লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ সৃজনী। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা
অপচয়
তিতির (খুদে)
একদিন, শ্রীজা দেখল একটা জলের কল থেকে টুরুপ টুরুপ করে জল পড়ে যাচ্ছে। তাই দেখে শ্রীজা বলল, “এ বাবা, জল নষ্ট হচ্ছে!” বলে ও কলটা বন্ধ করে দিল।
তারপর একটা লোক এসে পুরো কলটা খুলে দিল আবার। তখন শ্রীজা বুঝল এই লোকটাই জল নষ্ট করছে। তখন শ্রীজা চেঁচিয়ে বলল, “থামো, থামো!”
“কী হয়েছে খুকু?”
“আপনি কলটা কেন বন্ধ করলেন না?“
লোকটা কিন্তু কল বন্ধ না করেই হাসতে হাসতে চলে গেল।
তারপর শ্রীজা দেখল লোকটা পুরো জায়গায় জল নষ্ট করছে। অনেক দিন পরে পুরো জায়গাটা শুকনো হয়ে গেল আর ঐ লোকটা মরে কঙ্কাল হয়ে পড়ে রইল, কারণ সব জল ফুরিয়ে গেছিল আর জল খেতে না পেলে মানুষ মরে যায়।
বিপদ
অনুষ্টুপ শেঠ(বড়ো)
বিচ্ছিরি স্বপ্ন দেখল তুতুসোনা। সে যে কী ভয়ের স্বপ্ন কী বলব!
দেখছিল কী, চারদিকে সবকিছু ভেঙে মাঠ হয়ে গেছে, সে মাঠ আবার শুকনো খটখটে, বড় বড় ফাটল ধরা। কোথাও একটাও গাছ নেই! গনগনে রোদ্দুর, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে ওর, খুঁজছে জল কই, জল কই!
ওদের প্লে-এরিয়ার কলটা স্বপ্নে ভাঙা, অকেজো। ওরা রোজ কতবার জল নিয়ে খেলা করে…
ওহ্! এবার বুঝেছে ও, কেন এই স্বপ্নটা এল।
কাল ওদের খেলা দেখে দারোয়ানজী বলছিল, এভাবে জল নষ্ট করলে তোমাদেরও আমার গাঁওয়ের দশা হবে, রোজ মেয়েরা কলসী নিয়ে জল আনতে কত দূর যায় জানো? তাও মেপে মেপে খরচ করতে হয়!
সত্যি তো! আজই ঋকু, মুনিয়া, সোনম সবাইকে বারণ করবে ও, আর কক্ষণো দরকার ছাড়া একটুও জল নষ্ট করবে না।
নইলে, সব্বার বিপদ হবে একদিন যে!
খুব সুন্দর হয়েছে।লেখা ও ছবি দুটোই।
LikeLike