লেখা ও ছবির খেলা চন্দ্রদেবতার আশীর্বাদ অথবা উজলপুর। লেখা রূপসা, সমৃদ্ধি । ছবি জিষ্ণু দালাল বসন্ত ২০২০

লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে

একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ জিষ্ণু। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা

চন্দ্রদেবতার আশীর্বাদ

সমৃদ্ধি ব্যানার্জী (খুদে)

এক গ্রামে চারজন কাঠুরে ছিল। তারা সারাদিন জঙ্গলে গিয়ে গাছ কাটত, কিন্তু অত কাজ করেও পেট ভরে
খেতে পেত না। খুব গরীব ছিল।
একদিন এক কাঠুরে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলল- “ দেখ ভাই, ছোটবেলায় আমরা কী সুন্দর চাঁদ দেখতাম,
খেলা করতাম ; কিন্তু এখন আর চাঁদের দিকে তাকানোর সময় পাইনা।
তারপরেই ওরা চমকে উঠে দেখল চাঁদের থেকে খুব সুন্দর একটা ছেলে বেরিয়ে এসে ওদের বলছে,“তোরা
আর গাছ কাটিস না। এটা ভালো কাজ নয়। তোরা চাষ কর। আমার আশীর্বাদে এখানে খুব ভালো ফসল হবে।”
তারপর ওরা চন্দ্রদেবতার কথামতো চাষ করতে লাগল। এখন ওদের জমিভরা ধান। রাতে ফসল পাহারা দিতে
দিতে ওরা গল্প করে, আগুন পোহায়, আকাশের চাঁদ-তারা দেখে আর চন্দ্রদেবতাকে প্রণাম করে।

উজলপুর

রূপসা ব্যানার্জী (বড়ো)

কলেজের পরীক্ষার পর বন্ধু স্বপন বলল, “ তোরা তো সারাজীবন কোলকাতার ধোঁয়া, ধুলোয় পচে মরলি!
চল আমার গ্রামে। শুদ্ধ বাতাস গায়ে লাগিয়ে আসবি।”
পরদিন ভোরের ট্রেনে স্বপনের সঙ্গে আমি, জয় আর রাহুল বেরিয়ে পড়লাম ওদের গ্রাম উজলপুরের পথে।
তারপর? স্বপ্নের মতো কেটে গেল দুটো দিন। পুকুরে সাঁতার কাটা, আনাড়ির মতো গাছে চড়তে গিয়ে আছাড়
খাওয়া, খোলা মাঠে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলা আর ভোরবেলা উঠে খেজুরের টাটকা রস খাওয়া।
রাতে ওদের বাড়ির সামনের মাঠে আগুনের ধারে বসে গল্প করতে করতে জয় বলল- “ আকাশে চাঁদ আর
তারাগুলো কী উজ্জ্বল ! কোলকাতার আকাশে তো তারা দেখতেই পাই না।”
আমি বললাম, “ উজলপুর গ্রামের সব কিছুই উজ্জ্বল! পলিউশন ফ্রি ! এমনকি, এখানকার মানুষের মনও!”

     খুদে স্রষ্টাদের সমস্ত কাজের লাইব্রেরি

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s