লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ শ্রদ্ধা। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার দিদিমণি
কেমন শিক্ষা!
উপাসনা দেব (খুদে)
একটা বাড়িতে একটা একোরিয়াম ছিল।সেই বাড়িতে একটা মেয়ে থাকত।সে একোরিয়াম টা খুব যত্ন করে রাখত। সেই একোরিয়ামে একটা মাছের নাম ছিল মিকু।মিকু খুব কুঁড়ে ছিল আর রোগা। মিকু রোগা ছিল কারণ সবাই যখন খেত তখন মিকু ঘুমোত আর একবার ও উঠত না। মাছগুলো ভালো ছিল বলে অল্প খাবার মিকুর জন্যে রেখে দিত। এরম করে দিন চলে যায়। একদিন মাছেদের মধ্যে সবচে বয়স্ক যে মাছ সে বলল, এরকম করে চললে হবে না। মিকু যদি ভালো করে না খায় তাহলে ও মরেই যাবে। আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। বুদ্ধিটা সে সবাইকে বলল। পরের দিন সব মাছেরা মিলে একটুও খাবার মিকুর জন্যে রাখল না,সব খেয়ে ফেলল। মিকু ঘুম থেকে উঠে একটুও খাবার না পেয়ে সবাইকে জিগ্যেস করলো। কেউ উত্তর দিলো না। মিকু খাবার না খেয়ে সারাদিন মনখারাপ করে বসে রইল। এরম করে দিন চলে গেল। মিকু খাবার না পেয়ে আর থাকতে না পেরে একদিন ঠিক করল সে ভোরবেলা উঠবে। পরদিন সে ভোরবেলা উঠে দেখল ভর্তি খাবার। পেট ভরে খেয়ে সে ঠিক করল এরপর থেকে রোজ ভোরেই উঠবে।তারপর থেকে সে আর কুঁড়ে হল না।
ইশকুল
পিয়ালি ব্যানার্জী (বড়ো)
মাছেদের স্কুলবাস এসে ইস্কুলে পৌঁছে দিয়ে গেল। এখানে ওদের সাতদিন থাকতে হবে, তারপর চলে যাবে নানান জায়গায়। ইয়েলো ট্যাং এর পাঁচটা বন্ধু হয়েছে। সবাই একরকম। অন্য ক্লাসগুলোয় পড়ে বেট্টা, নিয়ন টেট্রা, গাপ্পি, স্পারকেল গোরামি, এরকম কত রকমের বন্ধু মাছ। সকালবেলায় প্রেয়ারে আসেন ক্যাটফিশ ম্যাম,কী সুন্দর শান্ত। ভালো ভালো গান শেখান।
আজ এক কান্ড হল। একজন হলুদ ছোট্ট বন্ধু মা’কে ছেড়ে এসে কাঁদছিল বলে এখুনি কোলে নিয়ে চলে গেলেন এঞ্জেল ফিশ ম্যাম, এই স্কুলের সবচেয়ে গ্ল্যামারাস টিচার। ওরা সবাই হাঁ করে দেখে। ছোটকুর কী ভাগ্যি তাই ভাবলো ওরা। এখন যে ফাইটার ফিশ স্যারের জুডো ক্লাস, আর তারপরই টিফিনব্রেক। শোনা গেছে জুকিনি খাওয়াবে আজ। কাল ছিল শশা, মটরশুঁটি। তারপর মেডিটেশান ক্লাস নেবেন গাপ্পি স্যার। সব শিখে গেলে বড়ো একুরিয়ামে সবার একসঙ্গে গ্র্যাজুয়েশান সেরিমানি। কী মজা!