লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। অংশ নিলঃ ছবি যশো । লেখা নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী(বড়ো) ও শ্রমণ মেঘদূত (খুদে)
রামধনু গাড়ি- নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী
পুবমুখো বাড়িটার দরজা খুলে দিলেই একফালি বারান্দা। সেখানেই সারাদিন বসে থাকে ঝুমুর। বয়স ওর সাত। সব বাচ্চারা যখন স্কুলে যায়, ও তখন কেবল দেখে। ওর স্কুলে যাওয়া হয় না। জন্ম থেকেই ঝুমুরের পা দুটো দুর্বল, সে উঠে দাঁড়াতেই পারে না। রোজকার মত সেদিনও সে বসে বসে আকাশ দেখছিল। ঝলমলে আকাশে পরিষ্কার রামধনু দেখা যাচ্ছিল। হঠাৎ করে চারদিক কালো করে এল। সেই রামধনু ছোট হতে হতে কী করে যেন এক চাকাওয়ালা রামধনু গাড়ি হয়ে গেল। সেই গাড়ি থেকে নেমে এল তিনটে সুন্দর পরি। তিনজনের তিনরকমের রং। পরিরা দল বেঁধে খেলা করতে লাগল, আর ঝুমুর প্রাণ ভরে ওদের খেলা দেখতে লাগল। হঠাৎ মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙতেই ঝুমুর দেখল, কোথায় পরি? কেবল আকাশের গায়ে ওদের রামধনু রংয়ের গাড়িটা তখনও দিব্যি জেগে আছে।
বসন্তকাল – শ্রমণ মেঘদূত
একদিন খুব শীতকালে খুব বরফ পড়ছিল। বাচ্চারা মাঠে খেলতে গিয়ে দেখে মাঠেও বরফ। এক রাখাল গরু চরাতে গিয়ে দেখে বরফ ভর্তি। বাচ্চারা ভাবল স্নোম্যান বানাবে। একজন বাচ্চা বানাল। অন্য তিনজন জোগাড় করল জিনিসপত্র। এক বাগানে চাষী চাষ পর্যন্ত করতে পারেনি। তারপর দুপুরবেলায় এল তুমুল ঝড়বৃষ্টি। সবাই বাড়ি চলে গেল। বৃষ্টি থেমে গেল। তারপর রামধনু উঠল। আস্তে আস্তে শীতকাল চলে গেল। গরম পড়ল। সূর্যের তাপ বাড়ল। তারপর চাষীরা চাষ শুরু করল। একচাষী একটা তালগাছ পুঁতল। বীজটা দিল ট্র্যাক্টর দিয়ে।
সঙ্গে রইল ছাপার যোগ্য স্টোরিকার্ড
লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে সমস্ত লেখা একত্রে