লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। অংশ নিলঃ ছবি স্বাতন্ত্রী, লেখা জ্যোতির্ময়(বড়ো) ও জিষ্ণু (খুদে)
যোগাযোগ- জ্যোতির্ময় দালাল
-মনে পড়ছে এ জায়গাটা?
-আলবাত। স্কুলের গরমের ছুটি পড়লেই তো দেশের বাড়ি এসে তোর সঙ্গে নৌকো ভাসাতাম এই বিলের জলে।
-বাইবি নাকি আজ একটু?
-পাগল, স্লিপ ডিস্ক! সফটওয়্যার কোম্পানিতে বিশটা বছর কাটাবার খেসারত।
-নাহ্। চাকরি করে করে তুই বুড়িয়ে গেছিস সাত তাড়াতাড়ি।
-আর তুই তো এই চল্লিশেও বেশ ইয়ং রয়ে গেছিস চাষবাস আর নৌকা চালিয়ে । আসলে গ্রামের পরিবেশে থাকার ডাইরেক্ট রেজাল্ট। আমরা এদিকে ছুটছি আর্ট অফ লিভিং শিখতে।
-নেক্সট মাস থেকে তুইও তো পাকাপাকি একেবারে পলিউশন ফ্রি দেশে সেটেল হতে চললি। সুইডেন তো ফাটাফাটি জায়গা রে – স্মার্টফোনে যা ছবি দেখালি তখন।
-তা ঠিক, তবে দেশের বাড়ি আর তোদের সবাইকে খুব মিস করব। আবার কবে আসা হবে কে জানে।
-আচ্ছা, এক কাজ করিস। আমাদের খুব মিস করলে ও-দেশের কোন নদীর ধারে এরকম কোনো এক বিকেলে বসিস গিয়ে …
দুই ভাইয়ের গল্প -জিষ্ণু দালাল
একদিন দুটো ভাই একটা নৌকা বাইছিল। কিছু সব্জি নিতে তারা একটা গ্রামে গিয়ে পৌঁছাল। তারা খুব ক্লান্ত হয়ে শেষমেশ নৌকার ওপরেই ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে উঠে তারা দেখে যে কোন এক অজানা জায়গায় চলে এসেছে তাদের নৌকা – চারিদিকে কিচ্ছুটি নেই। তারা খুব অবাক হয়ে গেল, তারপর নৌকায় আগের দিনে রাখা সবজিগুলো খুঁজতে গিয়ে কোথাও কিছু পেল না। সেখানে জলের মধ্যে একটা পেল্লাই humpback তিমি মাছ ছিল, যে ওদের সব সবজি খেয়ে নিয়েছিল। তখন দুই ভাই মিলে পরামর্শ করে ঠিক করল যে কাঠ দিয়ে একটা মোটর তৈরি করা যাক। তারপর তারা খুব তাড়াতাড়ি সেই মোটর বোট চালিয়ে বাড়ি ফিরে এল।
সঙ্গে রইল ছাপার যোগ্য স্টোরিকার্ড
লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে সমস্ত লেখা একত্রে
অসাধারণ
LikeLike