মেধস ঋষি বন্দ্যোপাধ্যায়
“এমন কথা বাপের জন্মে শুনিনি মশাই। সকালবেলা কী মস্করা শুরু করলেন বলুন তো?”
“সত্যি, বিশ্বাস করুন। না হয় একদিন আসুন আমার বাড়ি। রণেনবাবুর পাশে হাঁটতে হাঁটতে ভবেশবাবু বললেন।”
“দেখুন ভবেশবাবু, এপ্রিল মাস আসতে এখনও ঢের বাকি। তাই এপ্রিল ফুল ইন অ্যাডভান্স করার চেষ্টা করবেন না।”
“কী মুশকিল, কী করে যে বোঝাই আপনাকে…”
“থাক মশাই আর বোঝাতে হবে না। বুঝতে পারছি হয় পেট গরম হয়ে রাত্রে ভালো ঘুম হয়নি, নয়ত কোনও উদ্ভট স্বপ্ন দেখেছেন। আজ আর অফিসে না গিয়ে দুপুরে খেয়ে দেয়ে একটু ঘুমোন। বুঝলেন? মর্নিং ওয়াকের মুডটাই দিলে নষ্ট করে, যত্তসব।”
দ্রুত পা চালিয়ে চলে গেলেন রণেনবাবু।
এই হয়েছে ভবেশবাবুর বিপদ। কেউ তাঁর কথা বিশ্বাসই করছে না। না তার বাড়ির লোক, না বাইরের লোক। অথচ ঘটনাটা সত্যি।
ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলি। ভবেশবাবু সরকারি অফিসের নিরীহ প্রকৃতির এক কেরানি। সাধারণ ছাপোষা সংসারী মানুষ। ছাপোষা। বলার কারণ তাঁর বাড়িটা বিভিন্ন পশুপাখির ছা অর্থাৎ ছানায় ভর্তি। সবই তার স্ত্রী রমলাদেবীর পোষ্য। একমাত্র ছেলে চাকরি পেয়ে এলাহাবাদে চলে গেছে। এক মেয়ে নিয়ে সুখে সংসার করছে। মালিনীদেবী কা বাড়ি সহ্য করতে না পেরে একটা টিয়া, একঝাক বদ্রিকা, দুটো গিনিপিগ, একটু হুলো পুষেছেন। তাছাড়াও সকাল হতে না হতেই পায়রা, কাক, চড়ুই, শালিকের দল তো আছেই। ভবেশবাবু ব্যাপারটা যে খুব ভালো চোখে দেখেন তা নয়। তবে শান্তিপ্রিয় ভবেশবাবু অশান্তি এড়াতে মেনে নিয়েছেন সব। তাঁর অবনীপুরের ছােট্ট দোতলা বাড়িটার মনে মনে নামকরণ করেছেন ‘অবনীপুর জু।
সব ঠিকঠাকই চলছিল। গোল বাঁধল গতকাল বিকেলে যখন ভবেশবাবুর স্ত্রী কোথা থেকে এক নাদুস নুদুস রাস্তার কুকুরের বাচ্চা এনে হাজির করলেন। কালো কুচকুচে চেহারার কুকুরের বাচ্চাটাকে গিন্নির পায়ে পায়ে ঘুরতে দেখেই খেপে গেলেন ভবেশবাবু।
“এই আপদটাকে আবার কোথা থেকে জোটালে? ইশ্! কী বিচ্ছিরি চেহারা!”
“আহা আমি জোটাতে যাব কেন? মুদির দোকান থেকে ফিরছি, দেখলাম আমার পায়ে পায়ে আসছে। তাড়াতে গেলাম কিছুতেই গেল না। আমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতরে চলে এল। আহা গৃহহীন প্রাণি, কেষ্টের জীব। কেমন মায়া লাগল গো, তাই তাড়াতে পারলাম না।”
“দ্যাখো গিন্নি, এতদিন তোমার সব আবদার মেনে নিয়েছি। কিন্তু এটা কিছুতেই বরদাস্ত করব না। ওই কেলে কুত্তাটাকে এখনই বিদায় কর।
“কক্ষনো না ! ওকে যখন আশ্রয় দিয়েছি তখন ও এখানেই থাকবে। আর তুমি বাড়াবাড়ি করলে কালই আমি ছেলের কাছে চলে যাব।
ঝাঁঝিয়ে কথাগুলো বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন গিন্নি। কুকুরের বাচ্চাটা একদৃষ্টে ভবেশবাবুর দিকে দেখতে লাগল। মাঝে মাঝে লেজও নাড়তে থাকল। দেখে গা’পিত্তি জ্বলে গেল ভবেশবাবুর।
“এই হতচ্ছাড়া কেলে কুত্তা, ভাগ এখান থেকে!”
“এই যে দাদু, খবরদার আজেবাজে কথা বলবে না। এখন থেকে আমার নাম আঁধারমানিক। ঠাকুমা দিয়েছে। নামটা। আজেবাজে নামে ডাকলেই ঘ্যাক করে দেব কামড়ে।”
“ইস নামের কী বাহার! আঁধার মানিক!” মুখ ভেংচে বললেন ভবেশবাবু।
“মুখ ভেঙাচ্ছ কেন? ঠাকুমার ভাষাজ্ঞান তোমার থেকে অনেক ভালো। তুমি হলে তো কালু বা ওই ধরণে। র কোনও নাম ছাড়া ভাবতেই পারতে না।”
“বয়েই গেছে আমার তোর মতো কেলে কুত্তার নাম রাখতে।”
“বার বার ‘কেলে কুত্তা’ বলে ডাকবে না বলে দিচ্ছি। আচ্ছা, তুমিও তো কালো। ঠাকুমা তোমার চেয়ে কত ফর্সাঙ কই তার জন্য তো আমি কিছু বলছি না। আর যদি এতই খারাপ , তবে কলপ লাগিয়ে সাদা চুল কালো করেছ কেন?”
কথাটা শুনে বেশ অস্বস্তিতে পড়লেন ভবেশবাবু। কী বলবেন কিছু ভেবে উঠতে পারলেন না। “শোনো, তোমরা মানুষ বলে যা খুশি তাই বলবে আর আমি চুপ করে শুনে যাব তা ভেবো না।”
“এই কী করবি রে তুই? আমার বাড়িতে আশ্রিত হয়ে আমাকেই ধমকাস! তোর তো সাহস মন্দ নয়। বেরিয়ে যা আমার ঘর থেকে।” বেশ রেগেই কথাগুলো বললেন ভবেশবাবু।
“কী করব শুনবে? তুমি যখন রাত্রে ঘুমোবে তখন তোমাকে ল্যাম্পপোষ্ট ভেবে নিয়ে তোমার গায়ে সু”সু। করে দেব, অফিস যাওয়ার সময় তোমার একপাটি চটি লোপাট করে দেব, তোমার হাতঘড়িটা মাংসের হাড্ডি মনে করে কামড়ে ডায়াল ভাঙব। আর তাতেও কাজ না হলে ওই যে বললাম ‘ঘঁাক’। ডাক্তার যখন প্যাক প্যাক ইনজেকশন দেবে তখন বুঝবে।”
ওরে বাবা কী সাংঘাতিক! এই সময় টিভিরঘর থেকে ভবেশবাবুর স্ত্রী আঁধারমানিককে নাম ধরে ডাকলেন।
“কথাগুলো মনে থাকে যেন।” হেলতে দুলতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল আঁধারমানিক। রাগে হাত নিশপিশ করতে লাগল ভবেশবাবুর। এত স্পর্ধা সামান্য কুকুর হয়ে তাকে এতবড় কথা বলে, হুমকি দেয়!
তারপরেই ভবেশবাবুর মনে হল, আরে তাই তো! তিনি এতক্ষণ কুকুরের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন! কথাটা মনে পড়তেই কেমন যেন দিশেহারা হয়ে গেলেন তিন। কুকুর কথা বলছে! এও কি সম্ভব? হতেই পারে না। এ নিশ্চয় মনের ভুল। কিন্তু কথাগুলো যে এখনও কানে বাজছে। নাঃ ব্যাপারটা একবার পরীক্ষা করে দেখা। দরকার। ভাবলেন তিনি। তাপরেই চললেন টিভির ঘরে। দেখলেন গিন্নি চাদর মুড়ি দিয়ে সোফায় বসে সিরিয়াল দেখছেন আর পাশে আরাম করে শুয়ে আছে কুকুরটা। দেখেই মেজাজ বিগড়ে গেল ভবেশবাবুর।
“এই হতচ্ছাড়া, নাম সোফা থেকে। ছেই ছেই…”
“দ্যাখো, ভর সন্ধেবেলায় মেজাজ খারাপ করে দিও না বলে দিচ্ছি। রাত জাগতে হবে, ঘুমোতে দাও। আরেকটা সোফা তো আছে। বসবার ইচ্ছে হলে বস না। অহেতুক আমার পিছনে লাগা কেন? তুমি বাপু খুব হিংসুটে।” কাঁচা ঘুম ভেঙে যাওয়ায় যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছে আঁধারমানিক।
“শুনলে? শুনলে তোমার আদরের আঁধারমানিক আমাকে কেমন শাসালো? হিংসুটে বলল?” ভবেশবাবু স্ত্রীর কাছে অভিযোগ করলেন।
“আঁধারমানিক তোমাকে হিংসুটে বলল! তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেল? কুকুর কখনও কথা বলে, না বলতে পারে?”
“সে কী? এইমাত্র এতগুলো কথা বলল আর তুমি শুনতে পেলে না?”
“শুনলাম তো। শুনলাম তো বার ছয়েক ভুক ভুক আর আর বার দুয়েক গর-র-র।
“কী আশ্চর্য! আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি আর তুমি পাচ্ছ না?”
“তুমি ডাক্তার দেখাও বুঝলে? কালই একবার ভালো একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাও। তোমার ভাবগতিক আমার ভালো ঠেকছে না।
“তার মানে? কী বলতে চাইছ তুমি? আমি পাগল হয়ে গেছি ? “পাগল না ছাগল বলতে পারব না, তবে কিছু একটা হয়েছে সেটা বেশ বুঝতে পারছি।”
পাশ থেকে ফ্যাচ ফ্যাচ করে হেসে উঠল আঁধারমানিক। দেখে মেজাজ হারাতে গিয়েও সামলে নিলেন ভবেশবাবু। দাঁত কিড়মিড় করতে করতে চলে গেলেন নিজের ঘরে। সারারাত ভালো ঘুম হল না। কুকুরের কথা। বলা কেন শুধু তিনিই শুনতে পাচ্ছেন ভেবে কুল”কিনারা করতে পারলেন না। সকাল সকাল মর্নিংওয়াকে গিয়েই রণেনবাবুকে কথাটা বলেছিলেন। কিন্তু উনিও বিশ্বাস করলেন না। অফিসে গিয়েও কাজে মন বসাতে পারলেন না ভবেশবাবু। একটু আগেই আজ অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেন।
“কী গো, আজ এত তাড়াতাড়ি ফিরলে? শরীর ঠিক আছে তো?”
গিন্নির প্রশ্নের মাথা নেড়ে উত্তর দিলেন ভবেশবাবু, মুখে নয়।
“চা দেব?”
এবারও মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললেন। জামা প্যান্ট ছেড়ে বাথরুমে ঢুকে ভালো করে হাত-পা-ঘাড়, কানের দুপাশ জল দিয়ে ধুতে শুরু করলেন। এবার যেন আরাম বোধ করলেন ভবেশবাবু। বেরিয়ে এসে দেখলেন তার ঘরের টেবিলে ঢাকা দেওয়া চা আর নোনতা বিস্কুট। চেয়ারে বসে আয়েশ করে সবে একটা চুমুক দিয়েছেন, এমন সময় শুনলেন, “কী দাদু, সারাদিন কেমন কাটল?” তাকিয়ে দেখলেন আঁধারমানিক দাঁড়িয়ে আছে, মুখে মুচকি হাসি।
“সে কৈফিয়ত কি তোকে দিতে হবে নাকি রে, হতচ্ছাড়া?” মেজাজ ধরে রাখতে পারলেন না ভবেশবাবু।
“আবার গালাগাল শুরু করলে? এই হল তোমার দোষ, বুঝলে? একটু মিষ্টি করে কথা বলতে পার না? তাতে তো আর পয়সা খরচ হয় না!”
“পয়সা খরচের তুই আর কী বুঝবি রে? আছিস তো বহাল তবিয়তে। তোদের রাজভোগের জোগান দিতেই তো বেতনের অর্ধেক চলে যাচ্ছে।”
“বাজে কথা। স্রেফ বাজে কথা। তুমি যা কঞ্জুস, আজ পর্যন্ত এ-বাড়ির কোনও পশুপাখির জন্য আলাদা ভাবে একটাও পয়সা খরচ করনি। আমি তো সবে কাল এসেছি। কিন্তু বিল্লুকে জিজ্ঞাসা করে সব জেনেছি। এখন পর্যন্ত একদিনও একটু বেশি করে মাছমাংস এনেছ? নেহাৎ ঠাকুমার দয়ার শরীর তাই ওরা একটু খেয়ে বাঁচছে। নইলে যে ওদের কী হত কে জানে।”
“কী আবার হত। আপদগুলো বিদেয় হত।”
“বাঃ, কত সহজে এত কঠিন কথাগুলো বলে দিলে! বুঝলে দাদু তুমি হচ্ছ এক নম্বরের স্বার্থপর, নিজেরটুকু ছাড়া কিছু বোঝ না।”
“এই ভাগ তো এখান থেকে সারাদিন খাটুনির পর তার লেকচার শুনতে আর ভালো লাগছে না।”
“তা তো লাগবেই না। সত্যি কথা তো তাই ঠিক হজম হচ্ছে না। তবে বলে রাখছি এই আঁধারমানিককেই একদিন তুমি কুর্নিশ করবে, দেখে নিও।”
“হুঁ, বয়েই গেছে আমার!”
সেদিনের খবরের কাগজটা টেনে নিয়ে চোখ বোলাতে শুরু করলেন ভবেশবাবু। আঁধারমানিকও বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
এভাবেই প্রতিদিন অন্তত একবার করে ভবেশবাবুর সঙ্গে আঁধারমানিকের ঠোকাঠুকি লাগছিল। কিন্তু সে কথা ভবেশবাবু বাড়ির বা বাইরের কোনও লোককেই আর বললেন না। বলে কী লাভ? কেউ তো বিশ্বাস করবে না।
ঘটনাটা ঘটল দিনদশেক বাদে। সেদিন অফিসে একটা জরুরি মিটিং-এ থাকতেই হল ভবেশবাবুকে মিটিং শেষ হল সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টায়। তারপর বাস, অটো করে যখন পাড়ার কাছে পৌছলেন তখন রাত্রি আটটা বেজে গেছে। একে শীতকাল, তার উপর আজ আবার সন্ধেবেলা থেকেই বেশ কুয়াশা নেমেছে। দোকানপাট সবই প্রায় বন্ধ। ভবেশবাবুর বাড়ির গলিটা আবার অন্ধকার। সম্ভবত রাস্তার লাইটটা খারাপ। মোবাইলের টর্চ জ্বালাতে গিয়ে দেখলেন সেটা বন্ধ। মনে পড়ল মিটিং”এর জন্য বন্ধ করেছিলেন। মোবাইলটা অন করে টর্চ জ্বেলে হাঁটতে শুরু করলেন তিনি। সবে কয়েক পা এগিয়েছেন, দু’জন মার্কা লোক রাস্তা ঘিরে দাঁড়াল।।
“টাকাপয়সা, আংটি, ঘড়ি সব দিয়ে দিন চটপট নইলে ধড় থেকে মুন্ডুটা আলাদা করে বাড়ির দরজায় রেখে আসব।”
অল্প আলোতেও যেন ঝলসে উঠল লোকটার হাতে ধরা ছোরাটা। ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে এল ভবেশবাবুর। গলা দিয়ে একটুও আওয়াজ বের হল না। ভয়ে ভয়ে তিনি মানিব্যাগটা বের করার জন্য সবে পকেটে হাত ঢুকিয়েছেন, এমন সময় শুনতে পেলেন আঁধারমানিকের গলা। ওই তো ওখানে!
তারপর গোটা পাঁচেক বাচ্চা কুকুর ভয়ঙ্কর চিৎকার করে ঝাঁপিয়ে পড়ল ছিনতাইবাজদের উপর। কামড়ে আঁচড়ে ওদের নাস্তানাবুদ করে ফেলল।
“ওরে বাবারে, বাঁচারে, খেয়ে ফেললে রে…”
লোকদুটো পড়ি কি মরি ছুট লাগাল। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেলেন ভবেশবাবু। সম্বিত ফিরল আঁধারমানিকের কথায়, “কী দাদু, ঠিক আছে তো?”
“বাঁচালি বাবা আঁধারমানিক। তোরা না থাকলে আজ…” আবেগরূদ্ধ গলায় এইটুকুই শুধু বলতে পারলেন ভবেশবাবু। একটু থেমে আবার বললেন, “তা তুই এখানে এলি কী করে? আর এদেরই বা পেলি কোথায়?”
“তুমি আসছ না দেখে ঠাকুমা তো ভেবে অস্থির। তোমার মোবাইলও বন্ধ। তোমার অফিসে ফোন করে ঠাকুমা জানল আজ তোমাদের মিটিং ছিল তাই বেরোতে দেরি হয়েছে। এদিকে গলিটা আজ আবার অন্ধকার। তাই আমি নিজেই বেরিয়ে পড়লাম। ওই লোকদুটোকে দেখে মোটেই সুবিধের মনে হল না। তাই আমার বন্ধুদের ডেকে আনলাম। তারপর যা ঘটল তা তো দেখতেই পেলে।”
“সত্যি তোরা আমার জন্য যা করলি, আমি আজীবন তার জন্য তোদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।”
“একটা রিকোয়েস্ট করব, রাখবে দাদু?”
“বল না, কী চাস? “
“এই ঠান্ডায় আমার বন্ধুরা রাতে খুব কষ্ট পায়। ওদের একটু রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দাও না, প্লিজ!” “সত্যি আঁধারমানিক, তুই আজ আমার চোখ খুলে দিলি। নিজেরা সুখে থাকলে আমরা মানুষ হয়েও অন্য মানুষের কথা ভাবি না। কিন্তু তুই আমাদের মতো স্বার্থপর হতে পারিসনি। ধন্য তুই আঁধারমানিক। আমি আজ থে কেই তোর বন্ধুদের সিঁড়ির নিচে চট পেতে থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।”
“হুররে! দাদু যুগ যুগ জিয়ে।” আঁধারমানিক চিৎকার করে বলল। খুশিমনে ভবেশবাবু আঁধারমানিক আর তার বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন।
দারুণ
LikeLike