বুড়ি আর আমগাছ কিংবা রঘু ও আম্রপালি ছবি সমৃদ্ধি লেখা শৈলী চ্যাটার্জি, পিয়ালী ব্যানার্জি শীত ২০১৯

লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে

একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ সমৃদ্ধি।তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর এক বড়ো

বুড়ি আর আমগাছ

শৈলি চ্যাটার্জি (খুদে) 

রামু গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, দূরের জঙ্গলে যাবে ভেবে। রাস্তার পাশে অনেক ধান হয়েছিল। যেতে যেতে একটা আমগাছ আর কুঁড়েঘর দেখল। গাছে আম দেখেই ওর খিদে পেয়ে গেল। ও যেই আম পাড়তে গেল, একজন বুড়ি ওই ঘর থেকে বেরিয়ে এল। বলল, “তুমি আম পাড়তে পারো কিন্তু রোজ বিকেলে আমার কাছে আসতে হবে।” ও প্রথমে খুব ভয় পেয়ে ডাইনি ভাবল, তবু অনেক আম খেল। পরদিন ভয় পেলেও আবার গেল আর গিয়ে বুঝল বুড়ির কেউ নেই তাই ওকে রোজ আসতে বলেছিল। এভাবে রোজ যেতে যেতে বুড়ির সঙ্গে রামুর ভাব হয়েছিল আর রোজ অনেক আম খাচ্ছিল আর সেই আমের আঁটি পুঁতে পুঁতে আমের জঙ্গল বানিয়ে ফেলল।

রঘু আর আম্রপালি

পিয়ালি (বড়ো)

রঘুনন্দনকে সব্বাই ডাকে রসাল-রঘু বলে।এই নামের একটা কারণ আছে,বলি শোনো।রঘুর বাড়ি গ্রামে।ছবির মত সুন্দর তার ঘর,তাতে খড়ের চাল।সামনে দিয়ে  পাকা রাস্তা। ।রাস্তার পাশেই ওদের ধানজমি।রঘুদের জমিতে তিনবার ধান হয়।কিন্ত গরমকালে যখন সবাই হাঁসফাঁস করে গরমে তখন রঘু নিশ্চিন্তে জমিতে যায়।আউশ ধান পাহারা দেয়  আমগাছের ছায়ায় বসে।আম্রপালি। গাছটা ওদের জমির ধারেই।ও ছোট্টবেলায় পুঁতেছিল দাদুর সঙ্গে,নিজের হাতে। ও  বড় হয়েছে আর গাছটাও । কী মিষ্টি আম হচ্ছে কয়েক বছর ধরে।রঘু একটি আম ও চোরের খপ্পরে দেয় না, রাতেও পাহারা দেয়। আম পাকলে ও গ্রামের ছেলেবুড়ো সব্বাইকে আম বিলি করে। সবাই খুব আনন্দে খায় আর রঘুকে প্রাণভরে আশীর্বাদ  করে। বলে রসাল-রঘুর জয়। আমের অন্য নাম রসাল কিনা!

খুদে স্রষ্টাদের সমস্ত কাজের লাইব্রেরি

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s