ভূতের আড্ডা ভূতের বাড়ি-থাইল্যান্ডের ভূতের বাড়ি-সাই ওয়াচাপাল অরিন্দম দেবনাথ বসন্ত ২০১৮

থাইল্যান্ডের ভুতুড়ে বাড়ি ১

পৃথিবীর বহু দেশেই ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন ভূত বাংলোর কাহিনী। সেই সব গল্প সত্যি কি মিথ্যে যাচাই করার জন্য যারা উৎসাহী তাদের জন্য  থাইল্যান্ডের কয়েকটি ভূত আবাসের খোঁজ দিয়েছেন অরিন্দম দেবনাথ।

সই ওয়াচারাপলের ভুতুড়ে আবাস

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক  থেকে খানিক দূরের এক ছোট শহর সই ওয়াচারাপল। বহুদিন ধরে এই শহরে প্রায় একশো একর জায়গা জুড়ে রয়েছে পড়ে আছে  ছোটো ছোটো বাঁশ কাঠের  থাই ঘরানার কিছু অসমাপ্ত বাড়িঘর। এরকম হবার কথা নয়। ব্যাংকক শহরের কাছে যেখানে জমির দাম তুঙ্গে, সেখানে কিনা শহরের ব্যাস্ততম অঞ্চলে পরে আছে প্রচুর জায়গা জুড়ে পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি!bhuterbari64 (7)

আরে এমনি এমনি কি জনমানবহীন অবস্থায় আর ঘরবাড়িগুলো পড়ে আছে? এই অসমাপ্ত বসতিটা হল ‘ওঁনাদের’ আখড়া। ঠিকাদার, এই জমিতে পিয়াপর্ণ গাটেড গোষ্ঠীর কিছু মানুষের জন্য বাড়িঘর বানাতে শুরু করার পরপরই বাড়ি বানানোর কাজে যুক্ত একের পর এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। কেউ কেউ আবার মাড়াও যায়। ফলে কাজ ছেড়ে যেতে থাকে মজুরের দল। কাজে যোগদান কারি নতুন মজুররাও অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করলে আর কেউ এই জমিতে কাজ করতে রাজি হল না। এই একশো জমির ঠিক মাঝখানে একটা বড় ঝিলে একসাথে তিনটে শিশু জলে ডুবে মাড়া যাবার পর প্রকাশ পেল এই জমিটা ছিল এক প্রাচীন কবরস্থান। গুনিন এসে নিদান দিল এই জমিতে কাজ শুরুর আগে ঠিকাদার এই জমিতে বসবাস কারি ‘ওঁনাদের’ কাছে থেকে না নিয়েছেন অনুমতি, না চেয়েছেন ক্ষমা ফলে যা হবার তাই হয়েছে। এই স্থান নিষিদ্ধ স্থান। ঠিকাদার আর বাড়ি বানাবার সাহস দেখায় নি। এমনকি যাদের জন্য আবাস তৈরি হচ্ছিল, সেই  পিয়াপর্ণ গাটেড গোষ্ঠীর লোকজনও কোন উৎসাহ  দেখাইনি এখানে বসবাস করার।

এই অঞ্চলের লোককথা, মাঝরাতে যদি পরিত্যক্ত এই গ্রামে ঢোকার সাহস কর ‘ওঁনাদের’ দেখা পেতেও পার। আমার অত সাহস নেই।

 সই ওয়াচারাপলের ভুতুড়ে আবাস

bhuterbari64 (1)

সই ওয়াচারাপলে আরও একটি বিশাল পাঁচিল ঘেরা বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে বহু বছর ধরে। বাড়িটির বাইরে বিক্রির বিজ্ঞপ্তি ঝুললেও কেউ উৎসাহ দেখাইনি বাড়িটি কিনতে। অথচ ব্রিটিশ ঘরানার এই বাড়িটি ভীষণ মজবুত।

এই বাড়িটির ভূতপূর্ব মালিক, স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ বিভুয়ে ছুটি কাটাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রান হারায়। হলে হবে কি! স্থানীয় লোকেরা বলে প্রায় রাতেই নাকি বাড়ির মালিককে স্ত্রী ও সন্তান সহ বাড়ির আনাচে কানাচে দেখা যায়, শোনা যায় বাচ্চাদের হাসি কান্নার শব্দ। এমনকি মাঝে মাঝে রাতের বেলা ঘরের ভেতরে দপ করে জ্বলে ওঠে ঝিকমিকে আলো। এইসব দেখেশুনে কে আর সাধ করে ওই বাড়ি কিনবে বলো?

ব্যাংককে গেলে একবার রাতের বেলায় চেষ্টা করতে পার ওঁনাদের সাক্ষাৎকার নেবার।

জয়ঢাকের ভূতের আড্ডা

 

1 thought on “ভূতের আড্ডা ভূতের বাড়ি-থাইল্যান্ডের ভূতের বাড়ি-সাই ওয়াচাপাল অরিন্দম দেবনাথ বসন্ত ২০১৮

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s