একদিন মাঝরাতে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আমি দরজায় একটা শব্দ শুনতে পেলাম। দরজা খুলে ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখি একটা সিঁড়ি। কিন্তু ডাইনিং রুমে তো কোন সিঁড়ি ছিল না? ভাবলাম মা-বাবা হয়তো আমাকে সারপ্রাইজ দেবার জন্য রাতারাতি কোন নতুন সিঁড়ি বানিয়েছে। আমাকে জানায়নি। আমি সেই সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগলাম।
সিঁড়ি দিয়ে উঠে একটা ঘরে পৌঁছোলাম। ঘরের মধ্যে দেখি একটা ছোট ফুলদানি, আর তাতে একটা ফুল। ফুলটা ছিল লাল রঙের। আর সেটা জ্বলজ্বল করছিল, আর দেখতেও কেমন যেন ভয়ানক।
আমি তাড়াতাড়ি সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে এসে শুয়ে পড়লাম।
সকালবেলা উঠে দেখি সিঁড়ি-টিঁড়ি কিচ্ছু নেই। মা-বাবাকে সিঁড়ির কথা বলতেই তারা হেসে উঠল। বলল, “সিঁড়ি কোথা থেকে আসবে? আমরা সিঁড়ি-টিড়ি কিচ্ছু লাগাইনি। আর ওপরেও তো আমাদের কোন ঘর নেই। তুই নির্ঘাত স্বপ্ন দেখছিস।”
পরের রাতেও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল। ঠিক একইরকম শব্দ শুনতে পেলাম। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি সে সিঁড়িটা আবার এসে গেছে। সিঁড়িটার কাছে গিয়ে দেখি তাতে রক্তের দাগ লেগে। দাগগুলো ঠিক মানুষের পায়ের ছাপের মতো। দেখে আমি খুব ভয় পেয়ে ঘরে ঢুকে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। আমার এতো ভয় লাগছিল যে ঘুমোতে পারছিলাম না। মা-বাবাকেও ডাকতে পারিনি, পাছে বকা খাই।
চাদর মুড়ি দিয়েই শুনতে পেলাম কেউ যেন ডাকছে “বাইরে এসো, বাইরে এসো…” আমার গলা ভয়ে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছিল। আমি তাড়াতাড়ি মাথার কাছে রাখা জলের বোতল খুলে জল খেতে গিয়ে দেখি, বোতলে জল নেই। সেটা লাল রক্তে বোঝাই। তারপর কী হয়েছিল আমার আর কিছু মনে নেই।
(গল্পটি বাংলা ইংরেজিতে মিশিয়ে বলা। অনুলিখন – অরিন্দম দেবনাথ।)