লেখাছবির খেলা–সমস্ত স্টোরিকার্ড একসঙ্গে।এইখানে ক্লিক করো। ইচ্ছেসুখে ভাগ করে নাও। ছাপিয়ে বন্ধুদের দাও।
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ সুকন্যা। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা।

মায়েদের পিকনিক
ঐশিক (খুদে)
এক ছিল মা আর ছিল আরেকজন মা। একদিন বিকেলবেলায় তারা দু’জনে মিলে ঠিক করল নদীর ধারে পিকনিক করতে যাবে। গাছের তলায় বসে তারা নানারকম ফল আর পাঁউরুটি দিয়ে পিকনিক করল। তারপর গাছের ডালে দোল খেল। এমন সময় একটা প্যাকঁপ্যাঁক হাঁস নদীতে সাঁতার কাটতে এল। তারা দু’জন হাঁসকেও একটু খাবার দিল। তখন হাঁস খুব খুশি হয়ে বলল, “আমি তোমাদের বাড়ি যাব আর তোমাদের বাড়ির ছোট্ট খোকাখুকুদের বন্ধু হ’ব।”
তারপর তারা সক্কলে মিলে ভারি আনন্দে দিন কাটালো।
ঠিক দুক্কুরবেলা
সুস্মিতা (বড়ো)
সেদিন বিন্তি আর ক্ষেন্তি দুপুরবেলায় এক পাঁজা এঁটো বাসন নিয়ে বোসপুকুরে গেল মাজতে। তারপর তো দু’জনে মিলে কী গপ্পো! কী আড্ডা! এদিকে হাঁসের দল তো আর শান্তিতে পুকুরে চরতে পারেনা। তখন তারা রেগে গিয়ে নালিশ করল রাজহাঁসের কাছে। রাজহাঁসের ভারি শক্তি। সে মুখে চাট্টি মাটির ঢেলা নিয়ে উড়ে গিয়ে ঢিপ ঢিপ করে সেগুলো ফেলল পুকুরঘাটে। বিন্তি ক্ষেন্তি তো বেজায় চমকে এদিকসেদিক চেয়ে কাউকে দেখতে পেল না। ভয়ের চোটে তারা ‘ঠিক দুক্কুরবেলা/ভূতে মারে ঢেলা” “বাবা গো মা গো” বলে চেঁচিয়ে বাসন ফেলে দৌড়ে পালালো। হাঁসের দল তখন রাজহাঁসের জয়জয়কার করল আর জমিয়ে মজা করল।