লেখাছবির খেলা–সমস্ত স্টোরিকার্ড একসঙ্গে। এইখানে ক্লিক করো। ইচ্ছেসুখে ভাগ করে নাও। ছাপিয়ে বন্ধুদের দাও।
ছবি আঁকল এক খুদে- মহীরুহ। সেই ছবি থেকে গল্প বানাল আর এক ক্ষুদে আর এক বড়ো
দুষ্টু সিগন্যাল
দেয়াসিনি গোস্বামী(খুদে)
একটা রাস্তা দিয়ে একটা ছোট্ট ছেলে আর একটা ছোট্ট মেয়ে যাচ্ছিল। রাস্তাটার নাম গুঁড়িগুঁড়ি। আকাশ থেকে খুব বৃষ্টি পড়লেও ওই রাস্তাটায় গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে বৃষ্টিরা পড়ত তাই লোকে রাস্তাটাকে ওই নামে ডাকত। ছেলেটা প্যান্ট জামা পরা আর মেয়েটা খুব সুন্দর লেসের ফ্রক পরা। ওরা ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছিল। কিন্তু রাস্তার ওপারে ওদের বাড়ি তাই ওরা ওপারে যাওয়ার জন্যে যেই বড়ো রাস্তায় নেমেছে অমনি ট্রাফিক সিগন্যাল রেগে গিয়ে লাল চোখে তাকাল। ওখানকার ট্রাফিক সিগন্যাল বাচ্চা ছেলেমেয়েদের একা রাস্তা পেরোনো একদম পছন্দ করত না। ছোট্ট বাচ্চাদুটো খুব ভয় পেয়ে গেল। ওরা জানে ওদের বাবা রেগে গেলে এভাবে চোখ লাল করে আর ওরা তখন খাটের তলায় লুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এবার ওরা কী করবে! ওদের ভয় দেখে হাওয়া এল। হাওয়া ওই পাড়ায় সব লোকদের দেখাশুনো করে, বাচ্চাদেরও খুব ভালোবাসে। হাওয়া বলল আমি ইশারা করলেই তোমরা আমার সাথে সাথে রাস্তা পার হয়ে যেও। তারপর সিগন্যালটাকে খুব বকে দিল।
বরফের রানি
নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী (বড়ো)
এরেন্দেল। এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। শীতের মরশুম চলছে। পাহাড়গুলোর মাথা বরফে সাদা হয়ে গেছে। কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। এক লম্বা ওক গাছের মাথায় উঠে বসে ছিল এলসা। সে হল বরফের রানি। পৃথিবীর যেখানে শীত, সেখানেই এলসা। তার হাতে থাকে একটা বিরাট লাঠি তা ছুঁইয়ে দিলেই গাছের মাথায় বরফ জমে। এলসার পছন্দ হল তীব্র ঠাণ্ডা আর বরফ, তার ইচ্ছেতেই প্রকৃতিতে শীত বাড়ে। এমন সময় এলসা দেখতে পেল ছোট্ট ছেলে এমিলকে। শীতে সে প্রায় ঠকঠক করে কাঁপছে, গায়ে তেমন কোনো গরম পোশাক নেই। ছেলেটির অসুস্থ মা ছাড়া জগতে কেউ নেই, তাই ছোট্ট এমিল একাই বনে এসেছে ফায়ারপ্লেসের কাঠ নিতে। এলসার মনে এমিলের জন্য খুব মায়া হল। সে তার হাতের শীত লাঠিটা নীচু করল। তারপর এমিলকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়ি পৌঁছে দিতে ছুটল।
খুব সুন্দর
গল্প তৈরি হচ্ছে
আবহ তৈরি হচ্ছে
ক্ষুদে শিল্পীর ছবি থেকে উঠে আসছে লেখা। ভালো প্রয়াস
LikeLike