এই যে অতিমারী চলছে সে কিন্তু প্রথম অতিমারী নয়। ১৯১৮ সালে এমনই আরেক অতিমারীতে লাখো মানুষ মারা পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। তার নাম ছিল স্প্যানিশ ফ্লু। সেখানেও অসুস্থ লোকের নিঃশ্বাস, হাঁচিকাশি কিংবা থুতুতে ভর করে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ত চারদিকে।
সে-সময় ফেসবুক, ইনটারনেট এইসব ছিল না। মানুষকে সাবধান করে দেবার জন্য খবরের কাগজ আর দুর্বল রেডিও বিনে আর কোনো উপায় ছিল না। সারা দুনিয়াতেই তখনও বোকা আর গোঁয়ার মানুষ ভর্তি। তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে মুখোশ পরানো সেই তখনও একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল।
সে যুগে মানুষকে সতর্ক করবার, তাকে সঠিক পথে চালিয়ে নিয়ে মৃত্যুমিছিল বন্ধ করবার এই দায়িত্বটা নিয়েছিল খবরের কাগজেরা, তাদের কার্টুনিস্টদের কলমে ভর করে।
রসিকতা, মজা এই সবকিছুর মধ্যে দিয়েই তারা মানুষের কাছে এই খবরটা পৌঁছে দিয়েছিল ক্রমাগত — বাঁচতে চাইলে মুখোশটা ঠিকঠাক পোরো।
তোমাদের সবাইকে অনুরোধ রইল, এই কমিকসের চারটে ছবি তোমরা ডাউনলোড করে বাড়িতে, অফিসের কফি কর্নারে, পড়ার মোড়ে টাঙিয়ে দেবে? কিংবা সঙ্গে কয়েকটা প্রিন্ট-আউট করে রাখো। কোনো গোঁয়ারগোবিন্দকে মুখোশ ছাড়া ঘুরতে দেখলে তার হাতে একটা ধরিয়ে দাও। তোমরাও পারো। তোমরাই পারো।
জয়ঢাকের সমস্ত কমিকস একত্রে