শেখর রায়ের আগের ছড়া- কোথায় গেল বংশীবদন, ব্যাঙাবেঙির কথা, চিচিং ফাঁক, গন্ধে আসে, বাইশে শ্রাবণ, গ্রীষ্মের ছড়া, মানবদেহ, ফাল্গুনের ছড়া, নদী ফুল ও মনপাখি
আলু আর পোস্তে
কী ভীষণ দোস্তি,
দেখে লাগে চোখেমুখে
আহা বেশ স্বস্তি।
লাউ আর চিংড়ির ঘণ্ট
একাকার ধরে একে অপরের কন্ঠ
চেয়ে দেখ আহা রে
আদরের কী বাহার
খাও পিও জিও ভাই
করে নাও মস্তি
কী ভীষণ দোস্তি।
দোল দোল দুলুনি
এসো মন ভোলানি
পটলের দোলমা
ও রে সোনাদিদিরে
দয়া করে একবার মুখখানি খোল মা।
চেয়ে দ্যাখ একবার
মনে পাই স্বস্তি
দিদি বলে দূর ছাই
আমি কি এসব খাই?
ভালোবাসি মিক্সড ফ্রুট চাটনি
মা বলে, ধাড়ি মেয়ে
জানিস না, রাঁধাবাড়া কতখানি খাটনি?
সারাদিন খাই খাই
আর কোনও কথা নাই
ছেলে বলে, ও বাবা, আজ তো রবিবার
শেষ হবে হপ্তা
তুমি যেন বলেছিলে নিজে রেঁধে খাওয়াবেই
মোচা দিয়ে কোফতা।
বাবা বলে হবে হবে
মাস শেষে হাতে পেলে মাইনে তবেই
খেটে খেটে কালি হল
হাড়-মাস-অস্থি
তবু নাই স্বস্তি।
মুখখানি ভার ভার দিদি বলে ভাই
ঠাম্মাটা থাকলে কত কী খেতাম
খোসাবাটা ছেঁচকি
বারকোল খারকোন
ভিন্ন গন্ধ-স্বাদ-রুচি।
ভাই বলে, চুপ করে নাকে এলে
ছ্যাঁকা দেয় ফুলকো লুচি
সঙ্গে ছোলার ডাল ইশ্শ্শ্।
দিদি বলে, আছে আরও
চিতলের মুইঠ্যা সর্ষে ইলিশ
বলেছিল রান্নার ম্যাষ্টর
হরিপদ ঘড়া
একবার শেষপাতে আইসক্রিম নিয়ে
টপ করে মুখে পোড়ো ছড়ার বড়া
বাঙালির রান্নায় সেটাই সেরা।