লেখাছবির খেলা–সব স্টোরিকার্ড একসঙ্গে এইখানে
একজন খুদে ছবি আঁকবে । সে ছবি নিয়ে গল্প গড়বে একজন বড় আর একজন খুদে। খুদে শিল্পীঃ রুহানিয়াৎ। তার ছবি থেকে গল্প বানাল এক খুদে আর তার মা
সমুদ্রে ধুন্ধুমার(১)
শরণ্যা (তিতির), বয়স ৮ বছর
দুটো বন্ধু ছিল। মার্কো ট্যাং আর সংবংচং। মার্কো ট্যাং একটা পাইরেট ছিল আর সংবংচং এমনি একজন। একদিন দুজনে দুটো নৌকো নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিল। মার্কো বলল ‘চল কিছু জাহাজ লুঠ করে আনি।’ সংবং বলল ‘তুই যা, আমার ভাল্লাগছে না, আমি এমনি বেড়াই।’ তখন মার্কো গেল আর সংবং গেল না। মার্কো যেতে যেতে না, একটা ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে গেল, ওই যে সমুদ্রে থাকে গোল গোল জল ঘোরে। তারপর অনেক কষ্টে সেখান থেকে উদ্ধার হল। তারপর ফিরে এসে সংবংকে বলল ‘না রে, পাইরেট হওয়ার অনেক ফ্যাচাং। তার চেয়ে এমনি বেড়ানোই ভালো।’ তারপর তারা দুজনে এমনি এমনি বেড়াতে লাগল।
সমুদ্রে ধুন্ধুমার(২)
অনুষ্টুপ শেঠ
দুই বন্ধু দেশ দেখতে বেরিয়েছিল দুটো নৌকো নিয়ে। বেরিয়েছিল, বেশ যাচ্ছিল সমুদ্রে সোজা, কিন্তু একদিন সন্ধ্যারাত্রে চাপ চাপ মেঘ এসে জমল আকাশে। তারপর উঠল তুমুল ঝড়। সে কী ঢেউ, সে কী বৃষ্টি! ঢেউয়ের ধাক্কায় ধাক্কায় দুজন দুদিকে ছিটকে পড়ল দিশা হারিয়ে।
ঝড়ও থামে না, ঢেউও কমে না। প্রাণপণে স্টিয়ারিং আঁকড়ে দুজন খালি ভাবে, কখন আবার সব ঠিক হবে? আর ভাবে, অন্যজন ঠিক আছে তো?
এভাবে একাৎ ওকাৎ হতে হতে, উলটে যেতে যেতে বেঁচে যেতে যেতে একসময় ঝড় থামল। সমুদ্র শান্ত হয়ে এল আস্তে আস্তে। দুজনেই দেখল, সে একা, ধু ধু জলে আর কিচ্ছু দেখা যায় না!
তখন এক বন্ধুর মনে পড়ল কেবিনে রাখা বাঁশিটার কথা। ছুটে গিয়ে এনে ফুঁ দিল তাতে সব মন দিয়ে।
অনেক দূরে আরেকজন লাফিয়ে উঠল সেই সুর কানে যেতেই। নৌকোর মুখ ঘোরাল সেই সূরের দিকে, প্রাণপণে চলল এগিয়ে।
তারপর যখন অবশেষে আকাশ পুরো সাফ হল, পূর্নিমা চাঁদ উঁকি মেরে দেখল দুটো নৌকো পাশাপাশি ভেসে যাচ্ছে, আর মিষ্টি বাঁশির সুর ভেসে আসছে তাদের যাওয়ার পথ জুড়ে।
বাহ্ ।খুব সুন্দর । তিতির পাখীর গল্পটা বেশ ভালো লাগলো। ছবিটার সাথে দারুন মিল….
LikeLike