লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। অংশ নিলঃ ছবিতে মহিরুহ, গল্পে সুস্মিতা (বড়ো) আর ঐশিক(খুদে)
মঙ্গোর অভিযান-সুস্মিতা কুণ্ডু (বড়ো)
অনেক অনেক দূরের হাকুঙ্গো গ্রহ থেকে উড়নযানে চেপে এই নতুন গ্রহটায় এসেছে মঙ্গো। আসলে যানটা খারাপ হয়ে গেল তাই এখানে নামতে বাধ্য হল বেচারা। মঙ্গো মাঝেমাঝেই বাবা-মা কাজে বেরোলে চুপিচুপি গ্রহভ্রমণে বেরোয়। আবার মা-বাবা ফেরার আগেই বাড়ি চলে আসে। কিন্তু আজ পড়েছে বিপদে। উড়নযানটা সারিয়ে ঠিক সময়ে বাড়ি ফিরতে না পারলে ধরা পড়বে, কপালে জোরদার বকুনি জুটবে। এমনসময় মঙ্গো দেখল চারপাশে সবুজসবুজ লম্বালম্বা সরুসরু লাঠির ডগায় লাল-গোলাপি কী সুন্দর দেখতে সব জিনিস সাজানো, কী সুন্দর গন্ধ! মঙ্গোদের গ্রহে শুধু পাথর আর যন্ত্রপাতির লোহালক্কড়, এমনটা তো নেই। আজ তবে এইগুলো মা-বাবার জন্য উপহার নিয়ে যাবে, তাহলে দেরি হলেও আর বকুনি নিশ্চয়ই খেতে হবে না! মঙ্গো মনে মনে নতুন গ্রহটার নাম দিল মঙ্গোলা আর ওই সুন্দর জিনিসগুলোর নাম দিল ম্যাগনোলিয়া।
মায়ের সঙ্গে গল্প। ঐশিক (চার বছর)
ঐশিক: এটা তো আমি, নিমো।
মা: নিমো কী করছে?
ঐশিক: আমি পেপা পিগের মত মাডি পাডলে লাফাচ্ছি। দেখো আমি বুটও পরেছি।
মা: তা, তুমি লাফাচ্ছো কেন?
ঐশিক: এই দেখো আমি হাসছি তো, আমার আনন্দ হয়েছে তাই।
মা: তোমার এত আনন্দ কেন হল শুনি?
ঐশিক: সবুজ ঘাস, লাল ফুল, গোলাপি ফুল আমার খুব ভালো লাগে। আমি ওদের ছবি আঁকব। এই ছবিটায় নীল আকাশ আর হলুদ সূর্য নেই তো। ওদের মন খারাপ করবে। তাই আমি ওদেরও ছবি আঁকব। সূর্যও আমার সাথে মাডি পাডলে লাফাতে চায়। আমার বুটজুতোগুলো আমি ওকে দেব।
সঙ্গে রইল ছাপার যোগ্য স্টোরিকার্ড
মহীরুহ যা একেছে তার সঙ্গে ঐশিকের গল্পের মিল আছে বলতে হবে। কারণ ছবিটা আমাকে দেখানোর পর মহী বলেছিল ও নিজেই নাকি হাসছে। তাই ঐশিক আর মহীর ভাবনা খাপ খাচ্ছে। তবে susmitadir গল্পটাও মন্দ নয়।
LikeLike