লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে-গল্প পরীল্যান্ড-অরুণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়- শীত ২০২০

একসময় একটা পরিল্যান্ড ছিল। সেখানে অনেক পরি ছিল। তার মধ্যে দুটো পরি সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিল। তাদের নাম ছিল রীনা আর পিঙ্কি। সেই পরিল্যান্ডে গাছে গাছে ঝুলত কেক, চকোলেট আর বাড়িগুলো ছিল চিপস, আইসক্যান্ডি দিয়ে বানানো।

ওই দুই পরি একবার পাঁচদিনের জন্য পৃথিবী ঘুরতে গেল। ওরা প্রথমে একটা পার্কে গেল, আর সেখানে দেখল সবাই সুখে শান্তিতে আছে। তারপর ওরা জঙ্গলে গেল। ওরা জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে অনেক গভীর জঙ্গলে পৌঁছে গেল।

ওই জঙ্গলের ধারে একটা কুঁড়েঘর ছিল। সেই কুঁড়েঘরে এক মা ও তার মেয়ে থাকত। ওই মেয়েটা প্রায়ই জঙ্গলে যেত খাবার খুঁজতে। মেয়েটা পশুপাখির ভাষা বুঝতে পারত। ওই মা আর মেয়েটা মাঝে মাঝে খাবার পেত, আবার কখনো পেত না। জঙ্গলের ফলমূল খেয়েই তাদের দিন চলত। ওরা শুত মাটিতে মাদুর পেতে।

একদিন ওই মেয়েটা জঙ্গলে গেছে ফল খুঁজতে আর হাঁটতে হাঁটতে গভীর জঙ্গলে চলে গেল। এমন সময় মেয়েটা দুজন পরিকে দেখতে পেল। মেয়েটা পরিদের দেখে অবাক হয়ে গেল আর ভাবল ‘পরি তো শুধু কাহিনিতে হয়, কিন্তু আমি সামনে পরি দেখতে পাচ্ছি।’ পরিদুটো ওই মেয়েটির নাম জিজ্ঞাসা করল; মেয়েটি বলল যে তার নাম মিথি। মেয়েটিও জিজ্ঞাসা করল, “তোমাদের নাম কী?”

ওই পরিরা বলল যে তাদের নাম রীনা আর পিঙ্কি। পরিরা তখন মিথিকে বলল, “তুমি আমাদের দেখতে পাচ্ছ, কারণ তুমি কোনো সমস্যায় আছ।”

এখন মিথি বলল, “আমার ঘর ওই জঙ্গলের ধারে। আমি আমার মায়ের সাথে সেখানে থাকি। আমরা জঙ্গলের ফলমূল খেয়ে থাকি, যখন যা পাই।”

তখন ওই দুই পরি ওকে পেইন্ট ব্রাশ, আর ক্যানভাস ও কিছু রঙ দেয় আর বলে, “তুমি যা আঁকবে তাই সত্যি হয়ে যাবে।”

এই শুনে মিথি খুব আনন্দে বাড়ি ফিরে এল আর ওর মাকে সব দেখাল। তারপর ওর মা একটা ফলের ঝুড়ি আঁকল আর সেটা সত্যি হয়ে গেল। একটা বাড়ি আঁকল আর সেগুলো সব সত্যি হয়ে গেল। এইভাবে আস্তে আস্তে ভালো থাকল।ওরা তখন অনেক গাছ আঁকল আর সেইসব গাছগুলো সত্যি হয়ে গেল। আর সেইখানে অনেক পাখি থাকতে লাগল।

খুদে স্রষ্টাদের সমস্ত কাজের লাইব্রেরি

1 thought on “লিখিব খেলিব আঁকিব সুখে-গল্প পরীল্যান্ড-অরুণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়- শীত ২০২০

Leave a comment