লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে।খুদে শিল্পীঃ মহম্মদ আর্সালান। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা
জাম গাছে মুরগি
রুহানিয়াৎ(খুদে)
জাম গাছে মুরগি বসে। ময়না পাখি ওপরে ওড়ে।। সূর্য ডোবে। পাখি ওড়ে। বড়াে বড়াে গাছ থাকে। টিয়া পাখি গাছ বসে। তারপর সেই মুরগী টা খাবার খেয়ে নেয়।
আত্মজন
কস্তুরী (বড়ো)
সে অনেক বছর আগের কথা। তখন সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ঘন জঙ্গল। মাঝে মাঝে ছোটো ছোটো জনপদ। শান্ত, ধীর স্থির জীবনযাত্রা। জঙ্গলে অনেক পশুপাখি। তাদের নিজেদের একটা সমাজ আছে। আছে অনেক নিয়ম কানুন, যা মনুষ্যসমাজ থেকে কোনো অংশে কম না। এইরকম এক জঙ্গলে থাকত ছোট্টো একটা মোরগ। তার নাম অহন। অহন একা একা জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসত। প্রকৃতির সঙ্গে কথা বলত সে। গাছেদের সঙ্গে কথা বলত, প্রজাপতিদের সঙ্গে, নদীর সঙ্গে, এমনকি সকাল বেলার সূর্যও ছিল ওর কথা বলার সঙ্গী। একদিন হঠাৎ খেলতে খেলতে অহন দেখতে পেলো একটা বাচ্চা মেয়ে একা একা কাঁদতে কাঁদতে জঙ্গলে ঘুরছে। ওর মনে হল মেয়েটা নির্ঘাত পথ হারিয়ে ফেলেছে। এদিকে জঙ্গলের কড়া নিয়ম, মানুষ-এর সঙ্গে কথা বললে সমাজচ্যূত হতে হবে। কিন্তু ওর মনে পড়ল ওর বাবা মা ওকে শিখিয়েছে যে যখনই দেখবে কেউ বিপদে পড়েছে, সাহায্য করবে। অহন ভাবলো যে হোক না মানুষ, বিপদে যখন পড়েছে আমাদের এই জঙ্গলে এসে, আমাদের দায়িত্ব ওকে নিরাপদে ওর গ্রামে পৌঁছে দেয়া। অহন গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কাঁদছ কেনো গো?” যা ভেবেছিল, ঠিক তাই। অহন বলল “তুমি কিছু ভেব না। আমি তোমায় ঠিক পৌঁছে দেব।” তারপর ওকে সঙ্গে নিয়ে অহন খুঁজে খুঁজে ওকে নিয়ে গেল সেই জায়গাতে যেখানে ওর যাওয়া নিষিদ্ধ। মানুষ-এর গ্রাম, যেখানে গেলেই নাকি মানুষেরা ওকে পুড়িয়ে কেবাব বানিয়ে ফেলবে। অহন-এর খুব ভয় করল। জঙ্গলে ফিরলেও সিংহ রাজা ওকে সমাজচ্যূত করবে, আর এখানে মানুষ মেরে ফেলবে। ওর এখন কোথাও যাওয়ার নেই। মেয়েটার অহনের জন্য খুব দুঃখ হল । ও বলল, “চলো, আমার বাবা এই গ্রামের মোড়ল। জিজ্ঞেস করি এখন আমাদের কি করা উচিত।” এদিকে ওর বাবা মা তো মেয়েকে ফেরত পেয়ে খুব খুশি। উনি বললেন আমি বিধান দিলাম, আজ থেকে অহন আমাদের গ্রামেই থাকবে। ওর নাম তো অহন , সুর্যের প্রথম রশ্মি। ওর কাজ হবে প্রথম আলো দেখতে পেলেই ডেকে ওঠা যাতে গ্রাম এর মানুষ ঘুম থেকে উঠে যে যার নিজের কাজ করতে পারে। যদি কেউ অহনকে মারে সে আর কোনোদিনও ঘুম থেকে উঠতে পারবে না।
আজ এত বছর পরেও ওর উত্তরসূরীরা বিভিন্ন গ্রামে মানুষকে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করে।