লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। অংশ নিলঃ ছবিতে বউল, গল্পে অরিন্দম (বড়ো) আর অভিরাজ (খুদে)
বউল-এর ভ্রমণ – অরিন্দম দেবনাথ
খুব মন খারাপ হয়ে গেছিল বউলএর। সামনে এত্ত বড় মাঠ অথচ তাতে একটাও গাছ নেই, ঘাস নেই, প্রজাপতি নেই, ফুল নেই…। এমনকি কোন মানুষজনেরও দেখা নেই। তার এত সুন্দর লম্বা ফ্রকটা দেখবে কে? খালি নেই আর নেই। কেন যে বাবা-মা এখানে বেড়াতে নিয়ে এ’ল? বাদামি মাটি পাথরের মাঠের ওপর দিয়ে একা হাঁটতে হাঁটতে মাঠের শেষের খাদের ধারে পৌঁছে, চমকে গেল বউল। আকাশটা যেন নেমে এসেছে নীচে। বিশাল এক সবজে রঙা ব্যাঙের ছাতার ওপর দিয়ে টুকটুকে লালরঙা ছোট সূর্য উঁকি দিচ্ছে। এক ঝাঁক পাখি উড়ে আসছে। আর বহু দূরে একটা না জানা জন্তু দাঁড়িয়ে। বউল ছুট লাগাল বাবা-মাকে ডেকে আনতে।
সন্ধে নামার আগে -অভিরাজ দেবনাথ-৭ বছর
একটা মেয়ে নীল রঙের নদীর জলে একটা কুমীরকে মাছ খেতে দেখল। তখন সন্ধে নেমে আসছিল। মেয়েটার একটু একটু ভয় করছিল। কিন্তু সে নদীর থেকে অনেক দূরে ছিল। আকাশে কিচঁ কিচঁ ডাক তুলে অনেক অনেক পাখি ঘরে ফিরছিল। মেয়েটার মনে পড়ল পাখিরা সকালে বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়ে আর সন্ধে হলে ঘরে ফিরে আসে। সেও ঘরে ফিরে গেল। ঘরে ফিরে সে পড়তে বসল কি না আমি জানি না।
সঙ্গে রইল ছাপার যোগ্য স্টোরিকার্ড