দুই বোন
তন্নিষ্ঠা মজুমদার
একদেশে এক বৃদ্ধা তাঁর দুই মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। তবে তাঁরা খুবই গরিব ছিলেন। তাঁদের দু’বেলা খাবার জুটত না। একদিন সেই বৃদ্ধা মারা যান। তার পরের দিন তাঁদের ঘর বিক্রি হয়ে যায়। বোনেরা বনে একটা ঘর বানিয়ে বসবাস করত। বড়ো বোন লীনা ছিল শান্ত, লাজুক। সে ঘরের সব কাজ আর রান্নাবান্না করত। ছোটো বোন অ্যানা ছিল চঞ্চল আর দুরন্ত। সে শিকার করত, ফল জোগাড় করত।
ওই সময় নিয়ম ছিল যে সাধু ছাড়া কেউ যদি বনে থাকে, তাকে গিলোটিনে গর্দান দিতে হবে। এদিকে রাজারা বনের সিংহদের ধরে নিয়ে গিয়ে কসরত করাত।
একদিন অ্যানা খাদে পড়া এক সিংহকে বাঁচায় আর তার সেবা করে। তার কিছুদিন পরে সৈন্যরা দুই বোন আর সেই সিংহকে ধরে নিয়ে যায়। সিংহটাকে খাঁচায় বন্দি করে ও বোনেদের গিলোটিনের সামনে নিয়ে আসে। যখন বোনেদের মুখের ঢাকা খোলা হল, তখন রাজা আর রাজার ভাই দুই বোনের রূপ দেখে মুগ্ধ হলেন। বললেন, “এদের আমরা মারব না। বিয়ে করব।”
বোনেদের ছেড়ে দেবার পর তারা বলে, “মহারাজ, আমরা বিয়ে করতে রাজি, কিন্তু আপনি আর কোনোদিন কোনও বনবাসীকে মারবেন না, সিংহদের দিয়ে কসরতও করাবেন না। আপনার চিড়িয়াখানার সব পশুকে বনে ছেড়ে দিন।”
রাজা রাজি হলেন। দুই ভাইয়ের সঙ্গে দুই বোনের বিয়ে হল। তারা সুখে শান্তিতে থাকতে লাগল।
খাসা লেখা, চমৎকার লেখা!
LikeLike
খুব সরলতামাখা ও আনন্দদায়ক গল্প
LikeLike