ভ্রমণ গোরেমে তারিহি মিল্লি পার্কি ইন টার্কি ও ল্যান্ড অফ ফেয়ারি চিমনিজ এর গালগল্প উমা ভট্টাচার্য বসন্ত ২০২০

 উমা ভট্টাচার্য  -র সব লেখা একত্রে

গোরেমে তারিহি মিল্লি পার্কি ইন টার্কি ও ল্যান্ড অফ ফেয়ারি চিমনিজের গালগল্প

উমা ভট্টাচার্য


তুরস্কের ক্যাপাদোকিয়ার মাটির নিচের শহরের কথা জয়ঢাকে আগের পর্বে লিখেছি। এবার আসি গোরেমে গ্রামের ওপেন এয়ার মিউজিয়ামের কথায়, ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পেল যে ‘Goreme Tarihi Milli Parki in Turkey’—সেটির কথা। বহু আগে গোরেমে অজ গ্রামই ছিল, এখনও গ্রামের মতোই পরিবেশ, কিন্তু পরিচিতি গোরেমে শহর নামে। সবটাই পাহাড়ঘেরা অঞ্চল। সেইসব পাহাড়ের মাথাগুলো সবই ইংরেজিতে যাকে বলে পিনাকল, অর্থাৎ ক্রমশ সূচালো হয়ে ওঠা ‘শঙ্কু’ আকৃতির। শয়ে শয়ে বিভিন্ন উচ্চতার পাহাড় সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে আকাশের দিকে মাথা তুলে। ধাপে ধাপে উঠে যাওয়া একাকার হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রেণীবদ্ধ পাহাড় ঘিরে রেখেছে সারা গ্রামটাকে। আর সেইসব পাহাড়ের দেহ খুঁড়ে পশ্চিম থেকে বিতারিত খ্রিস্টানরা তৈরি করেছিল নিজেদের আশ্রয়স্থল। এগুলির মধ্যে ছিল উপাসনালয়, সাধুসন্তদের বাসগৃহ, মহিলা সন্তদের (নানদের) জন্য আলাদা নানারি। বানিয়েছিল দোতলা, তিনতলা এমনকি পাঁচতলা পর্যন্ত বাসগৃহ। কিন্তু সবগুলিই ছিল পাহাড়ের গর্ভের ভিতরে, তৈরি হয়েছিল পর্বতগাত্রের গুহাবাড়ি।

ক্যাপাদোকিয়ারই এক অংশে গোরেমে, প্রায় চারদিক থেকে পাহাড়ঘেরা একটা ভ্যালি। ক্যাপাদোকিয়া যেমন পার্সিয়ানদের কাছে পরিচিত ছিল কাতাপাতুকা বলে, আবার তা গ্রিকদের সময় হয়েছিল ক্যাপাদোকিয়া। তেমনি গোরেমে গ্রামেরও অনেক নাম ছিল। কেউ বলত কোরামা, কেউ বলত মাতিয়ানা, মাক্কান—আরও কত নাম ছিল।
আগে এখানে কাদের বাস ছিল তা আজও সঠিক জানা নেই ইতিহাসবিদদের। একসময় এখানে এসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত হিট্টাইটরা। একসময় আনাতোলিয়াতেই তারা স্থাপন করেছিল রাজধানী হাট্টুসা, গড়ে তুলেছিল এক শক্তিশালী সাম্রাজ্য। গ্রিকদের দখলে আসার পর থেকে, প্রায় ১৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে এই জায়গা হয়ে উঠেছিল বাণিজ্যকেন্দ্র। আর আনাতোলিয়া তথা এশিয়া মাইনরের মাঝখান দিয়ে ক্যাপাদোকিয়ার বুক চিরে ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছিল রেশমপথ। এছাড়া জলপথও হয়েছিল এই অঞ্চল থেকেই। উত্তরে কৃষ্ণসাগর থেকে, বসফোরাস প্রণালী, মারামারা সি, দার্দানেলিজ প্রণালী, ইজিয়ান সি হয়ে বাণিজ্যপোত সোজা ভূমধ্যসাগর পথে চলে যেত ভারত মহসাগরে। ইউরোপ আর এশিয়ার মধ্যে যাতায়াতের এক গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হয়ে উঠেছিল দুটি পথই। আর এই দুই পথের উপস্থিতিই এই দুটি জায়গার জনমানুষ, তাদের আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলেছে রেশমপথ বেয়ে যাতায়াতকারী, অভিযানকারী, ব্যবসায়ী—নানা দেশীয় মানুষেরা। শতাব্দীর পর শতাব্দী হাতবদল হয়েছে এই বিস্তৃত অঞ্চল। উদ্ধত তরবারি, উন্মত্ত ভিনদেশী সেনাদল আর লুঠেরাদের হাত থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে যারা পালায়নি সেই বিশাল সংখ্যক মানুষ যেমন এখানে থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পাহারের নিচের দিকে ক্রমাগত খুঁড়ে খুঁড়ে, মাটির নিচে ভূগর্ভে বানিয়েছিল দুর্গবাড়ি, একেকটা শহর গড়ে তুলেছিল ক্যাপাদোকিয়ায়। তেমনি আরও পরে, খ্রিস্টান-রোমান বিরোধের কালে পালিয়ে আসা খ্রিস্টানরা গোরেমেতে পাহাড়শ্রেণীর দেহ খুঁড়ে বানিয়েছিল বাসস্থান। গোরেমের মুক্ত আকাশতলের যাদুঘর, গোরেমে ওপেন এয়ার মিউজিয়াম তৈরি হয়েছিল জনহীন গোরেমে উপত্যকায়।
আমাদের গাইড মেহমুদের মুখ থেকেই শুনলাম, যখন রোমান-খ্রিস্টান বিরোধ চরমে উঠেছিল, রোমে শুরু হয়েছিল খ্রিস্টানদের উপর অমানুষিক অত্যাচার, রাজার প্ররোচনায় নির্বিচারে খ্রিস্টান গণহত্যা, সে সময় জানপ্রাণ নিয়ে রেশমপথ বেয়েই পুবদিকে পালিয়ে আসছিল মানুষ, খুঁজে নিচ্ছিল নতুন নিরাপদ বাসের জায়গা, তখন তৈরি হয়েছিল গোরেমের এই ভুবনডাঙা নির্জন পাহাড়তলিতে। এইসব নানা কথা বলতে বলতে মুসলিম গাইড মেহমুদ কিন্তু হয়ে উঠেছিল সেকুলার। ধর্মের কারণে এত মানুষের বিনাশ, নিরাশ্রয় হওয়া যে সেও মানতে পারছিল না তা তার বর্ণনার ভাষা, গলার স্বর বুঝিয়ে দিচ্ছিল। সেও দুঃখিত হয় গৃহহারাদের কথা ভেবে। খুব যত্নের সঙ্গেই সে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিল আমাদের সেইসব স্থাপত্য, নিখুঁত বিবরণ দিচ্ছিল সেগুলির। গোরেমে গ্রামের বিশাল এলাকা নিয়ে নির্মিত সেইসব প্রাচীন স্থাপত্য ও হারিয়ে যাওয়া শিল্পকলা দেখলে একে মিউজিয়াম ছাড়া আর কিছু নাম দেওয়া যায় না।
গোরেমের ওপেন এয়ার মিউজিয়ামের পৌঁছনোর আগেই দূর থেকে দেখা গেল মেটে রঙের ছূঁচলো মাথা নাতিউচ্চ পাহাড়ের শ্রেণী। তিনদিক থেকে ঘিরে রেখেছে অপেক্ষাকৃত সমতল খানিকটা জায়গাকে। কাছে গেলে বোঝা গেল, সেই সমতল অংশটুকু প্রবেশপথ আর মিউজিয়ামের প্রাঙ্গণ।

সেদিন ছিল ঝকঝকে রোদ্দুর আর নীলগোলা আকাশ। মেঘের একটা ডেলাও ছিল না সেই অপার নীল আকাশে। ঝকঝকে আলোয় যতই কাছে যাচ্ছিলাম ততই স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল পাহাড়গুলির গায়ে জানালা, দরজার মতো খোপ কাটা। পিছনের পাহাড়সারি পিঠ দিয়ে আড়াল করে রেখেছিল মানুষের আস্তানাগুলিকে। জানালার মতো খোপ-খোপগুলির বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থান দেখে বোঝা গেল সেগুলি নানা তলে অবস্থিত।
সেখানে পৌঁছলাম পড়ন্ত দুপুরে। টিকিট কেটে ঢোকার মুখেই প্রবেশপথের সামনেই অবস্থিত নানারি, খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীদের আবাসস্থল। ছয়-সাততলা সমান উঁচু একটা গোটা পাহাড়ের ভিতর দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে তৈরি এই পাঁচতলা নানারি। অনুচ্চ পাহাড়ের গায়ে প্রথমে প্রবেশপথ বানিয়ে তার ভিতর দিয়েই সিঁড়ি বানিয়েছিল। বাইরে থেকে ভিতরে প্রবেশের প্রধান দরজাটি বন্ধ থাকত বিরাট গোলাকার পাথরখণ্ড দিয়ে যাকে বলা হত ‘মিলস্টোন’। এই পাথরখণ্ড শস্য পেষাইয়ের যাঁতার মতো দেখতে, তাই এই নাম। দরজাগুলির নাম ছিল ‘মিলস্টোন ডোর’। এই মিলস্টোন সহজেই গড়িয়ে দিয়ে প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া যেত। নানারির ভিতরেই ছিল সন্ন্যাসিনীদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, অন্যান্য কাজকর্ম আর উপাসনা করার সব ব্যবস্থা। মহিলাদের বাইরে বেরোবার প্রয়োজন হত না। আমাদের গাইড মেহমুদের মতে, তাদের নিরাপত্তার কারণে সেখান থেকে বেরোতে দেওয়া হত না। ঝুলবারান্দা থেকে বা বাতায়ন পথে তারা দেখতে পেতেন বাইরের জগত।
নানারিকে বাঁদিকে রেখে ভিতর দিকে ঢুকতে হয় খানিকটা ঢালু পথ বেয়ে। সামনেই চওড়া প্রাঙ্গণ, সাদাটে বেলেমাটির রঙের সব পাহাড়। প্রাঙ্গণটি দেখে মনে হয় গোবরমাটিতে লেপা গ্রামীণ বাংলারই উঠোন। পাহাড়ে পাহাড়ে আছে বেশ কয়েকটি চার্চ, ক্যাথিড্রাল, কমিউনিটির রান্নাঘর। কাছে এসে দেখা গেল পাহাড়ের গায়ে গায়ে ক্যাপাদোকিয়ার ‘পিজিয়ন রিজন’-এর মতোই শত শত কবুতর নিবাস।

প্রথম খ্রিস্টাব্দ থেকেই ক্যাপাদোকিয়ার এই অঞ্চল হয়ে উঠেছিল হাজার হাজার খ্রিস্টান উদ্বাস্তুর আশ্রয়স্থল। চার্চ, শ্রমণাবাস, আর একান্তবাসী, নির্জনতা-প্রিয় সাধুদের (ট্রোগ্লোডাইটদের) জন্য কিছু ছোটো ছোটো ভূগর্ভস্থ কক্ষ, নানারি এসব নিয়েই গড়ে উঠেছিল এক নতুন বসতি, যা হয়ে উঠেছিল খ্রিস্টধর্মের এক নতুন কেন্দ্র।
আগেকার দিনে খ্রিস্টধর্মেও ক্রশকেই সামনে রেখে ভজনা করা হত। যীশুর মূর্তিপূজা, সঙ্গে তাঁর জীবনের নানা ঘটনার চিত্রায়ন শুরু হয়েছিল অষ্টম শতকের শুরুর থেকে। শতকে শতকে গোরেমেতে এসেছিল বাস্তুহারা খ্রিস্টানরা। বাস্তুহারা হয়ে এলেও সঙ্গে নিয়ে এসেছিল বাইজাইনটাইন সাম্রাজ্যের (পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য) সমৃদ্ধ শিল্প ভাবনা, শিল্পধারা। যারা পরবর্তীকালে এসেছিল গোরেমেতে, তারা সেই শৈল্পিক চেতনা আর ঐতিহ্যকে বহন করে এনে তার উন্নত প্রকাশ ঘটিয়েছিল নবনির্মিত উপনিবেশের নানা স্থাপত্যে, চিত্রে, ফ্রেস্কোতে।

ফলে ধীরে ধীরে পাহারের গর্ভে খোদাই করে তারা যেমন চার্চ তৈরি করছিল, তেমনি চার্চের ভিতরের দেওয়ালে, সিলিংয়ে এঁকেছিল খ্রিস্টজীবনের নানা ঘটনার চিত্র, তাঁর উপদেশ দেবার চিত্র, বাইবেলে বর্ণিত নানা ঘটনার চিত্র। চার্চগুলির ভিতরের ছাদ ভল্টের মতো। কখনও চারটে পিলারের উপরে, কোথাও বা আরও বেশি সংখ্যক পিলারের উপরে একাধিক খিলানওয়ালা চার্চ গৃহ তৈরি করেছিল তাদের সামান্য যন্ত্রপাতি আর মগজাস্ত্র ব্যবহার করে। আর সেসব চার্চের দেওয়াল, পিলার, আর ভিতরের সিলিংগুলির সবগুলিতেই এঁকেছিল নানা কিছু। এই কাজটা করেছিল তারা প্রায় সাড়ে তিন শতাব্দী ধরে। এই সবই প্রাকৃতিক রঙের আঁকা, টেম্পারা বা ফ্রেস্কো যাকে বলে। পোড়া লাল, সবুজ আর সাদা রঙ ব্যবহার করেই তারা এইসব সুন্দর চিত্র এঁকেছিল। চতুর্থ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০৭১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাইজাইনটাইন সাম্রাজ্যের আমলে এক সুন্দর স্থাপত্য ও চিত্রকলার ধারা গড়ে উঠেছিল। সেলজুক তুর্কীদের আক্রমণে সেসব অমূল্য সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যায়। সেই শিল্পধারার এসে ঠাঁই করে নিয়েছিল গোরেমেতে। তাই তো আমরা বর্তমান শতাব্দীতেও এক গোড়া মুসলিম দেশে এই অপরূপ, সমৃদ্ধ খ্রিস্টান শিল্পকলা দেখার সুযোগ পেলাম। গত সহস্রাব্দের বাস্তুচ্যুত খ্রিস্টান সাধুদের ও মানুষদের প্রয়াসের ফলেই সম্ভব হল। মানুষ যে তাদের সংস্কৃতিকে হারিয়ে বাঁচতে পারে না তার প্রমাণ দেখে এলাম গোরেমেতে।
এই খ্রিস্টানরা কেন দেশহারা হয়েছিল তা জানতে চাইছিলেন আমাদের অনেক সঙ্গী। সেসব কথা জানলাম গাইড মেহমুদের কাছ থেকে। বাসে করে যতটুকু সময় চলতাম আমরা ততক্ষণই তার রানিং কমেন্ট্রি চলত। যেহেতু এই খ্রিস্টানদের মুসলিমরা তাড়ায়নি, তাই তার বৃত্তান্ত দিতে মেহমুদের কোনও দ্বিধাই ছিল না। গন্তব্যে পৌঁছবার আগে থেকেই সে বলতে শুরু করেছিল সেই বিতাড়নের কাহিনি।
আসলে হয়েছিল কী, শুরু থেকেই খ্রিস্টানরা ছিল এক ঈশ্বরের পূজক—যীশুখ্রিস্টই ছিলেন তাদের আরাধ্য, প্রতিভূ ছিল ক্রশ। অন্যদিকে রোম দীর্ঘকাল গ্রিক আধিপত্যে থাকার কারণে রোমানরা হয়ে উঠেছিল গ্রিকদের মতোই বহু দেবতার পূজারী। তারা রাজাকেই মানত ঈশ্বর বলে। রাজ্য বা স্টেট ও তার প্রধান রাজাই ছিলেন দেবতার প্রতিভূ। তারা রাজার নির্দেশকে দেবতার নির্দেশ বলে মানত। রাজার নির্দেশে, আর পৃষ্ঠপোষকতায় সারাবছরই জাঁকজমক করে নানা অনুষ্ঠান করত রোমানরা। খ্রিস্টানরা ছিল নীরব উপাসক। রোমানদের সেইসব প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে, হইচইতে খ্রিস্টানরা অংশ নিত না। তাই তারা রাজার কোপে পড়ল। তারা তখন গোপনে মিলিত হয়ে নিজেদের প্রার্থনাসভা করতে শুরু করে। এই কথা জেনেই রাজপুরুষেরা রাজাকে জানায়, আর রাজার নির্দেশেই এদের প্রতি অত্যাচার শুরু করে। শত শত খ্রিস্টান নিহত হয়। বাকিরা প্রাণ নিয়ে পালাতে শুরু করে পুবদিকে, এশিয়ার দিকে। পথে তারা মধ্য আনাতোলিয়ার এই নির্জন প্রন্তরের দেখা পায়। প্রায় জনহীন এলাকা, বিচিত্র প্রাকৃতিক গঠন, তিনদিকে প্রাচীরের মতো পাহাড়ের বেড়া। এই স্থানকেই বেছে নিল তারা নিরাপদ বলে। আস্তানা গড়ে তুলল গোরেমের নিভৃত এলাকায়। পাহাড়ের ঘেরাটোপের আশ্রয়ে থেকে ধীরে ধীরে কয়েক শতক ধরে তারা সঙ্গে করে আনা মানসিক সম্পদ, শিল্প-শিক্ষা দিয়ে বানাল আশ্চর্য স্থাপত্য আর অনুপম চিত্রসম্ভার, যা থেকে হারানো সময়ের ধারাবাহিক ইতিহাস খুঁজে পেলেন ঐতিহাসিকেরা। ইতিহাসে সর্বপ্রথম নির্মিত চার্চগুলির অস্তিত্ব টিকে আছে এখানে নানা বিচিত্র নামের, যেমন অ্যাপেল চার্চ, ব্ল্যাক চার্চ, তোকালি কিলিসি প্রভৃতি তেরোটি চার্চের মধ্যে। সঙ্গের দেওয়া কিছু চিত্র দেখলেই বোঝা যাবে কত সুন্দর এই গোরেমের ওপেন এয়ার মিউজিয়াম।

ভ্রমণ সব লেখা একত্রে

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s