লেখাছবির খেলা–সমস্ত স্টোরিকার্ড একসঙ্গে।এইখানে ক্লিক করো। ইচ্ছেসুখে ভাগ করে নাও। ছাপিয়ে বন্ধুদের দাও।
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ ঐশিক। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা।

এ ম্যান ইন দি বাস
মহীরুহ (খুদে)
ওই কাকাটাকে আমি রোজ দেখি। হলুদ বাসে চড়ে সাঁ করে আমার পাশ দিয়ে চলে যায়। ঠিক আমি যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরি। তখনই। ওই বাসে আরও অনেকে আছে। ওরা সবাই হারিয়ে গেছিল। স্বর্গ থেকে ওদের একেক করে এনে কাকাটা প্রত্যেকের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায় রোজ। সবার মনে কী আনন্দ। সবাই বাসে বসে হুল্লোড় করে। গান গায়। নাচে। বাসটাও বেলুন দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো।
কাকাটা খুব ভাল। ও নিজেও একদিন হারিয়ে গেছিল। তাই ওর মনে খুব দুঃখ।
রিমি আর হলুদ বাস
রুমেলা (বড়ো)
রিমি রোজ ওই স্কুল বাসটাকে দেখে। বুঝতে পারে ওর ভেতরে অনেক কথা হয়। গান হয়। হুল্লোড় হয়। রিমির কাছে ওই বাসটা একটা স্বপ্নের মত। যেখানে আলো আছে। রং আছে। কথা আছে। শব্দ আছে। আর তাই রিমির খুব কষ্ট। রিমির মনে হয় কেন ঈশ্বর ওকে এমন করলেন? শুধুমাত্র দু’হাতের অঙ্গভঙ্গি ছাড়া ও যে কিচ্ছু পারে না। না শুনতে। না ওই বাচ্চাগুলোর মত কথা বলতে। বুকের ভেতরটা হু হু করে ওঠে।
আজ রিমি অনেকক্ষণ বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে। স্কুলের বাস মিস করেছে। আনমনা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আচমকা ওর পায়ের কাছে কিছু একটা এসে ঠেকে। দেখে একটা টকটকে লাল বেলুন। ঘাড় ঘোরাতেই চোখে পড়ে ওরই মত একটা মিষ্টি মেয়ে। সামনেই দাঁড়িয়ে সেই হলুদ ঝকঝকে বাসটা। সবাই জানলা দিয়ে ওকে দেখছে। ওই মেয়েটাও অবাক হয়ে তাকিয়ে রিমির দিকে। রিমি বেলুনটা তুলে মেয়েটাকে ফেরৎ দেয়। মেয়েটা বেলুন নিয়েও চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। হাসে। রিমির দিকে এগিয়ে ধরে। একে একে বাস থেকে নেমে আসে অনেক বাচ্চা। সবাই রিমিকে অনেক অনেক বেলুন দেয়। রিমির আর একটুও কষ্ট হচ্ছে না।
মনে হচ্ছে রিমি তো ওদেরই একজন।
লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে সমস্ত লেখা একত্রে