লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ ঐশিক।তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার বাবা
বিম্বদের রাজকুমার
অরণ্য মণ্ডল (বয়েস ৬) (খুদে)
বিকেল বেলা দুষ্টু লোকটা ওত পেতে ছিল পার্কে কোণে বড় গাছের পিছনে। তাকিয়ে ছিল বেশ কিছুটা দূরে একটা প্যারাম্বুলেটরে শোয়া ছোট্ট ছেলেটির দিকে। তার মা পাশে দাঁড়িয়ে গল্প জুড়েছে বন্ধুদের সঙ্গে। স্বপ্নের মধ্যে পরীরা ডানা মেলে এসে তার কানে শুনিয়ে যাচ্ছে বিম্বদের রূপকথা।
দুষ্টু লোকটা বিড়ালের মত হামাগুড়ি দিয়ে এসে টুপ করে ঘুমন্ত বুম’কে তুলে নিয়ে দৌড় দিল ঝোপের পিছনে। এক লাফে পাঁচিল ডিঙিয়ে গিয়ে পড়ল বড় রাস্তায়। বুম কেঁদে উঠল জোরে। লোকটি এসে থামল একটা পুরানো বাড়ির ভিতরে।
তারপরেই হুড়মুড় শব্দে চমকে উঠল লোকটা। দেয়াল ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকেছে একটি শক্তিশালী রোবট। তাকে দেখেই পালাল দুষ্টু লোক। যান্ত্রিক উচ্চারণে রোবটটি জানাল, বুম নাকি বিম্বদের রাজকুমার। আর সে তার বডিগার্ড। ও বড় হচ্ছে মানুষের মধ্যে কিন্তু মানুষ নয়।
বুমের মা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে দেখল তার ছেলে অঘোরে ঘুমাচ্ছে নিজের বিছানায়। আর ঘুমের ঘোরে মিটি মিটি হাসছে।
খরগোশ
পুষ্পেন মণ্ডল (বড়ো)
শুকনো শালপাতার উপর দলা পাকানো তাজা মাংসপিণ্ডটি পড়ে ছিল প্রঃ পাকড়াশির সামনে। বুনো খরগোশের ঝলসানো মাংস ওঁর খুবই প্রিয় খাদ্য। আগুন জ্বালানোর তোড়জোড় করছিলেন তিনি। স্থানীয় এক কাঠুরের মুখে শুনেছিলেন এই দুর্গম পাহাড়ের অদ্ভুতদর্শন সেই দেবতার কথা। সে বলেছিল, ‘পুন্নিমাতে ঠাকুর জেগে ওঠে।’ কথাগুলি পরখ করার জন্য পাঁচ মাইল ঘন জঙ্গল আর পাহাড় ডিঙিয়ে এখানে পৌঁছে অবাক হলেন। একটি যান্ত্রিক ধাতব মূর্তি। অনেকটা আদ্যিকালের রোবটের মত।
আগুন জ্বলছে। বাতাসে পোড়া মাংসের গন্ধ। অন্ধকারে খেয়াল করলেন বনের মধ্যে পাতার আড়ালে জ্বলজ্বলে চোখ! চারপাশে বুনো জন্তুরা ক্রমশ এসে জড়ো হচ্ছে দল বেঁধে। একটা শিরশিরানি বয়ে গেল। যান্ত্রিক দেবতাটি সত্যিই জেগে উঠছে। বিচ্ছুরিত সবুজ আলোয় দেখা যাচ্ছে অভিকর্ষ অগ্রাহ্য করে যন্ত্রটি ভাসছে শূন্যে। আচমকা প্রঃ পাকড়াশি দেখলেন তাঁর শরীর থেকে খসে পড়ছে পোশাকগুলি। দেহটা ছোট হতে শুরু করেছে। গায়ের রোমগুলি বড় হচ্ছে। কান দুটি লম্বা হয়ে যাচ্ছে ঠিক খরগোশের মত!
খুদে আর বড়, দুই -ই জমিয়ে দিয়েছে
LikeLike