দেশ ও মানুষ সব পর্ব একত্রে
হরিয়াল ও সর্দারের উপাখ্যান
অলোক গাঙ্গুলী
হরিয়ালের নাম অনেকদিন আগেই জানা ছিল, কিন্তু ঠিক চাক্ষুষ করা হয়নি এতদিন। তারপর ২০১৭ সালে জিম করবেট অভয়ারণ্য ঘুরতে যাওয়া স্থির হয় দিল্লি হয়ে। ওখানে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রওনা হতে হবে আরও একটি পরিবারের সঙ্গে। যাওয়ার আগে ঠিক হয় যে একবার দিল্লি ও আগ্রা ভ্রমণ করে নেওয়া যাক। তাই বিভিন্ন জায়গা ঘুরে আমরা পৌঁছলাম দিল্লির লাল কেল্লায়। সেখানে পৌঁছেই প্রথম পক্ষি দর্শন পেলাম অন্তত ১০-১২টা ফুলটুসি টিয়ার আর একই সংখ্যার কিছু কাঠবিড়ালের। ওদের মধ্যে এক অদ্ভুত সহাবস্থান দেখতে পেলাম। একই চত্বরে বসে একসঙ্গেই ভোজন চলছে। ঘুরে ঘুরে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভের মাহাত্ম্য দেখে চলেছি আর অন্যদিকে চোখ রেখেছি আরও কিছু পাওয়ার আশায়।
একজায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা চা পান করছি, এমন সময় ওপরে কিছু পাখির ডাক শুনে তাকালাম। প্রথম দর্শনে বুঝতে পারিনি, মনে করলাম টিয়া বুঝি। পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পারলাম। এটি তো কবুতর অথবা পায়রা, সবুজ রঙের, পা দুটো হলদে। এই আমার প্রথম হরিয়াল দর্শন (Yellow footed Green Pigeon) (শীর্ষচিত্র) গায়ের রঙ গাঢ় সবুজ, পা দুটো হলুদ, গাছের ওপর থেকে যেন আমাকেই একদৃষ্টে দেখে চলেছে, আমার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। আমার গলায় একটা বড়ো যন্ত্র ঝোলানো রয়েছে, সেটা দিয়ে আমি কী করতে চলেছি বোধহয় সেটাকেই উপলব্ধি করার চেষ্টা করছে। আমি বুঝেছি যে এবার আমি ওর দিকে ক্যামেরা তাক করলেই উড়ে পালিয়ে যাবে, তাই একটু সাবধানতা বজায় রাখা দরকার। আমি এবার একটু দূরে সরে একটা গাছের আড়ালে নিজেকে লুকোনোর চেষ্টা করলাম পক্ষিটির দৃষ্টি আমার থেকে সরানোর জন্য। আমি জানতাম হরিয়াল ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়। কিন্তু এ তো একা, এর কোনও সঙ্গীসাথীদের দেখছি না! আমি লক্ষ রাখলাম। পাখিটি একটু অন্যদিকে ঘুরতেই আমি আমার ক্যামেরা তাক করে ওকে চট করে লেন্সবন্দি করলাম। আমার প্রথম হরিয়াল প্রাপ্তি, কী তৃপ্তি পেলাম এর ছবি তুলে! এরপর যখন করবেট গেলাম তখন আমি পাখির স্বর্গরাজ্যে। বহুরকমের হিমালয়ের পাখি সংগ্রহ করলাম, কিন্তু হরিয়ালের দেখা পেলাম না।
হরিয়াল একধরনের পায়রা জাতীয় ফলভূক বৃক্ষচারী পাখি। হরিয়াল সাধারণত ভারতীয় উপমহাদেশে দেখতে পাওয়া যায়। এটি ভারতের মহারাষ্ট্রের রাজ্য পাখির মর্যাদা পেয়েছে। প্রধানত মারাঠিরা এদের ‘হরিয়াল’ বলে। এরা বিভিন্ন ফল জাতীয় খাদ্য ও বাদাম জাতীয় তৈলবীজ খায়। এরা এদের গাছের ডালে বসে থাকতে দেখা যায়। বিবরণ অনুযায়ী আমিও এদেরকে ঝাঁকে ঝাঁকে গাছের ডালে বসে থাকতেই দেখেছি। দেশের এত প্রান্ত ঘুরে এসে দিল্লির পর আমার বাসস্থলের কাছেই এর দর্শন পাওয়া যাবে সেটা আমি কল্পনা করতে পারিনি। কর্মসূত্রে আমাকে মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, কলকারখানায় যেতে হয়। আর সেসব জায়গাতে তো আর ক্যামেরা কাঁধে করে নিয়ে ঘোরা যায় না। তাই অনেক সময় মনের ক্যামেরাতেই বন্দি করে রাখতে হয়েছে অনেক কিছু যা দ্রষ্টব্য।
আমার বাসস্থল থেকে অল্প দূরেই হালিশহর, উত্তর ২৪ পরগনার এক মফস্বল শহর। যারা জানেন না তাঁদেরকে জানিয়ে রাখি যে হালিশহর রামপ্রসাদের ভিটের জন্য বিখ্যাত। ওঁর জন্মতিথিতে বহু মানুষের সমাগম হয় এখানে। তাছাড়াও এই হালিশহর হল ভারতবর্ষের তথা বাংলার এক অসামান্য সংস্কারকের জন্মস্থান—রানি রাসমণি, যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দির। এই হালিশহরেই আমার প্রায় বছর দুয়েক যাতায়াত করতে হয়েছিল কর্মসূত্রে। এখানে এক পুরনো মিল আছে, সেই ব্রিটিশ আমলের। ভিতরে বেশ কয়েকটা প্রাচীন, ভূতুড়ে, ভগ্নপ্রায় বাড়ি রয়েছে—দেখলেই গা ছমছম করে। আমি বলেছিলাম যে ওখানে গোরা সাহেবদের ভূত অবশ্যই ঘুরে বেড়ায়—কেবল রাতেই নয়, দিনের বেলায়ও। এই পোড়ো বাড়িগুলোকে ঘিরে রয়েছে অজস্র গাছগাছালি, জঙ্গল বলা চলে। ব্রিটিশ সাহেবদের ব্যাবহার করা আসবাবপত্র রয়েছে সেখানে। আছে এক পুরনো ভাঙাচোরা গোরা সাহেবদের ক্লাবঘর যার মধ্যে পড়ে থাকা দামি সরঞ্জাম। পরিবেশের মধ্যে এখনও বেশ একটা ব্রিটিশ আমলের গন্ধ পাওয়া যায়।
এই মিলের ম্যানেজারের সঙ্গে আমার ভালোই আলাপ আছে। আর এইসব এখানকার বাগান, গাছগাছালি রক্ষণের ভার যার ওপরে রয়েছে তাঁকে এখানে সকলে সর্দার বলে সম্মান করে। আমার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর আমিও তাঁকে সর্দার বলেই সম্বোধন করি। প্রথম আলাপেই সর্দার আমার ফোন নাম্বার নিয়ে রেখে দিলেন, যদি কিছু নজরে আসে তাঁর তবে আমাকে তিনি অবশ্যই খবর দেবেন।
একদিন কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ বিকেলের দিকে ফোন বেজে উঠল। দেখি সর্দার ফোন করেছেন। আমি দেখেই বুঝলাম কোনও রোমাঞ্চকর খবর দিতেই এই ফোন। সর্দারের গলা ভেসে এল অন্য প্রান্ত থেকে, “স্যার, আমার সামনে গাছের ওপরে এক ঝাঁক সবুজ রঙের কিছু পাখি এসে ডেরা বেঁধেছে। কিছুটা ঘুঘু অথবা পায়রার মতো দেখতে।”
আমি বললাম, “ওগুলো হরিয়াল, ঝাঁকেই থাকে। তবে দেখবেন আবার আসে কি না। আর কেউ যেন ওদেরকে বিরক্ত না করে, মানে ঢিল ছোঁড়া ইত্যাদি।”
সর্দার আমাকে আশ্বস্ত করে বললেন, তিনি থাকতে এরকম হতে দেবেন না। আমিও ওঁর কথায় খুশি ও আশ্বস্ত বোধ করলাম।
সেদিনটা ছিল বুধবার আর আমার এর মধ্যে মিলে কাজে যাওয়ার জন্য কোনও খবর আসেনি। আমি চাইছিলাম যাওয়ার হলে যেন শনিবার অথবা রবিবার হয়, তাহলে বাড়ি থেকে যেতে পারব আর সঙ্গে ক্যামেরা নিতে পারব। আর তাই হল। মিল থেকে ম্যানেজার শুক্রবার ফোন করে জানালেন যে শনিবার দিন ওঁদের ওখানে কাজ রয়েছে, সেইমতো আমাকে হাজির হতে হবে। ইতিমধ্যে অন্যান্য দিনও সর্দার আমাকে খবর দিয়ে চলেছেন যে হরিয়ালদের আনাগোনায় কোনও ছেদ পড়েনি। আমি মনে মনে ভাবছিলাম হরিয়ালেরা কেন কেবল ব্রিটিশদের পরিত্যক্ত বাসস্থান পছন্দ করে। একবার লাল কেল্লায় আবার এখানে, দুটোই ব্রিটিশদের ভিটে।
শনিবার দিন সকাল দশটায় আমি ম্যানেজারের আগে সর্দারকে ফোন করলাম। তিনি জানালেন যে গতকাল ওদের আবির্ভাব হয়েছিল বেলা বারোটা নাগাদ। তাহলে সেইমতো এখনও সময় হয়নি। আমি ক্যামেরা তৈরি করে রওনা দিলাম সাড়ে এগারোটা নাগাদ মিলের উদ্দেশে। আমার বাড়ির থেকে গাড়িতে মিল পৌঁছাতে সময় লাগে আধঘণ্টামতো। বারোটার মধ্যে মিলে পৌঁছে গেলাম। খবর পেয়েই ম্যানেজার ও সর্দার আমাকে গেট থেকে নিয়ে গেলেন।
আমি প্রথমেই সেই গাছের কাছে পৌঁছলাম যেখানে হরিয়ালের আবির্ভাব হয়। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছি আমরা, তখনই দেখলাম গাছের পাতা নড়ে উঠেছে, সঙ্গে ডানার ঝাপটা। হরিয়ালেরা পৌঁছে গেছে। দিল্লির লাল কেল্লার পর এবার হালিশহর, আমাদের বাংলায় হরিয়াল দর্শন। সেই গাছটা থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে আমরা একটা নিরাপদ স্থান দেখে দাঁড়ালাম। নিরাপদ এই জন্যই যে চারদিকে যা ঝোপঝাড়, তাতে সরীসৃপ জাতীয় কোনও প্রাণী থাকা একবারেই আশ্চর্যের কিছু নয়। এখান থেকে হরিয়ালদের বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে। প্রায় পুরো গাছটাকেই ওরা অধিকার করে নিয়েছে। আর কোনই পক্ষি হয়তো ওই গাছে বসতে সাহস করবে না। সর্দারে মুখের দিকে আমি একবার আমার দৃষ্টি ঘোরালাম। ওঁকে বেশ খুশি দেখাচ্ছে আমাকে হরিয়াল দেখাতে পেরে। আমি ততক্ষণে ক্যামেরাটাকে ঠিকঠাক করে নিলাম। সর্দারের মুখে এই প্রথম কথা শুনলাম, “কেমন দেখছেন স্যার?”
“ভালোই তো। বেশ যত্ন সহকারে লালনপালন করে রেখেছেন দেখছি।” আমি বললাম।
আমার কথা শুনে তিনি বেশ আপ্লুত হলেন। এবার আমি বললাম, “কিন্তু সর্দার, আমি তো আপনার পাখিগুলিকে বন্দি করতে এসেছি, সঙ্গে করে নিয়ে যাব যে।”
তিনি অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন, মুখটা হাঁ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় উনি বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন, কিছু ভাবছিলেন। তারপর হঠাৎ যেন চেতনা ফিরে পেয়ে অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলেন, “তা কী করে সম্ভব স্যার, এতগুলি পাখিকে আপনি কখনও ধরতে পারবেন নাকি? আপনি কি সঙ্গে করে জাল নিয়ে এসেছেন ধরার জন্য?”
সর্দারের সরলতায় আমি একটুও অবাক হইনি। তাঁকে কিছু না বলে আমার ক্যামেরা তাক করে চটপট কয়েকটা ছবি তুলে ফেললাম। তারপর স্ক্রিনে এক এক করে সবক’টা ছবি সর্দারকে দেখালাম। ছবি দেখে তিনি খুব খুশি। এবার আমি ওঁকে বললাম, “কী, বন্দি করলাম তো? আপনার হরিয়ালদের আমি এবার সত্যিই ধরে নিয়ে যাচ্ছি।”
এবার সর্দার বুঝলেন যে পাখি আমি কী করে ধরব।
আমি কাজে ফেরার আগে সর্দারকে বললাম প্রতিদিন আমাকে খবর দিতে। তিনি মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন।
সর্দার তাঁর কথা রেখেছেন। প্রতিদিন তিনি জানান হরিয়ালদের আগমনের কথা। তিনি পরিকল্পনা করে রেখেছেন যে পরেরদিন গাছের নিচে কিছু গম, চাল ছড়িয়ে রাখবেন যাতে পাখিগুলি নিচে নেমে দানা খেতে আসে। সেই লোভে ওরা স্থায়ীভাবে এই গাছেই আস্তানা গড়ে তুলবে।
পরেরদিন সর্দার ফোন করলেন বেশ রাতের দিকে। গলার স্বর খুব নীচু, প্রায় কাঁদো কাঁদো।
“কী হল সর্দার, মনখারাপ মনে হচ্ছে?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
সর্দার কাঁচুমাচু হয়ে উত্তর দিলেন, “স্যার, পাখিগুলো আজ আর আসেনি। কী হল কে জানে!”
আমি বললাম, “মনখারাপ করবেন না সর্দার, ওরা এরকমই হয়, অতিথিমাত্র। এই বছর আর হয়তো ওদের দেখা পাওয়া যাবে না। পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তা বলে এটা ভাববেন না যে আর কোনও পাখি আসবে না। এবার হয়তো নতুন কোনও প্রজাতির পাখি এসে হাজির হবে।”
এই কথা শুনে সর্দার উৎসাহ ফিরে পেলেন। “ঠিক আছে স্যার,” তিনি বললেন, “হরিয়াল গেছে কুছ পরোয়া নেই, এবার নতুন কিছু এলেই কিন্তু ধরতে আসবেন স্যার।”
শেষ করার আগে বলি, আরও একরকমের হরিয়াল আমি দেখে এসেছি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। আমি পরিবার সমেত গিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বেড়াতে। ছবি তোলার সময় আমার অভ্যাসমতোই আমি কিন্তু চোখ রেখে চলেছি আমার শখের দিকে, পাখি খোঁজার শখ। পোর্টব্লেয়ার থেকে রস দ্বীপে গিয়েছি যেদিন সেখানে কিছু ব্রিটিশ কালের ভগ্নদশা ইমারত পড়ে রয়েছে। চারধারে সমুদ্র আর পাশেই একটা গাছে বসে আছে চারটে হরিয়াল, দুটো পুরুষ আর দুটো স্ত্রী।
কী সৌভাগ্য আমার, এখানেও হরিয়াল! সর্দারের কথা খুব মনে পড়ছিল। ছবি তুলেই ওঁকে ফোন করলাম ওখান থেকেই। হরিয়াল দেখতে পেয়েছি আবার ধরেও ফেলেছি শুনে খুব খুশি। বলেছি ফিরে গিয়ে ছবি দেখাব। এ হরিয়াল একটু আলাদা দেখতে। কপালের দিকে ছাইরঙা, ডানা জলপাই-সবুজ আর তলার দিকে টানা হলদে রেখা। পিঠের ওপর লালচে আভা। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে এটি আই.ইউ.সি.এন. লাল তালিকা ভুক্ত হয়।
আন্দামান থেকে ফিরে এসেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি নিজের কর্মক্ষেত্রে আর কিছু সামাজিক কার্যকলাপে। আর সেই সময় কাটতে না কাটতেই আবির্ভাব ঘটল বিশ্বজুড়ে এক ভয়ানক ভাইরাসের প্রকোপ, নাম করোনা। আমাদের সকলকেই ঘরে বন্দি বানিয়ে ছেড়ে দিল। সর্দারকে বলেছিলাম ফিরে গিয়ে ছবি দেখাব আমার হাতে বন্দি আন্দামানের হরিয়ালের। কিন্তু হল উলটো। বন্দি হলাম আমরা আর মুক্তি পেল ওরা, আমাদের হাত থেকে। পৃথিবী তার ভারসাম্য ঠিক বজায় রাখে।
লকডাউন চলাকালীনও সর্দার তাঁর দায়িত্ব ঠিক পালন করে চলেছেন। উনি থাকেন মিলের বাসাতেই, অর্থাৎ কোয়ার্টারে। মিলের দেখাশোনাও করেন, বাগান পরিচর্যা করেন, আবার লক্ষ রাখেন কী কী পাখি এল। আমাকে ফোন করে তার বিবরণ দেন। আর আমি যদি বুঝতে পারি, তার নাম বলে দিই। সর্দার নিজের কাছে একটা নোটবই রাখছেন আমাকে ফোন করার সময়। আমি বললে চট করে লিখে রাখেন। সর্দারের পাখি দেখার আগ্রহ বেড়ে চলেছে। কিন্তু বেচারা এখনও অপেক্ষা করে আছেন হরিয়ালদের আগমনের জন্য। উনি নাকি ওদের পুষবেন। বলেন, “ওরা তো পায়রার এক প্রজাতি। যদি পায়রা পোষা যায়, তাহলে হরিয়াল কেন যাবে না?”