লেখাছবির খেলা–সমস্ত স্টোরিকার্ড একসঙ্গে।এইখানে ক্লিক করো। ইচ্ছেসুখে ভাগ করে নাও। ছাপিয়ে বন্ধুদের দাও।
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ তিতির। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা
মুগায়
মহীরুহ (খুদে)
“মুগায়…!”
ঠিক চাঁদ উঠলেই গাছটা নড়ে। ভালো করে দেখলে বোঝা যায় তখনই গাছ বেয়ে সবচেয়ে লম্বা ডালে এসে বসে কালো বেড়ালটা।
‘মুগায়…!’
অদ্ভুত আওয়াজটা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গলের মাটির তলা থেকে জেগে ওঠে কালো পাথরগুলোও। একটানা ডাকটা শুনতে শুনতে বুক কেঁপে ওঠে!
‘মুগায়…!’
একটু পরে সকাল হয়; বেড়ালটা গাছ থেকে নামতেই আমি জিজ্ঞাসা করি কারণটা; ও বলে, ‘আমার মা হারিয়ে গেছে, চাঁদ উঠলে মা আসে। আমার ডাকে সাড়া দেয়!’
‘মুগায়…!’
বেড়ালটা আরো একবার ডেকে জঙ্গলের মধ্যে মিলিয়ে যায়!
ভয়
রুমেলা(বড়ো)
গল্পটা শোনা বিমলের দাদুর মুখ থেকে। সেসময় বাড়ি কম, গাছপালা বনজঙ্গল বেশি ছিল। শেয়াল, বনবেড়াল, ছুঁচো, বেঁজি, ধেড়ে ইঁদুরও চোখে পড়ত বেশি করে। তেমনই এক কালো বেড়াল ছিল, ‘ভয়’!
হ্যাঁ ওর নাম ভয়ই রেখেছিল আশেপাশের মানুষজন। কারণ ও কাঁদলেই একটা না একটা কিছু ভয়ের কারণ ঘটত। ভয়ে ভয়ে ঘরে দোর দিত গ্রামের সকলে।
বুক কেঁপে উঠেছিল তো শেষ সেই ঘটনাটায়…!
ঘটনাটা এইরকম!
শেষ যেদিন রাতে বেড়ালটা কেঁদেছিল তার তিন-চার ঘন্টার মধ্যেই গোয়ালের গরুগুলো কী কারণে যেন নীল হয়ে শক্ত আকার ধারণ করে। সবার চক্ষু চড়কগাছ! এমনটা তো আগে কখনো হয়নি। বেশ কয়েকটা গাই-গরুর প্রাণও চলে যায় এমন অদ্ভুত রোগে। যারা বাঁচে দিনের আলোয় তাদের নেড়েচেড়ে চিকিৎসা করে বোঝা যায় গ্রামের নদীর বিষাক্ত জল খেয়েই তাদের প্রাণঘাতী রোগ হয়েছে।
দূরে শহরের কাছাকাছি যে কারখানা তৈরি হচ্ছে তারই বর্জ্য মিশছে নদীতে…!
সতর্ক হয় গোটা গ্রাম!
আজ বহু বছর কেটে গেছে। বিমল বড় হয়েছে। তবু গ্রামের অদূরের ঝাপসা হয়ে আসা জঙ্গলটা থেকে মাঝে মাঝে চাঁদ উঠলে ‘ভয়ে’র ডাক শোনা যায়…!
সবাই ভাবে কালো বেড়ালের ডাকটা আদপেই কোনো সত্যিকারের ‘ভয়ে’র ডাক নাকি…!
বাঃ, বড় আর ছোট, দুজনেই ফাটাফাটি
LikeLike
থ্যাঙ্কু
LikeLike