ঠিক একশো বছর আগের একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখা এই নিবন্ধ। ঘটনার কেন্দ্রস্থল লন্ডন, কেন্দ্রীয় চরিত্র বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং নির্মাণবস্তু আজকের হাওড়া ব্রিজ।
ভাবলা গ্রাম। সেই গ্রামেরই একটি পাঠশালা। সেই পাঠশালাতে একটি ছেলে পড়ত, নাম রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। পাঠশালার অন্য ছেলেদের সঙ্গে একটা বিষয়ে তার একটু তফাৎ ছিল। সেই পাঠশালার যিনি গুরুমশাই ছিলেন, মানসাঙ্ক শেখানোর দিকে তাঁর বিশেষ ঝোঁক ছিল। মুখে মুখে যে-ছেলে যত তাড়াতাড়ি মানসাঙ্ক করতে পারত, সে-ছেলে তাঁর তত প্রিয় হত। মানসাঙ্ক করতে বললে অন্য ছেলেদের মুখ যখন শুকিয়ে যেত, রাজেন্দ্রনাথ মহা উৎসাহে অত্যন্ত প্রফুল্ল চিত্তে সেগুলি করে থাকত। যত দিন যেতে লাগল গুরুমশাই তত কঠিন মানসাঙ্ক তাকে দিতে লাগলেন এবং রাজেন্দ্রনাথ অতি সহজভাবেই সেগুলোর সমাধান করে দিতে লাগল। বাল্য বয়স থেকেই তার স্মরণশক্তি এবং ধীশক্তি ছিল অসাধারণ।
১৮৫৪-তে অতি নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ বংশে রাজেন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করে। তার পিতা ভগবানচন্দ্র বারাসাতে মোক্তারি করতেন এবং উকিল হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কিন্তু রাজেন্দ্রনাথের মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি অকস্মাৎ পরলোকগমন করেন। একান্নবর্তী সংসারের মধ্যে তার মায়ের অংশে মাত্র গুটিকতক টাকা এবং খানকতক বাসন পড়ল। অর্থাৎ সংসারে খাওয়া-পরার দৈন্য না থাকলেও টাকার অভাব বিশেষভাবে হতে লাগল। এদিকে বাল্য বয়স থেকেই রাজেন্দ্রনাথের ইংরেজি শেখার শখ ছিল, কিন্তু সেই সময় ভাবলা গ্রামে একটিও ইংরেজি জানা লোক ছিল না। কিছুটা দূরে কালীগঞ্জে ছিল সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস। সেখানে নীলকুমার চাটুজ্জে নামক একজন আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে তার ইংরেজি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, কিন্তু ভগবান বাধ সাধলেন। সেই সময় ওই অঞ্চলে ভয়ানক বসন্ত দেখা দিল। রাজেন্দ্রনাথ বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে এতই অসুস্থ হয়ে পড়ল যে রীতিমতো প্রাণ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। বহু কষ্টে মায়ের সেবা-যত্নে সেরে উঠল বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষা তখনকার মতো বন্ধ হয়ে গেল। পরে অবশ্য তার মায়ের একান্ত চেষ্টায় সে ইংরেজি শেখার সুযোগ পেয়েছিল।
সে-বার সুস্থ হয়ে উঠে দুটি ব্যাপারে সে প্রবলভাবে টান অনুভব করতে শুরু করল। একটি হল সাঁতার কাটা, আরেকটি হল মাছ ধরা। ওই অল্প বয়সে তার মাছ ধরা সম্পর্কে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল যে গ্রামের আশেপাশের সমস্ত পুকুরে কোথায় কী মাছ আছে সেটা তার নখদর্পণে ছিল। খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ তার সারাজীবন ছিল এবং পরবর্তীকালে যখন সুযোগ পেত, রাজেন্দ্রনাথ বাঙালি ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা এবং শরীরচর্চার ব্যাপারে পৃষ্ঠপোষকতা করত।
বসন্ত রোগ আক্রমণের পর তার শরীর একদম ভেঙে পড়েছিল। প্রায়শই কোনও না কোনও অসুখে রাজেন্দ্রনাথ শয্যাশায়ী থাকত। এদিকে তার লেখাপড়া করার প্রবল শখ। ক্রমশ ছেলের স্বাস্থ্য এবং জীবন সম্বন্ধে মা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এক প্রবীণ কবিরাজ তখন তাঁকে উপদেশ দেন রাজেন্দ্রনাথকে বায়ু পরিবর্তনে পাঠানোর জন্য। কিন্তু কোথায় পাঠাবেন তিনি? কে আছে তাঁর?
অনেক চিন্তার পর মনে পড়ল সুদূর আগ্রাতে তাঁর এক সম্পর্কিত ভাই আছেন। পণ্ডিত দ্বারকানাথ ভট্টাচার্য। অত্যন্ত সদাশয় মানুষ। আগ্রাতে একটি কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করে সাধুসজ্জনের সঙ্গে বসবাস করেন। রাজেন্দ্রনাথের মা সেই ভাইকে চিঠি লিখলেন এবং দ্বারকানাথ রাজেন্দ্রনাথকে তাঁর কাছে রেখে লেখাপড়া শেখাতে সম্মত হলেন।
রাজেন্দ্রনাথের বয়স তখন বারো কি তেরো। বাইরের জগৎ দেখেনি কখনও। তার ওপর রুগ্ন এবং সচ্ছলতার অভাব। তবু তার মা একটুও বিচলিত না হয়ে স্থির করলেন ছেলেকে আগ্রাতেই পাঠাবেন। এমনকি পুত্রকে বিদায় দেওয়ার সময় তাঁর চোখে এক ফোঁটা অশ্রু ছিল না, পাছে ছেলে তাঁর অশ্রু দেখে শঙ্কিত হয়ে যায়!
মায়ের নির্দেশমতো ভাবলা গ্রাম থেকে বালক রাজেন্দ্রনাথ একটি লোককে সঙ্গে নিয়ে ২৬ মাইল পথ হেঁটে বারাসাতে এল, সেখান থেকে আরও আট মাইল হেঁটে নবাবগঞ্জ অধুনা ব্যারাকপুর এল। সারাদিন হেঁটে রাতের বেলায় পথের প্রান্তেই ঘুমিয়ে পড়ত। নবাবগঞ্জে তার বিমাতার ভাই যজ্ঞেশ্বর গাঙ্গুলী থাকতেন। তিনদিন ধরে ৩৪ মাইল পথ হেঁটে ক্লান্ত শরীরে রাজেন্দ্রনাথ যজ্ঞেশ্বর গাঙ্গুলীর দ্বারে এসে উপস্থিত হল। তাকে ওই অবস্থায় দেখে যজ্ঞেশ্বর পরম স্নেহে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। তাঁর স্নেহের পরশে বালক সমস্ত ক্লেশ ভুলে গেল। কয়েকদিন পর যোগেশ্বর গাঙ্গুলী গঙ্গা পার করে রাজেন্দ্রনাথকে বৈদ্যবাটি নিয়ে যান এবং সেখান থেকে আগ্রা যাওয়ার ট্রেনে তুলে দেন। সঙ্গে দিলেন কিছু শীতবস্ত্র এবং তিনটি টাকা। রাজেন্দ্রনাথ যজ্ঞেশ্বর গাঙ্গুলীর কাছে থাকা ওই কয়েকদিনের স্মৃতি কখনও ভোলেনি। পরবর্তীকালে যখন সে সমর্থ হয়েছিল, যজ্ঞেশ্বর গাঙ্গুলীর পরিবারকে নিয়মিত অর্থ সাহায্য করত। বালক রাজেন্দ্রনাথ একা, মাত্র তিনটি টাকা পাথেয় করে রওনা দিল আগ্রার উদ্দেশ্যে।
বছর তিনেক আগ্রায় থেকে লেখাপড়া করার পর ফিরে আসতে হয় ভাবলা গ্রামে মায়ের ডাকে। একান্নবর্তী সংসারের সকলের দাবি মেনে তাকে ওইটুকু বয়সেই বিয়ে করতে হয়। বিয়ের পর লেখাপড়া করতে কলকাতায় যায়। ওখানে লন্ডন মিশনারি সোসাইটি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভর্তি হয়। তিন বছর পড়ার পর আবার ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তার ওপর ক্রমবর্ধমান অর্থাভাব। এই সমস্ত কারণে ফাইনাল ইয়ারের আগেই তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে দিতে হয়।
পড়া ছাড়লেও সে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অনুশীলন করা কিন্তু ছাড়েনি। উদাসীন, কর্মহীন হয়ে শহরের পথে পথে ঘুরতে ঘুরতে সে বাড়িগুলোর দিকে চেয়ে থাকত, চেয়ে চেয়ে আনন্দ পেত। কল্পনায় সে শূন্য জায়গায় অপরূপ অট্টালিকা গড়ে তুলত। সেটাই ছিল তার অবসর বিনোদন, যৌবনের খেলা এবং অন্তরের বিলাস। অত দুরাবস্থাতেও তার অন্তরের তীব্রতম বাসনা ছিল স্বাধীন ব্যাবসা করার। আর পাঁচটা সাধারণ বাঙালি ছেলের মতো কেরানিগিরি করে আজীবন চাকরির দাসত্ব করে জীবন নষ্ট করবে না, এই ছিল তার ব্রত। সেই সময় স্বাধীনভাবে ব্যাবসা-বাণিজ্য কল্পনা করাও সুদূরপরাহত ব্যাপার ছিল, কিন্তু রাজেন্দ্রনাথ স্বাধীন আত্মবিকাশের মনোবৃত্তি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। তাকে রুখবে কে? তাই টাকার বিশেষ প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও চাকরি গ্রহণ করতে তার মন বিদ্রোহ ঘোষণা করত। যেখানে নতুন কোনও বাড়ি তৈরি হত সে সেখানে গিয়ে হাজির হত, চারপাশ ঘুরত এবং কেমন করে সব কাজ হচ্ছে সেগুলি যত্নসহকারে খেয়াল করত।
একদিন মহানগরীর পথে ঘুরতে ঘুরতে রাজেন্দ্রনাথ দেখে যে একটি জায়গায় একটা সাঁকো তৈরি হচ্ছে এবং একটি ইংরেজ ভদ্রলোক কয়েকজন দেশি মিস্ত্রিকে কিছু বোঝাবার চেষ্টা করছেন। সাহেব বাংলা বলতে পারছেন না এবং দেশি মিস্ত্রিরা তাঁর ভাষা বুঝতেও পারছে না, অর্থাৎ দুই তরফই যথেষ্ট বিব্রত। রাজেন্দ্রনাথ সেখানে গিয়ে মিস্ত্রিদের খুব সহজভাবে সাঁকো তৈরির ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিল।
সেই ইংরেজ ভদ্রলোক আর কেউ নন, স্বয়ং ব্রাডফোর্ড লেসলি, সেই সময়কার কলকাতা কর্পোরেশনের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার। পরবর্তীকালে তিনিই হাওড়া ব্রিজ ডিজাইন করেন। রাজেন্দ্রনাথের সেই অযাচিত সাহায্যের জন্য তিনি প্রীত হন এবং তার সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে কৌতূহলী হন। বিদায়ের সময় রাজেন্দ্রনাথের হাতে সাহেব নিজের কার্ড দিয়ে পরের দিন পলতা জল কলের কারখানায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
পরের দিন সাদা প্যান্ট, তার ওপর সাদা কোট পরে ফিটফাট হয়ে রাজেন্দ্রনাথ পলতা জল কলে গিয়ে সাহেবের সঙ্গে দেখা করে। সেখানে তখন নতুন চৌবাচ্চা তৈরির কাজ চলছিল। সাহেব রাজেন্দ্রনাথকে কাজ সম্পর্কে নানারকম প্রশ্ন করতে থাকে এবং সেও আত্মবিশ্বাসী অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের মতো তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকে। লেসলি সাহেব অভিভূত হয়ে উপলব্ধি করলেন, তিনি এতদিন ধরে যে-ধরনের উপযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের খোঁজ করছিলেন আজ ঠিক সেইরকম একজনকেই খুঁজে পেয়েছেন। হঠাৎই তিনি প্রশ্ন করেন, “এইসব কাজ আরম্ভ হয়েছে একটি নির্ধারিত রেটে। সেই একই রেটে এর দায়িত্ব তুমি নিতে পারো? আমি এক্ষুনি উত্তর চাই, হ্যাঁ কি না।”
কী রেটে কাজ নির্ধারণ হয়েছে রাজেন্দ্রনাথের কিছুই জানা নেই, অথচ সাহেব তৎক্ষণাৎ উত্তর চাইছেন। রাজেন্দ্রনাথ ভাবল একজন যখন ওই রেটে কাজ করছে, তাহলে সেই-বা পারবে না কেন? এতদিন ধরে যে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল, সেই সুযোগ আজ দোর প্রান্তে এসে উপস্থিত, কিছুতেই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। সে উত্তর দিল, “হ্যাঁ, পারব। কিন্তু সাহেব, আমি যেরকম কিছু না জেনে একই রেটে এর দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছি, আপনাকেও কথা দিতে হবে যে এই সমস্ত কাজের কন্ট্রাক্ট আমাকেই দিতে হবে।”
অত্যন্ত খুশি হয়ে সাহেব রাজেন্দ্রনাথকে কলকাতা কর্পোরেশনের জল কল তৈরির কন্ট্রাক্ট দেন। নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জীবনে।
তারপর তো ইতিহাস। ঠিকাদারি দিয়ে জীবন শুরু করে ধীরে ধীরে রাজেন্দ্রনাথ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে শিল্পপতি রূপে। ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, এমনকি বিদেশেও। তার হাতে কলকাতা শহর নতুন রূপে গড়ে ওঠে।
ওই ঘটনার পঞ্চাশ বছর পরে আরেকটি ঘটনা ঘটে।
১৯২২ সাল। ব্রাডফোর্ড লেসলির বয়স তখন ৯০। তিনি তখন স্যার ব্রাডফোর্ড লেসলি, ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার, বিশ্ববিখ্যাত হাওড়া ব্রিজের পরিকল্পনাকারী। ব্রিটিশ সরকার চাইছে হাওড়া ব্রিজ ভেঙে নতুন একটি ব্রিজ তৈরি করতে। ভারতবর্ষ এবং ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হবে, সেই কমিটির চেয়ারম্যান হবেন রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। সেই কমিটিতেই নির্ধারিত হবে স্যার লেসলির পুরোনো পরিকল্পনাই থাকবে, নাকি নতুন ধরনের পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন ব্রিজ তৈরি হবে। ইংল্যান্ডের লন্ডনে সে-কমিটির অধিবেশন চলছে। স্যার লেসলি তখন বৃদ্ধ, কিন্তু তবু তাঁর উদ্যমের অন্ত নেই। অন্তরের প্রবল আকাঙ্ক্ষা যে তাঁর পরিকল্পনা যেন ভেঙে না দেওয়া হয়। কার না সাধ থাকে নিজের হাতে গড়া কীর্তির সঙ্গে অবিনশ্বর হয়ে বেঁচে থাকতে? স্যার লেসলির মনে বড়ো ভরসা যে রাজেন্দ্রনাথ যখন সেই কমিটির চেয়ারম্যান তখন তাঁর অন্তরের সেই দাবি তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন। কিন্তু বিজ্ঞান ঘোষণা করল যে স্যার লেসলির পরিকল্পনা তাঁরই মতো বৃদ্ধ হয়ে পড়েছে। কমিটির প্রত্যেকেই বললেন নতুন ব্রিজ গড়তে নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নততর পরিকল্পনার আশ্রয় নিতে হবে। রাজেন্দ্রনাথের চির-কৃতজ্ঞ অন্তর তাঁর জীবনের প্রথম পথপ্রদর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভেঙে পড়লেও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তাঁকে বিজ্ঞানের দাবি মেনে নিতে হল। একশো বছর আগে লন্ডনের সেই অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তে আজকের হাওড়া ব্রিজের সঙ্গে রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের নাম চিরকালের জন্য যুক্ত হয়ে গেল।
স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মার্টিন রেলপথ থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, এসপ্ল্যানেড ম্যানশন, চার্টার্ড ব্যাঙ্ক বিল্ডিং, মহীশূর প্যালেস সহ বহু বিখ্যাত অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন, কিন্তু ভারতবাসী তাঁকে মনে রেখেছে হাওড়া ব্রিজের জন্যই।
স্মরণীয় যাঁরা সব এপিসোড একত্রে