লেখাছবির খেলা মুকুট রূপসা ও সমৃদ্ধি শরৎ ২০১৯

লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে

একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। অংশ নিলঃ ছবিতে মুকুট,গল্পে রূপসা (বড়ো) ও সমৃদ্ধি(ছোটো)

বন্ধু -রূপসা ব্যানার্জী (বড়ো)

নীল পাখিটার উপর রাজবাড়ির সকলেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।পাখিটার  সৌন্দর্য  দেখে মুগ্ধ হয়ে বেশ দাম দিয়েই তাকে কেনা হয়েছিল; কিন্তু কে জানত তার গলার স্বর এমন বিচ্ছিরি!  রাজামশাই রেগে খাঁচা খুলে বের করে দিলেন পাখিটাকে।  কিন্তু সে বেচারার ডানা জখম হয়েছিল ধরা পড়ার সময়। তাই উড়তে না পেরে মাটিতে পড়ে গেল। তখন  ছোট্ট রাজকন্যা চান্দ্রেয়ী ছুটে এসে তাকে কোলে তুলে নিল। আদর করে নিয়ে গেল নিজের বাগানে । লাল ফুলে ভরা একটা গাছে তাকে বসিয়ে দিয়ে বলল- “যতদিন তোমার ডানায় জোর না পাচ্ছো, ততদিন এখানেই থাকো বন্ধু।” তারপর থেকে পাখিটা আর কোথাও যায়নি;  রাজকন্যার কাছেই থাকে। তারা দুজনে এখন খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছে।

কুঁড়ে পাখি- সমৃদ্ধি ব্যানার্জী (খুদে)

এক ছিল কুঁড়ে পাখি। সে শুধু বাসায় বসে বসে ঘুমাতো আর মোটা হত।  খাবার খুঁজতে যেতনা। তার বউ খাবার এনে দিত আর সে খেয়ে আবার ঘুমিয়ে যেত।  একদিন ওর খুব খিদে পেল। বউ বাড়িতে ছিলনা। তাই ও গাছের ডালে বসে খিদেয় উঃ আঃ করছিল। তখন আর একটা পাখি বলল- পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটা গাছে লাল লাল চেরি পাওয়া যায়।  তুমি সেখানে যাও। “ কুঁড়ে পাখি কোনোদিন এতদূর একসাথে ওড়েনি। কিন্তু এবার খিদের চোটে শনশন করে উড়ে সেই চেরিফলের গাছে বসল। পেট ভরে চেরি খেল আর কয়েকটা বউয়ের জন্য নিয়ে এল। বউ খুব খুশি হয়ে বলল-“ তুমি আর কুঁড়ে নেই।  তুমি কাজ শিখে গেছো।“

সঙ্গে রইল ছাপার যোগ্য স্টোরিকার্ড

লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে  সমস্ত লেখা একত্রে

Leave a comment