প্রথম ধাঁধা–
রাম শ্যাম আর যদু মিলে পাঞ্জা লড়া চলেছে। নিয়মটা হল, যেকোনো একটা গেম-এ দুজন লড়বে, একজন বিশ্রাম নেবে। যে জিতবে সে পরের গেমটায় আগের গেম এর বিশ্রামওয়ালার সঙ্গে লড়বে।
তা এই কাণ্ড চলতে চলতে যখন তাদের মায়েরা এসে ডেকে নিয়ে গেল ততক্ষণে শ্যাম পরপর শেষ সাতখানা গেম খেলে হা-ক্লান্ত।তার আগে তাকে পরপর কোনো গেম খেলতেই হয়নি।
দেখা গেল, রাম মোট ৮টা ম্যাচ খেলেছে, শ্যাম খেলেছে মোট ১২টা আর যদু খেলেছে ১৪টা গেম।
প্রশ্ন হল-
ধাঁধা ১। মোট কটা গেম খেলা হয়েছিল।
ধাঁধা ২। চার নম্বর গেমটা কে জিতেছিল।
দ্বিতীয় ধাঁধা
বেসমেন্টে চৌষট্টিটা সুইচ। সারা বাড়ি জুড়ে চৌষট্টিটা লাইট। কোন সুইচটা কোন লাইটের সেটা বের করতে হবে। সবচেয়ে সহজ কায়দা হল চৌষট্টিবার নীচে যাওয়া প্রত্যেকবার একটা করে সুইচ অন করে এসে দেখা কোনটা জ্বলল। কিন্তু অতবার করবার বদলে সবচেয়ে কম কতবার যাওয়া আসা করে সবগুলো সুইচ চিহ্নিত করতে পারবে?
—————————————————-
উত্তর
প্রথম ধাঁধা- তিনজনের মোট ম্যাচের সংখ্যা ৩৪টা। যেহেতু প্রত্যেকটা ম্যাচে দুজন করে খেলেছে তাহলে মোট ম্যাচের সংখ্যা হবে ১৭টা।
দ্বিতীয় ধাঁধা-দু-নম্বর প্রশ্নটা আরেকটু কঠিন। খেয়াল করে দেখ, এইটে হল তিন খেলুড়ে মিলে একটা রাউন্ড রবিন ম্যাচ। এখানে কোনো পরপর দুটো ম্যাচে একই জুটি খেলবে না। কাজেই তিনজনের কেউই পরপর দুটো ম্যাচ বাইরে থাকতে পাবে না। (ধরো রাম-শ্যাম খেলল প্রথম ম্যাচ। শ্যাম হারল। পরের ম্যাচটায় খেলবে রাম-যদু। সে ম্যাচে ধরো রাম হারল। পরের ম্যাচে খেলবে শ্যাম-যদু। এইভাবে ভাবলেই বুঝতে পারবে।) আর তাই যদি হয় তাহলে মোট সতেরোটা ম্যাচ হয়ে থাকলে প্রত্যেককে অন্তত আটখানা ম্যাচ খেলতেই হবে। রাম ঠিক আটটাই ম্যাচ খেলেছে। বেশিও নয় কমও নয়। তাহলে তার খেলা ম্যাচগুলো এই ছবির লাল ঘরগুলো মোতাবেক হবে।
অন্য কোনোভাবে হলে সংখ্যাটা আটের থেকে বেশি বা কম হয়ে যাবে। আবার এই গেমগুলোর কোনোটা যদি রাম জিতত তাহলে তার পরের ম্যাচটাও সে খেলতে পেত। সেক্ষেত্রে সংখ্যাটা বদলে যেত। অতএব ধরে নিতে হবে সে আটটা ম্যাচই হেরেছে। তার মানে ৪ নম্বর ম্যাচটা রাম হেরেছে। কিন্তু সে ম্যাচ জিতল কে? এইটা সহজ। যে ম্যাচগুলো রাম খেলেনি সেগুলো একমাত্র শ্যাম আর যদু খেলেছে। এদিকে শ্যাম খেলেছে ১২টা ম্যাচ। তার মধ্যে শেষ সাতটা সে পরপর খেলেছে। তাহলে এক থেকে দশ নম্বর ম্যাচের মধ্যে সে খেলেছে পাঁচটা। যেহেতু তার আগে কোনো পরপর দুটো ম্যাচ সে খেলেনি অতএব বলতে পারি সে ১,৩,৫,৭,৯ নম্বর ম্যাচ খেলেছে।
অতএব চার নম্বর ম্যাচ খেলেছে রাম আর যদু। জিতেছে যদু।
উত্তর ৩। সাত বারে কেল্লা ফতে।
প্রথমে নীচে যাও ও প্রত্যেক সুইচে একটুকরো করে কাগজ লাগাও। উঠে এসে প্রত্যেক লাইটে একটুকরো করে কাগজ লাগাও।
দ্বিতীয়বার নীচে যাও। এবারে ৩২টা সুইচ অন করো আর ৩২টাকে অফ রাখো। অনগুলোর গায়ের কাগজে ‘১’ লেখো, ‘অফগুলোর গায়ে ‘০’।
এবারে উঠে এসে জ্বলন্ত আলোগুলোর গায়ের কাগজে ১ লেখো ও নেভাগুলোর গায়ে ০। এবারে সুইচ বা আলোদের প্রত্যেকের ৩২টার গায়ে লেখা হবে ০ আর ৩২টার গায়ে লেখা হবে ১
তৃতীয়বার নীচে যাও। ৩২টা বন্ধ সুইচের ১৬টাকে অন করো আর ৩২টা চালু সুইচের ১৬টাকে অফ করো। ফের বন্ধদের গায়ে আরেকটা শূন্য আর চালুদের গায়ে আরেকটা ১ লেখো। উঠে এসে আলোদের গায়েও তাই করো। এবারে সুইচ ও আলোদের গায়ে লেখাগুলো হবে, ০০,০১,১০,১১। এবারে তাহলে পাচ্ছ ১৬টা অন ১৬টা অফ ১৬টা অন ১৬টা অফ।
চতুর্থ ধাপে প্রত্যেকটা অন অফ ব্লকের অর্ধেককে একইভাবে উলটে দাও ও ফের বন্ধ ও চালুদের গায়ে একটা করে ০ বা ১ জোড়ো। এবারে সুইচ ও আলোদের গায়ে লেখা হবে ০০০,০১০,১০০,১১০,০০১,০১১,১০১,১১১ (আটটা আলাদা লেবেল)
তাহলে দ্বিতীয় ধাপে পাচ্ছ ০,১ দুটো লেবেল। প্রত্যেকটা আছে ৩২টা করে সুইচ ও ৩২টা করে লাইটে।
তৃতীয় ধাপে পাচ্ছ ০০,০১,১০,১১ চারটে লেবেল। প্রত্যেকটা আছে ১৬টা করে সুইচ ও ১৬টা করে লাইটে।
চতুর্থ ধাপে পাচ্ছ আটটা আলাদা লেবেল। প্রত্যেকটা আছে আটটা করে সুইচ ও আটটা করে লাইটে।
পঞ্চম ধাপে পাবে ১৬টা আলাদা আলাদা লেবেল। প্রত্যেকটা আছে চারটে করে সুইচ ও চারটে করে লাইটে।
ষষ্ঠ ধাপে পাবে ৩২টা আলাদা আলাদা লেবেল। প্রত্যেকটা আছে দুটো করে সুইচ ও দুটো করে লাইটে।
সপ্তম ধাপে পাবে ৬৪টা আলাদা আলাদা লেবেল। প্রত্যেকটা আছে একটা করে সুইচ ও একটা করে লাইটে। ব্যাস। হয়ে গেল।