লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে।খুদে শিল্পীঃ মহম্মদ আর্সালান। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা
বিড়াল এবং রাজপ্রাসাদ
মহীরুহ(খুদে)
মা- বলোতো এটা কী?
মহীরুহ- বিড়াল গান গাইছে।
মা- আর?
মহীরুহ- হলুদ রঙের রাজপ্রাসাদে রাজকুমারী গলা সাধছে। গ্রামবাসী শুনছে। সবাই খুশি। সেই শুনে আকাশের পাখিরাও গান গাইছে আর উড়ছে।
(মহীরুহ ছবিটা দেখে ইংরেজি ও বাংলা মিশিয়ে ছোট্ট ছোট্ট করে কয়েকটা শব্দ বলেছিল। আমি সেগুলো বাক্যের রূপ দিলাম। ছবির শেষে বলেছিল;ক্যাট এন্ড দ্য ক্যাসেল সেটির বাংলা করে একটা ছোট গল্পের আকার)
রেডি টু গো
রুমেলা দাস (বড়ো)
মেসোর কাছে নামখানা শুনে আমার তো পিলে চমকে গেছিল। একটা আস্ত শহরের নাম রেডি টু গো? তা বাপু সে নাম হবার পেছনে জব্বর একটা গপ্পো আছে; ও শহরের মানুষ থেকে জন্তু সবাই শুধু সারাক্ষণ দৌড়ে যায়। তাদের খাওয়া বসা নিদেনপক্ষে ঘুমানোরও সময় নেই। তাই শহরের মাতব্বররা মিলে বিদঘুটে এ নামকরণ করেছে। এ নিয়ে শহরবাসীর মনে দুঃখও কম নেই। তবে সারাদিনে রাতে বিশ্রামের উপায় একটা আছে! দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মাত্র দশ মিনিট শহরের বড় বড় ল্যাম্পপোস্টগুলোয় নীল আলো জ্বলে। ওটুকু সময় কেউ কোত্থাও নড়তে পারবে না। আলো নেভা অবধি স্থির হয়ে থাকতে হবে। তাই হলুদ, কমলা বাড়ির মাথায় মানুষগুলো, পাশে গোলাপী বাড়ির মেনিটা খানিক জিরিয়ে নিচ্ছে। আর মনে মনে ভাবছে, আমরা যদি পাখিদের মত ডানা মেলতে পারতাম।