লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে।খুদে শিল্পীঃ তিতির।তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা
শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং
ঐশিক (খুদে)
একদিন ঐশিক, হাডসন আর মিখেইলা তিন বন্ধু গেল একটা মস্ত বড় অ্যাডভেঞ্চারে। অনেকক্ষণ হেঁটে হেঁটে তাদের ভীষণ পেটে ব্যথা করছিল। তখন একটা আপেল গাছ থেকে আপেল পেড়ে আনল তিন বন্ধু। তারপর একটা বাড়িতে গিয়ে উনুনে আগুন জ্বালাল, অনেক অনেক ধোঁয়া বেরলো চিমনি দিয়ে। তারপর তিনজন মিলে পিজ্জা বানাল। পিজ্জা খেয়ে তিন বন্ধু ধরাধরি খেলতে গেল নদীর ধারে। সেখানে ছিল একটা ইয়াবড় মেগালোডন। মেগালোডনও খিদেয় কাঁদছিল। ওরা তখন একটু পিজ্জা মেগালোডনকে দিতে সে ভারি আনন্দ পেল। তারপর চারজন মিলে সারাদিন অনেক অনেক খেলাধুলো আর অ্যাডভেঞ্চার করল।
শীত-বসন্ত
সুস্মিতা (বড়ো)
হয়েছে কী, শীতরাজা তাঁর ছেলে বসন্তকুমারের ওপর বেজায় রেগে গেছেন। সেইবছর তাই পড়ল ভয়ানক শীত, ফুরোয়ই না। বসন্তকুমার বাবার ভয়ে নির্জন প্রান্তরে একটা কুঁড়েঘরে খিল দিয়ে ঠকঠকিয়ে কাঁপতে লাগল। ওদিকে বসন্ত না এলে বরফ গলবে না, ফুল ফুটবে না। শেষমেষ সূয্যিমামা আকাশপথে খুঁজতে বেরলো বসন্তকুমারকে। হঠাৎ দেখল চারিদিকে বরফের ভেতরে শুধু একটুকুনি জায়গা জুড়ে মাটিতে ঘাস, গাছে সবুজ পাতা। মাঝখানটিতে একটা বাড়ি, মাথার চিমনি দিয়ে গরমগরম ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তার মানে বসন্তকুমার এখানেই আছে। সূয্যিমামা হেঁকে বললেন, “ওহে বসন্তকুমার, কাজে অবহেলা করে এভাবে লুকিয়ে থাকলে শীতরাজা আরও রাগ করবেন। তুমি বরং বেরিয়ে এসে মন দিয়ে নিজের কাজটা করো, ফুল ফোটাও, সবুজ পাতা দাও গাছে। বাবামায়েরা সন্তানদের ভালোর জন্যই শাসন করেন। অবশ্য শীতরাজার এতটা রাগ করাও উচিত হয়নি। আমি বুঝিয়ে বলব’খন।”
তারপর?
বসন্ত ওই দরজা দিয়ে উঁকি মারলো বলে… গাছে ওই ফুল ফুটলো বলে…
খুদে স্রষ্টাদের সমস্ত কাজের লাইব্রেরি