৫৫২ডি যখন বক্তব্য রাখার জন্য গলাটা ঝেড়ে নিলেন তখন ধূসর আকাশে আলোর গোলাটা বাঁদিকে হেলে গেছে। ঘোলাটে হলুদ মেঘ ছেয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। শুরু হয়ে গেছে ব্যাক-কাউন্ট। ৯৯.৯৮.৯৭….
বন্ধুগণ, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসে গেছে। আশাকরি আপনারা সবাই প্রস্তুত। আমাদের ক্লোন নিয়ে এস.এস.৩/২ ঢুকে গেছে স্পেস টাইম টানেলে। যুদ্ধে আমরা হারি বা জিতি কোনটাতেই কিছুমাত্র যায় আসে না এখন। সামনের শত্রু বড় ভয়ানক। ওদের বিজ্ঞান অনেক উন্নত। বিপক্ষের শক্তির পরিমাপ করার ক্ষমতাও আমাদের নেই। তবু আমরা এই যুদ্ধটা করব। পালাব না। আমাদের সিস্টেমে এই অভিজ্ঞতা জমা থাকবে পরবর্তী ক্লোনের জন্য। আবার তারা যখন মহাকাশের এই অঞ্চলে অভিযান করবে নিশ্চয়ই কাজে লাগবে সেই তথ্য। স্মরণ করুন সেই ভয়ঙ্কর সময়ের কথা, যখন নিশ্চিত মৃত্যু জেনে আমাদের পূর্বজ “মানুষ”রা জৈব ডি.এন.এ.র জায়গায় কৃত্রিম ডি.এন.এ. তৈরি করে আমাদের ছেড়ে দিয়েছিল মহাকাশের অনন্ত যাত্রাপথে। আজকে আবার এক সন্ধিক্ষণে উপস্থিত আমরা … হার না মানা জাতির উত্তরসূরি।