মুখের ভাষা বুকের ভাষা
সুমঙ্গল দে
মুখের ভাষা বুকের ভাষা
সুখের ভাষা বাংলা রে,
দু’বাংলাতে রোজ কথা কয়
বাচ্চা বুড়ো আংলারে।
পাখির গানে নদীর তানে
সবার প্রাণের স্পন্দনে,
রক্ত-মাংসে জড়িয়ে আছে
মায়ের স্নেহের বন্ধনে।
আউল বাউল ভাটিয়ালি
জারি সারি লোকগীতি,
ভাদু টুসু যাত্রা গাজন
দেয় ভুলিয়ে শোকস্মৃতি।
মুচি মেথর হাড়ি ও ডোম
কামার কুমোর স্যাকরাতে,
মোল্লা হিন্দু বলেন কথা
এই ভাষাতেই একসাথে।
বিদ্যাসাগর বিবেক রবি
বীর সুভাষের এই ভাষা,
যাদুয় ভরা মধুয় ভরা
প্রাণ জুড়ানো সুর ঠাসা।
এই ভাষারই রাখতে যে মান
রফিক সালাম জব্বারে,
বুকের রক্তে শিখিয়ে গেছেন
বাংলাভাষী সব্বারে।
জয়ঢাকের ছড়া লাইব্রেরি
ছড়াকার সুমঙ্গল দে মহাশয় কে ধন্যবাদ l ভালো লিখেছেন l তবে ছড়াটি অলংকরণের সময় একটু যত্ন নিলে ভালো হত l কারণ চার লাইনের ছড়ায়, প্রথম স্তবকে- একটি লাইন ছবির উপরে, তিনটি লাইন ছবির নিচে রয়েছে l আমার মনে হয় -চারটি লাইন ছবির নিচে দিলেই ভালো হত l কারণ কবিতা বা ছড়ায় কোন একটা প্যারা থেকে কেটে ছবি সংযোজিত হলে, তা অনেকটায় ব্যাকরণ সমৃদ্ধ হয়না l লেখকের মূল ভাবনা রক্ষিত হয় না এবং সহজেই পাঠক ছড়ার বিন্যাস উপলব্ধি করতে পারেন না l অন্যদিকে, পঞ্চম স্তবকে বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখের সঙ্গে কাজী নজরুলের নামটা উল্ল্যেখ হলে ভালো হত l কারণ তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি l এক্ষেত্রে বাংলাদেশী ভাই -বোনদের আবেগকে অনুপ্রাণিত করতে নজরুলের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করি l আশা করি, একটু ভেবে দেখবেন প্লিজ l
LikeLike
আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ছবির অবস্থান নিয়ে বলি আপনি সম্ভবত মোবাইল ভার্শন দেখছিলেন।ডেস্কটপ ভার্শন ওটিকে ছড়ার ডানপাশে দেখায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোবাইল ভার্শন স্থান সঙ্কুলানের জন্য এমনটা করে থাকে। তবে এইবার সেটিকে খানিক পরিবর্তিত অবস্থানে পাঠানো হল। আশা করি এইবার আর এ-বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকবে না। কবিতার কন্টেন্ট একেবারেই লেখকের নিজস্ব। আপনার কমেন্টটিকে এইখানে রেখে আমরা পাঠকের অনুভূতি তাঁর কাছে পৌঁছে দিলাম। ধন্যবাদ।
LikeLike