লেখাছবির খেলা–সমস্ত স্টোরিকার্ড একসঙ্গে।এইখানে ক্লিক করো। ইচ্ছেসুখে ভাগ করে নাও। ছাপিয়ে বন্ধুদের দাও।
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ অরিণ (বোবো)। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা।

দোয়েলের ছবি
সমৃদ্ধি ব্যানার্জী ( মুন্নু) (খুদে)
ছোটবেলা থেকেই দোয়েল ছবি আঁকতে ভালোবাসে। মাথা থেকে নানারকম আইডিয়া বের করে আর পেন্টিং করে। পরীক্ষার রেজাল্ট কোনোদিন খুব একটা ভালো হয়না ওর। ‘ বি’ কিংবা ‘ সি’ গ্রেড পায়। লোকে ওদের বাড়িতে এসে ওর মা, বাবাকে বলে যায়-“ মেয়ের পড়ার দিকে একটু জোর দাও। আঁকা ছাড়িয়ে দাও “; কিন্তু মা আর বাবা মেয়ের উপর জোর করেননা। ওকে আঁকায় আরো উৎসাহ দেন। দোয়েল আরো সুন্দর সুন্দর পেন্টিং বানাতে থাকে।
তারপর অনেক বছর কেটে গেছে। দোয়েল এখন খুব বড় একজন আর্টিস্ট। এখানে ওখানে ছবির একজিবিশন হয় ওর। তবে ও কিন্তু সবচেয়ে ভালোবাসে ওর ছোটবেলায় করা একটা পেন্টিং …নিজের পায়ের তলায় রঙ লাগিয়ে কাগজে ছাপ দিয়ে প্রজাপতি বানিয়েছিল সে। দুটো ডানাও এঁকেছিল স্কেচ পেন দিয়ে। সেই ছবিটা নিজের বেডরুমে খুব আদর করে টাঙিয়ে রেখেছে সে।
ফিরে পাওয়া
রূপসা ব্যানার্জী (বড়ো)
ছোট্ট রাজকন্যা প্রকৃতি-র খুব অসুখ। বিছানা থেকে ওঠারও ক্ষমতা নেই। রাজামশাই রাজ্যের সেরা কবিরাজদের ডাকলেন, কিন্তু সব চেষ্টা বৃথা।রাজকন্যা দিনদিন শুকিয়ে যেতে লাগল।
রাজপুরীতে রাজা কাঁদেন, রানী কাঁদেন। বাগানে ফুল ফোটেনা , প্রজাপতি ওড়েনা। প্রজাদের মুখেও হাসি নেই।
এমন সময় রাজপুরীতে এলেন রাজামশাইয়ের গুরুদেব। তিনি রাজাকে বললেন – “ তোমার কন্যা স্বয়ং প্রকৃতিদেবীর অংশ। অর্থ ও উন্নতির লোভে রাজ্যের প্রায় সমস্ত জঙ্গল কেটে তুমি প্রকৃতিদেবীকে কষ্ট দিয়েছো। তাঁর সেই যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের প্রকৃতির শরীরে। এখন যাও, নতুন করে গাছ লাগাও। যা নষ্ট করেছো, তা আবার ফিরিয়ে দাও। “
তারপর সারা রাজ্যে শুরু হল বৃক্ষরোপণ উৎসব। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল রাজকুমারী। বিছানা থেকে নেমে সে একছুটে পৌঁছে গেল বাগানে। ফুলে ফুলে ভরে উঠল বাগান। আর রাজকন্যার পায়ের প্রতিটি ছাপ বাগানের মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে সৃষ্টি হতে লাগল রঙীন প্রজাপতি। আবার নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়ার আনন্দে হেসে উঠল সারা রাজ্য।